শহুরে ইট-কাঠ পেরিয়ে ঘোর বর্ষা উপভোগ করতে চান একটু অন্যরকম ভাবে? বেশ তো, তা হলে মরুভূমি কেন নয়! না, কোনও শুকনো খটখটে বালির ঠিকানা নয়। এ বার আষাঢ়-শ্রাবণ কাটুক মরুভূমির রাজ্যের হ্রদ আর সবুজে ঘেরা পাহাড়ি এলাকায়— মাউন্ট আবু-তে। কিন্তু সব ছেড়ে মাউন্ট আবু-ই কেন? রইল কারণ। ছবি: শাটারস্টক।
গুরু শিখর: মরুরাজ্য রাজস্থানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এটি। আরাবল্লি পর্বতমালার অন্তর্গত এই হিমচূড়ার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১৭২২ মিটার। ট্রেকিং ভালবাসলে এই বর্ষায় সবুজে মোড়া এ পাকদণ্ডি পথ আপনার। পাহাড়ের উপরে বিষ্ণু উপাসক দত্তাত্রেয় মুনির গুহা দেখতে ভুলবেন না। ছবি: শাটারস্টক।
নক্খি হ্রদ: গাছপালা আর পাহাড়ে ঘেরা এই হ্রদ নিয়ে রয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যান। বালাম রাশিয়া নামের এক ব্যক্তি ওই অঞ্চলের রাজার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে, রাজা শর্ত দেন এক রাতের মধ্যে একটি হ্রদ কেটে দেওয়ার। বালাম এক রাতের প্রচেষ্টায় নখ দিয়েই নাকি কেটে ফেলেন এই নক্খি হ্রদ! হ্রদের নীল গভীর জল চারপাশের নৈঃশব্দ্য মন টানবেই। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
টড রক: প্রকৃতির হাতযশে হ্রদের ঠিক পিছনেই রয়েছে এক বিশাল কচ্ছপ আকৃতির পাথর। যার আকার দেখলেই মনে হয়, এখনই বুঝি লাফ দিয়ে জলে নামতে চলেছে এই কচ্ছপটি। এই রকের পথটিও ভারি চমৎকার, বুনো গাছপালা আর খাঁজ কাটা সিঁড়ি দিয়ে প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে এই পথ। এ পথে না হাঁটলে অনেক কিছু মিস করবেন। ছবি: শাটারস্টক।
দিলওয়াড়া মন্দির: জৈনদের এই মন্দির এক টানে নিয়ে যাবে শহুরে কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে। পাহাড়ি পাথর কেটে তৈরি এই মন্দিরের নকশা আর স্থাপত্য পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। বড় বড় খিলান ও গম্বুজ, মন্দিরের চেহারায় আলাদা গাম্ভীর্য এনেছে। ছবি: শাটারস্টক।
অচলগড় প্রাসাদ: ইট-কাঠ-পাথরের খাঁজে এখানে সত্যি ইতিহাস কথা কয়। মেবারের শাসক মহারানা কুম্ভর বানানো এই দুর্গ ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে এর ঐতিহ্য ও গঠনশৈলির জোরে। গোপন কুঠুরি, সুড়ঙ্গপথ, ঝুলবারান্দা-সহ এই প্রাসাদ যেন সরিয়ে নিয়ে যায় তৎকালীন সময়ে। দুর্গের বারান্দা থেকে উপভোগ করুন গোটা অঞ্চলের দৃশ্য। ছবি: শাটারস্টক।
ট্রিভর জলাশয়: কচ্ছপদের রোদ পোহানো, পাখিদের জলপান কিংবা মাছদের জলকেলি— প্রকৃতির এমন নয়নাভিরাম দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে হলে ঢুঁ মারুন ট্রিভর জলাশয়ে। মূল এলাকা থেকে একটু আড়ালে গড়ে ওঠা এই জলাশয় মনের আরাম তো দেবেই, সঙ্গে আপনার ভ্রমণে যোগ করবে অতিরিক্ত রোমাঞ্চ। ছবি: শাটারস্টক।