বাড়ির চারপাশে কাদা-জল। কী ভাবে ঘর পরিষ্কার রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টিতে জলকাদা চারদিকে। নোংরা জল মাড়িয়েই বাড়ির লোকেরা ঢুকছেন। ন্যাতা-বালতি দিয়ে বার বার তো আর মোছা সম্ভব নয়। আবার সেই কাদা থাকলে পায়ে পায়ে ঘরময় হবে। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এমনিতেই বর্ষায় রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। এমন মরসুমে ঘরদোর পরিচ্ছন্ন রাখবেন কী ভাবে?
জল শুষে নেওয়া পাপোস: বাড়িতে সদর দরজার সামনে একটু বড় আকারের পাপোস রাখুন। দ্রুত জল শুষে নেয় এবং হড়কে যায় না এমন পাপোস রাখতে পারেন। এতে পায়ের পাতা ঘষার সময় পিচ্ছিল মেঝেতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না। পাপোস থাকলে জল-কাদা ঘর পর্যন্ত যাবেও না।
বালতি: বাইরের দরজার পাশেই একটি বালতি রাখুন। যেখানে কাদা জুতো খুলে রেখে ভিতরে আসা যাবে। আধভেজা মোজাও এর মধ্যে কাচার জন্য রেখে দিন।
এতে জুতোয় লেগে থাকা কাদা, নোংরা ঘরময় হবে না। আবার জুতো পরে সাবান জলে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া যাবে।
বৃষ্টির ছাট: বাড়ির খোলা বারান্দা কি বৃষ্টির ছাটে ভিজে যায়? সেই জল গড়িয়েও ঘরময় হতে পারে। সে কারণে বারান্দাতেও বড় পাপোস রাখুন। লম্বা হাতলযুক্ত ঘর মোছার সরঞ্জাম দিয়ে বার বার জল মুছে দিন। এই জিনিসটি দিয়ে বাড়িতে ঢোকার মূল দরজার সামনের অংশটিও বার কয়েক মুছে দিতে পারেন। এতে ঘর পরিচ্ছন্ন থাকবে।
ঘরে গন্ধ: এই সময় ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ হয়। স্যাঁতসেঁতে ভাব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। হেঁশেল থেকে আনাজের খোলা, খাবারের অবশিষ্টাংশ প্যাকেটবন্দি করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। না হলে খোলা বর্জ্যের পাত্র থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে। বাড়িতে ডিহিউমিডিফায়ার যন্ত্র থাকলে সেটি চালিয়ে দিলেই ঘরের পরিবেশ ভাল হবে। অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প টেনে নেবে যন্ত্রটি। ঘরের কোথাও সামান্য জলে একটু এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন। এতে ঘরের বিশ্রী গন্ধ কেটে যাবে।
আলো-হাওয়া: অতিরিক্ত আর্দ্রতার ফলে মেঝেতে ভিজে ভাব থাকে। দেওয়ালের কোণে সাদা সাদা ছত্রাক দেখা দেয়। বর্ষার দিনে একটু রোদ উঠলেই জানলা খুলে দিন। বাইরের আলো-হাওয়া ঢুকলে স্যাঁতসেতে ভাব কেটে যাবে। ঘর মোছার জলে একটু সাদা ভিনিগার মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও ছাতা পড়ার সমস্যা কমতে পারে।