‘ব্রেকরুম’-এর সিইও ২৭ বছরের সনওয়ারি গুপ্ত তাঁর পার্টনার অক্ষত গোয়লের সঙ্গে মিলিত ভাবে গুরুগ্রামে এই বিশেষ পরিষেবাকেন্দ্র শুরু করেন।
মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই খুলেছে ‘ব্রেকরুম’। সনওয়ারির মতে, যে সকল মানুষ খুব রেগে যান তাঁদের রাগ দূর করতে থেরাপির কাজ করবে এই ‘গোঁসা-ভাঙার ঘর’।
রাগের কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা বেড়েই চলেছে। যাতে রাগ খানিকটা কমানো যায় সে কারণে ২০০৮ সালে টেক্সাস-এ ‘অ্যাঙ্গার রুম’ খুলেছিলেন এক জন। সেখান থেকেই ‘ব্রেকরুম’ তৈরি করার ভাবনা আসে তাঁর মাথায়।
‘ব্রেকরুম’-এ ঢুকতে হলে বয়স হতে হবে অন্তত আঠারো। এবং থাকতে হবে বৈধ পরিচয় পত্র।
জিনিস ভাঙচুর করার সময় কোনও কারণে শরীরে আঘাত না লাগে ব্রেকরুমে ঢোকার আগে তাই পরে নিতে হবে নিরাপদ পোশাক।
রাগ ভাঙাতে খরচ করতে হবে ১৯৯ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। এই টাকায় দু’মিনিট থেকে চার মিনিট সময় পর্যন্ত জিনিসপত্র ভাঙা যাবে।
কাচ কিংবা চিনামাটির বাসন ভাঙতে দিতে হবে দেড়শো টাকা। ফোন ভাঙতে গেলেও দিতে হবে ওই একই পরিমাণ অর্থ।
ছোট মাপের টেলিভিশন সেট ভাঙার জন্য উপভোক্তাদের খরচ করতে হবে ৩০০ টাকা। আর বড় মাপের টেলিভিশনের ক্ষেত্রে লাগবে ৮০০ টাকা।