milk

শিশুর মুখে দুধের বোতল গুঁজে নিশ্চিন্তে থাকেন? কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানেন?

শিশুর যত্নে কিছু অজানা কারণে কয়েকটা ভুল করে ফেলি আমরা। যেমন, সারা ক্ষণ শিশুর মুখে দুধের বোতল গুঁজে দেওয়া। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকদের মত এবং এর ক্ষতিকারক দিক জানলে আজই এ অভ্যাস বদলাবেন। কেন জানেন?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২১
Share:
০১ ০৮

সন্তানের যত্নের বিষয়ে বরাবরই অভিভাবকরা সচেতন থাকেন। তবু কিছু অজানা কারণে কয়েকটা ভুল করে ফেলি আমরা। যার মাশুল গুনতে হয় শিশুকে। যেমন, সারা ক্ষণ শিশুর মুখে দুধের বোতল গুঁজে দেওয়া। ভাবছেন, এটিই শিশুকে খাওয়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়? পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকদের মত এবং এর ক্ষতিকারক দিক জানলে আজই এ অভ্যাস বদলাবেন।

০২ ০৮

সস্তা প্লাস্টিকের বোতলে বিসফেনল-এ (বিপিএ) নামের যে রাসায়নিক উপাদান থাকে তা শিশুর লিভার, ত্বক ও অন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্লাস্টিকের দ্রব্যের বিষাক্ত হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ এই বিপিএ। যদিও কিছু নামী বোতল প্রস্তুতকারী সংস্থার বোতলবিসফেনলমুক্ত, তবু প্লাস্টিকের বোতল বেশি ক্ষণ শিশুর সংস্পর্শে না রাখাই উচিত।

Advertisement
০৩ ০৮

চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ সারা ক্ষণ বোতলের দুধে অভ্যস্ত করা। সাধারণত, যে সব শিশুর সবে দাঁত উঠছে, তাদেরও দিনের প্রায় বেশির ভাগ সময়ই মুখে বোতল দিয়ে রাখেন মায়েরা। দুধ জাতীয় দ্রব্যের মিষ্টতা ও দুধ শুষে খাওয়ার জন্য রবারের ঢাকা দীর্ঘ ক্ষণ শিশুর মুখের মধ্যে থাকায় এই সমস্যা হয়।

০৪ ০৮

বোতলের মুখে থাকা রবারের ঢাকনাকে প্রায় সব শিশুই কামড়াতে থাকে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হলেও রবারজাত দ্রব্য বেশি ক্ষণ শিশুর মুখে না রাখাই উচিত বলে মত শিশুচিকিৎসকদের।

০৫ ০৮

এক বছরের শিশুর দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার দুধ প্রয়োজন। এই সময় অল্প চিজ, মাখন, ঘি-ও শিশুকে দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে সারা ক্ষণ মুখে বোতল গুঁজে দুধ খাওয়ানোয় শিশু প্রয়োজনের প্রায় দ্বিগুণ প্রোটিন পায় তাও কোনও রকম কঠিন খাবার ছাড়াই। তা ক্ষতি করে শিশুর লিভার ও হজম প্রক্রিয়ায়।

০৬ ০৮

দুধ খাওয়ানোর আগে বোতল পরিষ্কার করতে ভাল করে ফোটানো, বাইরের কাপড় ব্যবহার না করে হাওয়ায় শুকনো করা ইত্যাদি অনেক সময়সাধ্য পদক্ষেপ নিতে হয়। সেই সব পদক্ষেপ যথোপযোগী না হলে শিশুর শরীরে সংক্রমণ আসতে পারে।

০৭ ০৮

প্লাস্টিকের বোতলে দুধ খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হয়। বোতলে করে দুধ খাওয়া শিশুর পক্ষেও সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় অনেক শিশুই একটা সময়ের পর বোতলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন কিছুতেই তাকে আর বোতলে করে দুধ খাওয়া ছাড়ানো যায় না। বোতলের সাহায্য ছাড়া ঘুমও আসে না তার।

০৮ ০৮

তা হলে উপায়? চিকিৎসকদের মতে, যত দিন সম্ভব মায়ের বুকের দুধই শিশুকে দিন। তার পর অভ্যাস করুন কাচের বা কাঁসার বাটিতে দুধ নিয়ে তা ঝিনুকে করে খাওয়াতে। রুপোর ঝিনুক এ ক্ষেত্রে উপকারী। একান্তই রুপোর ঝিনুক না থাকলে ভাল মানের স্টিলের ঝিনুকও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি বোতলের চেয়ে উপকারী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement