INSOMNIA

এ বার ঘুমের ওষুধ ছাড়াই নিশ্চিন্তে ঘুমোন, শুধু বদলে ফেলুন এ সব স্বভাব

আপনার কিছু অভ্যাস বদলালেই এই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে পারেন। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে সে সব স্বভাবে বদল আনুন। জানেন সে সব কী কী?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১৪
Share:
০১ ০৮

সারা দিনের শারীরিক ক্লান্তি, মানসিক চাপ ও পারিবারিক নানা ঝঞ্ঝাট সামলে দিনের শেষে ঘুম মানুষের সেরা আশ্রয়। কিন্তু সেই ঘুমেও যদি ব্যাঘাত ঘটে? অনিদ্রার মতো এ-ও এক গুরুতর সমস্যা। এক বার ঘুম ভাঙলে ফের তা আসতেও সময় নেয়, কখনও আবার আসেই না। এতে পর্যাপ্ত ঘুম তো হয়ই না, উল্টে ঘুমের দফারফা হয়ে বেড়ে যায় ক্লান্তি।

০২ ০৮

তবে এমন সমস্যা এলেই যে তা সব সময় ওষুধ খেয়ে কমাতে হবে এমন কিন্তু নয়। নিয়মিত ঘুমের ওষুধ শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তবে আপনার কিছু অভ্যাস বদলালেই এই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে পারেন। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে সে সব স্বভাবে বদল আনুন। দেখবেন, ঘুমে ব্যাঘাতের ঘটনা থেকে মুক্তি মিলছে সহজেই। জানেন সে সব কী কী?

Advertisement
০৩ ০৮

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাটের মতে, বেশির ভাগ মানুষই ঘুমোনোর সময় মোবাইল ঘাঁটেন। সারা দিন কাজের চাপ, ব্যস্ততা সামলে ওই সময়টাই সোশ্যাল সাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ ফোন করেন অনেক রাত অবধি। এতে বিভিন্ন বিষয়ের কথাবার্তা মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসকে উত্তেজিত করে। ঘুম আসতে বাধা পায়। তাই এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন।

০৪ ০৮

কত রাতে খাওয়াদাওয়া সারেন? ঘুম আসার জন্য এটাও কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। রাতে ঘুমোনের অন্তত দু’ঘণ্টা আগেই সারুন রাতের খাওয়া। পাকস্থলী পূর্ণ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুম আসে না। খেয়ে একটু হেঁটে আসুন ধারেকাছে। হজম প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি হবে, ঘুমও ততই দ্রুত আসবে।

০৫ ০৮

অনেকেই রাতে এমন কিছু টিভি শো দেখেন যা মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। ফলে থ্যালামাস উদ্দীপ্ত হয়ে ঘুমকে সরিয়ে দেয়। কাজেই সে সব অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকুন, বরং ঘুমোনের আগে মিউজিক প্লেয়ার বা বেতারে কোনও হালকা গান শুনুন।

০৬ ০৮

ঘুমোনোর আগে এমন কোনও ঘটনা বা বিতর্কে জড়াবেন না, যা মনে চাপ ফেলতে পারে। সারা দিনের এমন কোনও ঘটনা যা মনকে বিক্ষিপ্ত করে বা টেনশনে রাখে তা থেকেও মন সরিয়ে রাখুন। নইলে ঘুম এলেও মাঝ পথে বার বার তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘুমোনোর আগে হালকা মেডিটেশন করে নিলে এই মন সামলানোর কাজটি আরও ভাল হয়।

০৭ ০৮

অনেকেরই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা-কফি খাওয়ার অভ্যস থাকে। এই স্বভাব আজই বদলান। চা-কফি দুই-ই উত্তেজক পানীয়। এগুলি মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। অনেকের ঘুমোনোর আগে মদ্যপানের স্বভাব আছে। তা শারীরিক ভাবে যতটা ক্ষতিকর, ঘুম আসার পথে ততটাই বাধা। এটিও মন ও মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে ঘুমকে দূরে ঠেলে।

০৮ ০৮

শোওয়ার ঘরটিকে ঘুমনোর উপযুক্ত করুন। আলো নিভিয়ে, পরিষ্কার বিছানায় ঘুমের উপযুক্ত বালিশ রাখুন। প্রয়োজনীয় চাদর হাতের কাছে রেখে দিন। প্রয়োজন অনুযায়ী পাখা বা এসি চালিয়ে ঘুমোন। ঘরের আলোও যেন ঘুমের উপযুক্ত হয়। (ছবি: শাটারস্টক ও আনস্প্ল্যাশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement