Gujarati Food for Winter

প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের খাবার খেয়ে মুগ্ধ কার্তিক আরিয়ান, শীতের শহরে গুজরাটি খানা খেতে পারেন আপনিও

কার্তিক নিজেই বলেছেন, তিনি ভোজনরসিক। এর আগে কলকাতায় এসে এ শহরের জনপ্রিয় খাবারের স্বাদ পেতে চলে গিয়েছিলেন জ়াকারিয়া স্ট্রিট। কলকাতার ‘দেশি’ চাইনিজ়ও খেয়েছিলেন। তবে তাঁর মতো গুজরাতি খাবার খেতে আপনাকে গুজরাতে যেতে হবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২১
Share:

হৃদয়াকার জিলিপি এবং গুজরাতি খাবার খেয়ে মুগ্ধ কার্তিক আরিয়ান! ছবি : ইনস্টাগ্রাম।

অভিনেতাদের কাজের সূত্রে নানা জায়গায় যেতে হয়। তাঁরা সেখানে যান, কাজটুকু সারেন, সম্ভব হলে অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং চলে আসেন। কার্তিক আরিয়ান এর বাইরে আরও একটি কাজ করেন। তিনি কাজের সূত্রে যেখানেই যান, সেখানকার বিখ্যাত খাবার চেখে দেখতে ভোলেন না।

Advertisement

কার্তিক নিজেই বলেছেন, তিনি ভোজনরসিক। এর আগে কলকাতায় এসে এ শহরের জনপ্রিয় খাবারের স্বাদ পেতে চলে গিয়েছিলেন জ়াকারিয়া স্ট্রিট। কলকাতার ‘দেশি’ চাইনিজ় খেয়েছিলেন। এমনকি, ছোট্ট সফরের মধ্যেই ফ্লুরিজ়-এ গিয়ে প্রাতরাশও সারার সময়ও বার করে নিয়েছিলেন। পরে তাঁকে বিহারে গিয়ে লিট্টি-চোখা, ইনদওরে গিয়ে সেখানকার জনপ্রিয় ওরছা চাট, বেনারসেও চাট এবং লস্যি খেতেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে। সেখানেও গুজরাতের জনপ্রিয় খাবারদাবার খেয়ে দেখেছেন কার্তিক।

প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে কী কী খেলেন কার্তিক?

Advertisement

আমদাবাদের এক রেস্তরাঁয় কার্তিক গিয়েছিলেন গুজরাতি খাবার খেতে। সেখানে তিনি খেয়েছেন হৃদয়ের আকারের জিলিপি এবং গুজরাতি নোনতা খাবার ফাফড়া। তবে এই শীতে গুজরাতি খাবার খেতে কার্তিকের মতো অহমদাবাদে যেতে হবে না। খাস কলকাতায় বসেই চেখে দেখতে পারেন গুজরাতের নানা খাবারদাবার।

কোথায় পাবেন গুজরাতি খাবার?

কলকাতায় ভবানীপুর, এলগিন রোডে গুজরাতি খাবারের ভাল দোকান রয়েছে। ভাল গুজরাতি খাবার পাওয়া যায় বড় বাজারের একটি ৯০ বছরের পুরনো দোকানেও। এ ছাড়াও শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু গুজরাতি খাবার দোকান। ইন্টারনেটে খুঁজলে অজস্র ঠিকানা পেয়ে যাবেন।

কী কী খেতে পারেন?

পালং পকোড়া: বড় বাজারের এক পুরনো গুজরাতি খাবারের দোকানে পালংশাকের মুচমুচে পকোড়া পাওয়া যায়। মশলায় মাখানো ওই পালং পকোড়া ঝুড়িতে গরম গরম নামাতে না নামাতেই শেষ হয়ে যায়।

আলু বড়া: সাধারণ আলুর চপ নয়। আলুর ভিতর গোটা ধনে, চিনেবাদাম, রসুন, শুকনো লঙ্কা আর ভুজিয়া দিয়ে তৈরি পুর ভরে বেসনে ডুবিয়ে ভাজা এই আলুর পকোড়া কচ্ছ এলাকার জনপ্রিয় খাবার।

ফাফড়া: বেসন আর জোয়ান দিয়ে তৈরি মুচমুচে লম্বাটে পাঁপড়ের মতো দেখতে খাবার। বানানোর পদ্ধতিটি দেখার মতো। পরিবেশন করা হয় ভাজা লঙ্কা, বেসনের চাটনি, কাঁচা পেঁপের সাম্ভারো বা স্যালাড দিয়ে।

খান্ডভি: দই এবং বেসনের গোলা তৈরি করে তাতে আদা, লঙ্কা, নুন এবং হলুদ দিয়ে তৈরি হয় খান্ডভি। নরম রোলের মতো দেখতে এই খাবার পরিবেশন করা হয় সবুজ রঙের চাটনি আর নারকেলকোরা ছড়িয়ে।

থেপলা: মেথিশাক, আটা, বেসন, গোটা জিরে এবং নানা ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি এক ধরনের পরোটা। যা শীতে শরীরকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে।

উন্ধিয়ু: শীতের সমস্ত সব্জি আর মশলা দিয়ে মাটির পাত্রে রেখে রান্না করা হয় উন্ধিয়ু। তবে এটি উনুনে বসানো হয় না। পুরনো পদ্ধতি হল ওই মাটির পাত্রকে মাটির তলায় রেখে উপর থেকে তাপ দিয়ে রান্না হয় এই বিশেষ শীতকালীন তরকারি। এ তরকারির মূল উপকরণ হল এক ধরনের বেগনি রঙের ওল, রাঙাআলু, ছোট বেগুন। এ ছাড়াও ইচ্ছেমতো যে কোনও সব্জি দেওয়া যেতে পারে।

হান্ডভো: চালের গুঁড়ো, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের মশলা আর সব্জি দিয়ে তৈরি কেকের মতো দেখতে খাবার। যার স্বাদ নোনতা আর তাতে খানিক মুচমুচে ভাবও আছে।

শ্রীখণ্ড: জল ঝরানো দই আর জাফরান দিয়ে তৈরি মিষ্টি। এক বার মুখে দিলে এ স্বাদ ভোলার নয়।

বাসুন্দি: মালাই যুক্ত দুধের সঙ্গে চিনি, জাফরান, ছোট এলাচ, জায়ফলের গুঁড়ো এবং কাঠবাদাম-কাজু-পেস্তাবাদাম কুচি মেশানো মিষ্টি।

ডাবেলি: গুজরাতি বানরুটির স্যান্ডউইচ। বিষয়টি খানিকটা বড়া পাওয়ের মতো। কিংবা নিরামিষ বার্গারও বলা যায়। ভিতরে থাকে সেও, বেদানা, বাদাম, পেঁয়াজ এবং নানা রকম মশলা দিয়ে মাখানো আলুর পুর আর টক-ঝাল-মিষ্টি চাটনি।

ছপ্পন ভোগ: গুজরাতি থালিও পাওয়া যায় এ শহরে। আর গুজরাতের এক বিশেষ থালির নাম হল ছপ্পন ভোগ। নামেই বোঝা যাচ্ছে, সে থালিতে ছাপ্পান্ন রকমের ব্যাঞ্জন সাজানো থাকে। ওই থালি ভগবান কৃষ্ণের মন্দিরে ভোগ হিসাবেও দেওয়ার নিয়ম আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement