Durga Puja 2023

৩ উপায়: সঙ্গীর বায়নাক্কা সামলে পুজোর ক’দিন নিজের ইচ্ছেকেও গুরুত্ব দেবেন কী ভাবে?

পুজোর কোন দিন কী পরবেন, কোন রেস্তরাঁয় খেতে যাবেন পর্যন্ত ঠিক থাকলেও কাদের সঙ্গে ঘুরতে কিংবা ঠাকুর দেখতে যাবেন, সবই ঠিক করে দেন সঙ্গী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৮
Share:

কাদের সঙ্গে ঘুরতে কিংবা ঠাকুর দেখতে যাবেন, সেই বিষয়েও সঙ্গী নাক গলাচ্ছেন? — প্রতীকী চিত্র।

সারা বছর যে যার মতো করে সময় কাটান, আনন্দ করেন। কিন্তু পুজোর ৪-৫টা দিন প্রায় সকলেরই কোনও না কোনও পরিকল্পনা থাকে। পুজোর সময়ে প্রবাসী বন্ধুরাও অনেক দিন পর বাড়ি ফেরেন। কিন্তু সঙ্গীর দাবি এই ক’দিন তাঁর সঙ্গেই থাকতে হবে। ঠাকুর দেখা, ঘুরতে যাওয়া থেকে খাওয়াদাওয়া— সবই করতে হবে তাঁর সঙ্গে। সম্পর্কের একেবারে শুরুর দিকে তাঁকে প্রশ্রয় দিলেও এখন কিছুতেই সামাল দিতে পারছেন না। সমস্ত বিষয়ে সঙ্গীর হস্তক্ষেপ মেনে অসুবিধা হচ্ছে। পুজোর কোন দিন কী পরবেন, কোন রেস্তরাঁয় খেতে যাবেন পর্যন্ত ঠিক থাকলেও কাদের সঙ্গে ঘুরতে কিংবা ঠাকুর দেখতে যাবেন— এই বিষয়েও হস্তক্ষেপের ব্যাপারটা যেন কিছুতেই গলাধঃকরণ করতে পারছিলেন না। যার ফলে অশান্তি, কথা-কাটাকটি, মনোমালিন্যের পর্ব দীর্ঘ হচ্ছিল। মনোবিদেরা বলছেন, প্রচণ্ড মাখো মাখো প্রেমের সম্পর্কেও কিন্তু এমন সমস্যা হতে পারে। প্রতিটি ব্যক্তি আলাদা। তাঁদের ভাল লাগা, চাওয়া-পাওয়াগুলিও আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক। একে অপরকে যদি বুঝতে সমস্যা হয়, ভালবাসার নামে যদি একে অন্যের ব্যক্তিগত পরিসরের সীমা লঙ্ঘন করেন, তা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তা সামাল দেওয়ার উপায় আছে।

Advertisement

১) একে অপরের প্রয়োজন বুঝতে চেষ্টা করুন

যে সম্পর্কেই থাকুন না কেন, দু’জন যদি ভাল বন্ধু হতে পারেন, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রত্যেকের পছন্দকে সম্মান দেওয়া, তাঁর প্রয়োজন বোঝা জরুরি। সঙ্গীর জীবনের বেশ কিছু ক্ষেত্রে যেমন আপনি হস্তক্ষেপ করবেন না, তেমন উল্টো দিকের মানুষটিকেও একই কাজ করতে হবে।

Advertisement

২) সীমা নির্ধারণ করে দিন

মুখে না বললে সঙ্গী যদি বুঝতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে অসুবিধের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়াই ভাল। শুধু পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোনো নয়, সব বিষয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা খোলসা করে তাঁকে জানান। উল্টো দিকে থাকা মানুষটির পছন্দ-অপছন্দকেও সমান গুরুত্ব দিন।

৩) নিজেদের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন

সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে গেলে মাঝে মধ্যে বিরতি নেওয়া জরুরি। সঙ্গীর ভাল লাগে বলেই উল্টোদিকের মানুষটিকেও সেই সিনেমা দেখতে হবে কিংবা সেই খাবারই খেতে হবে, এমন অভ্যাস কিন্তু স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের উদাহরণ হতে পারে না। তাই সঙ্গীর তো বটেই, সঙ্গে নিজের ইচ্ছেগুলিরও খেয়াল রাখুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন