বেঁচে থাকতে হলে পরিবার-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সমান গুরুত্ব পায় যে সম্পর্ক, তা বন্ধুত্ব। জানেনই তো, বই আর বন্ধু— দুই-ই হতে হয় ‘ফিউ বাট ওয়েল চোজেন’। এই ক্ষেত্রেই ভুল করি আমরা। কী ধরনের বন্ধু জীবন রাঙিয়ে দেয়, আর কোন বন্ধুর পাল্লায় পড়লে ভুল পথে চালিত হই— তা বোঝা দায়। জীবনে কেমন বন্ধু দরকার জানেন? নিজস্ব চিত্র (‘শোলে’ ছবির দৃশ্য)।
সব সময় সমর্থনের প্রয়োজন নেই, বরং বন্ধু করুন তাঁকেই, যিনি আপনার বিপদে-আপদে পাশে থাকবেন। জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে ও যাঁর উপস্থিতি অনেকটা চাপ কমাবে। মনোবিদদের মতে, শুভাকাঙ্ক্ষীরাই কিন্তু সমালোচনা করেন। বন্ধু বাছতে নিন্দে আর সমালোচনার তফাত বুঝুন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বন্ধুমহলে একটু আধটু সুস্থ প্রতিযোগিতা ভাল। তাতে পড়াশোনা বা কাজের উদ্যম যেমন বাড়ে, তেমন তাঁকে আরও নিখুঁত করতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখবেন, সে প্রতিযোগিতা যেন হয় ‘সুস্থ’ আর অবশ্যই সৌহার্দ্যপূর্ণ। যে বন্ধু প্রতিযোগিতার নামে সাহায্য করে না, সে কিন্তু আদৌ বন্ধু নয়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
এমন বন্ধু বাছুন, যাঁর মাথায় বরফ চাপানো আছে, এক কথায় ঠান্ডা মাথার মানুষ আরকি। বিপদের সময় বা নানা প্রতিকূলতায় যিনি বুদ্ধি জোগাতে পারবেন। উৎসাহ দিতে পারবেন আপনার নতুন স্বপ্নকে। কোনও কোনও সময় এই বন্ধুরাই জীবনের ‘রসদ’ হয়ে ওঠেন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
শুনতে অবাক লাগলেও বন্ধু তালিকায় রাখুন কম চেনা একজনকেও। এমন কেউ, যিনি আপনার অন্য বন্ধুদের চেনেন না, ঘনিষ্ঠ নন আপনার অতীতের সঙ্গেও। মনের কারবারিরা বলছন, এমন কেউ বন্ধুতালিকায় থাকলে, তাঁকে জানানো যায় অনেক গোপন পরিকল্পনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্নের কথাও। পরিচিত মহল থেকে গোপনও রাখা যায় সে সব, আবার দরকারি পরামর্শও মেলে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
হোক বোকাসোকা, তবু মানুষটা যেন নিঃস্বার্থ ও উপকারী হন। এঁরা যে কোনও দরকারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বরং দেখা গিয়েছে এঁরাই সেরা বন্ধু হওয়ার দাবিদার। বুদ্ধি কম হলেও বন্ধুর প্রতি নিজের ভালবাসা ও টান থেকে এঁরা অনেক অসাধ্যসাধন করতেও পিছপা হন না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
মজা করতে পারেন বন্ধু? তা হলে তিনি যেন অবশ্যই পছন্দের তালিকায় থাকেন। জীবনের বাস্তব সিনেমাতেও ‘কমিক রিলিফ’ বড় প্রয়োজন। রসিক বন্ধু ছাড়া এ পথ পেরনো সত্যিই কঠিন। তাই মনখারাপ নিমেষে ভাঙাতে পারেন স্রেফ হাসি-মশকরা দিয়ে এমন বন্ধু রাখুন চারপাশে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।