পুরাণের নানা গল্পে রয়েছে ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণের মাখন বা ননী চুরি করে খাওয়ার গল্প। এই মাখন কিন্তু সাদা মাখন। আর বাড়িতে তৈরি। এর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। কী সেগুলি, জেনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে তৈরি সাদা মাখনে সাধারণত নুন খুব কম থাকে। বাজারজাত মাখনে প্রচুর নুন। সেই কারণে বাড়িতে তৈরি সাদা মাখন স্বাস্থ্যকর। মাখনে অতিরিক্ত নুন থাকলে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয়। কিন্তু বাড়ির সাদা মাখনে নুন থাকে না।
বাজারে যে মাখন পাওযা যায়, তা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। কিন্তু সাদা মাখন ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ সম্পূর্ণা ভট্ট বলেন, সাদা মাখনে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাদা মাখনে রয়েছে সেলেনিয়াম আর ভিটামিন ই। এই দু’টি পদার্থের কারণেই সাদা মাখন নিয়মিত খেলে ত্বক এক্কেবারে সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়। আর সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই মাখন মুখে মাখলে ত্বক অত্যন্ত ভাল থাকে।
মাখনে রয়েছে প্রচুর ‘গুড ক্যালরি’। স্বাস্থ্যকর এই ক্যালরির জন্য সাদা মাখন তাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
সাদা মাখন ‘জয়েন্ট পেন’ ও বাতের ব্যথা কমাতেও নাকি সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নাকি এমনটাই বলা হয়েছে। কারণ মাখনের আণবিক গঠনের কারণেই তা চর্বি শোষণ করে, আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সাদা মাখনে আছে অ্যারাকিডোনিক অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাদা মাখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে ডায়েটে এই মাখন যথেষ্ট উপকারী।