ছবি : সংগৃহীত।
প্রাপ্তবয়স্কদের কাজ এবং পড়াশোনার জন্য ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখতেই হয়। তবে, অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দিনে কত ক্ষণ ফোনে বা ল্যাপটপে বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তা থাকিয়ে থাকছেন, তার একটা হিসাব রাখা জরুরি।
দীর্ঘ সময় ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখার ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী কী?
চোখের সমস্যা: দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা হওয়া, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা: রাতে ঘুমানোর আগে ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ফোন থেকে নির্গত ব্লু লাইটের প্রভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
শারীরিক সমস্যা: দীর্ঘ ক্ষণ এক দিকে এক ভাবে নজর রাখার ফলে পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা, শারীরিক জড়তা আসতে পারে। ওজনও বাড়তে পারে এ থেকে।
মানসিক সমস্যা: অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া বা ভিডিও গেম ব্যবহারের ফলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বাড়াতে পারে বলেও জানা গিয়েছে বহু গবেষণায়।
কী ভাবে স্ক্রিন টাইম কমাতে পারেন?
২০-২০-২০ পদ্ধতি : প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকান। এতে চোখের উপর চাপ কমবে।
অফ-স্ক্রিন টাইম: এটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। প্রতি দিন কতটা সময় আপনি ডিজিটাল পর্দার দিকে তাকাবেন না, তা আগে থেকে ঠিক করে নিন। তার পরে সেই সময়টুকু নিয়ম ডিজিটাল পর্দা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
ঘুমের আগে দেখবেন না: রাতে ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা টিভি দেখা বন্ধ রাখুন।
নির্দিষ্ট সময়সূচি: কাজের বাইরে শুধুমাত্র মন ভাল করার মোবাইলে চোখ রাখেন অনেকেই।তবে সেটা কত ক্ষণ, তা আগে থেক ঠিক করে নিন। দিনে এই অতিরিক্ত বিনোদনের জন্য ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখার যে সময় তা ২ ঘণ্টার বেশি না হলেই ভাল বলে মনে করছেন চোখের চিকিৎসকেরা।