টাটকা পালং শাক মিলবে হাতের কাছে। সেই আশাতেই ছাদ বাগানে চাষ করেছিলেন। ভালই বাড়ছিল গাছ। টানা কয়েক দিন বৃষ্টির পর হঠাৎ পাতায় দেখছেন কালো গোল দাগ? এই পরিস্থিতিতে কী করবেন?
প্রথমেই জানা দরকার কেন এমনটা হতে পারে? উদ্যান পালকেরা বলছেন, বর্ষার আবহে স্যাঁতসেতে ভাব বেশি থাকায় ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হয় দ্রুত। কখনও আবার জল বেশি দিলে বা বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় জল জমলেও এমন সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও নাই়ট্রোজেন বা ম্যাগমেশিয়ামের ঘাটতি হলেও এমনটা হতে পারে।
প্রথমেই কারণ খুঁজতে হবে, কেন এমন হচ্ছে? ছত্রাকের কারণেও এমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত পাতাগুলি ছেঁটে ফেলা দরকার। তবে এমন দাগ যদি একের পর এক গাছে দেখা যায়, তা হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার।
১। প্রথমেই দেখতে হবে ,গাছে জল বেশি দেওয়া হচ্ছে কি না। বর্ষায় নিয়মিত বৃষ্টি হলে সমস্যা বাড়তে পারে। টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, পরীক্ষা করে দেখুন। গর্ত করে জল দিন। দু’ঘণ্টায় সেই জল না নামলে বুঝতে হবে নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গলদ আছে। গোড়া পচলেও গাছে এমন দাগ হতে পারে।
২। কালো দাগের ধরন দেখতে হবে ভাল করে। ছত্রাকের আক্রমণ হলে এক রকম দাগ হবে, ব্যাক্টেরিয়া হলে অন্য রকম। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণও ঘটে দ্রুত।
৩। বেশি আর্দ্রতা এবং হাওয়া চলাচলের অভাব হলেও গাছের অসুখের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই গাছের গোড়া মাঝেমধ্যে খুঁড়ে দিতে হবে। বেশি গায়ে গায়ে গাছের বীজ ফেলাও যাবে না।
ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলে কী করণীয়?
নিমতেল এবং বেকিং সোডা দিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারেন। নিমতেল কী ভাবে, কতটা পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে, তা সাধারণত বোতলের গায়ে লেখা থাকে। বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারবেন। ৩ লিটার জলে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। ৭-১৪ দিন গাছে স্প্রে করতে হবে। এর পরেও সমস্যার সমাধান না হলে কোন অভিজ্ঞ উদ্যান পালককে বিস্তারিত জানিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারেন বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেন।