‘ওয়াটার লস’ অনেকে ‘ওয়েট লস’ বলে ভুল করেন।
রোগা হওয়া, ওজন কমানোর ঝোঁকে প্রতি দিনই নিত্য নতুন পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে এই প্রজন্ম। চটজলদি ফল পেতে কখনও ক্রাশ ডায়েট, কখনও জিএম ডায়েটের মতো মারাত্মক পথ বেছে নিচ্ছে তারা। যার ফলে পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরও জটিল। এমনই এক ডায়েট ট্রেন্ড লাক্সেটিভ ডায়েট। জলদি ভূঁড়ি কমাতে জেন ওয়াই এই ট্রেন্ডে মজলেও স্বাস্থ্যের জন্য তা ডেকে আনছে ভয়াবহ বিপদ। জেনে নিন নিউট্রিশনিস্টরা কী বলছেন এই ডায়েট নিয়ে।
লাক্সেটিভ কী?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে লাক্সেটিভ ড্রাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লাক্সেটিভ বৃহদন্ত্রের উপর কাজ করে, আর খাবার শোষিত হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে। যদি আমরা পরিমাণ মতো ফল ও সব্জি না খাই, তা হলে শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবারের অভাব হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগি। সাধারণত চার দিনের বেশি যদি স্বাভাবিক ভাগে মলত্যাগ করতে না পারা যায় তখন লাক্সেটিভ ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন: চুমু খাওয়ার সময় কেন মাথা ডান দিকেই হেলে যায়?
লাক্সেটিভ ডায়েট ট্রেন্ড
লাক্সেটিভ যেহেতেু আমাদের সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে তাই শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। এই ‘ওয়াটার লস’ অনেকে ‘ওয়েট লস’ বলে ভুল করেন। নিউট্রিশনিস্ট ও হোমিওপ্যাথ রেনু গর্গের মতে যখন কোনও বড় অনুষ্ঠান বা বিশেষ কিছু থাকে তখন অনেকেই সুন্দর দেখানোর জন্য তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান। এই সময় খুব তাড়াতাড়ি ভূঁড়ি কমিয়ে ফেলতে লাক্সেটিভের সাহায্য নেন তারা। কিন্তু এই সাময়িক সমাধানই পরে তাদের ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আবার নিউট্রশনিস্ট মানসী ছাতরতের মতে লাক্সেটিভ ডায়েট ওজন দীর্ঘ সময় ধরে ওজন কমাতে পারে এই মিথ এখন ভাঙার সময় এসেছে। ওজন কমানোর জন্য লাক্সেটিভ ড্রাগ ব্যবহার করলে তা থেকে পেশী, স্নায়ুর ক্ষতি যেমন হয়, তেমনই খাদ্যনালীও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাক্সেটিভ ব্যবহার করলে শরীরের মিনারেল, ইলেকট্রোলাইট, ভিটামিন, ফাইবার, জল ক্ষয় হওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ফলে ওজন কমে। সাময়িক ভাবে ওজন কমাতে লাক্সেটিভ ব্যবহার করলেও কাঁপুনি, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। এই প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘ দিন ধরে চলতে তা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।