Mahhi Vij on IVF Birth

‘আইভিএফ করছি, তা-ও বলা বারণ ছিল’! বিচ্ছেদ জল্পনার মাঝে বিয়ের অবস্থা বুঝিয়ে বললেন মাহি

মাহি ভিজ এবং জয় ভানুশালীর কন্যা তারার জন্ম হয় ২০১৯ সালে। সম্প্রতি সেই মেয়ের জন্ম নিয়ে মুখ খুললেন মা। আইভিএফ অর্থাৎ ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন পদ্ধতির মাধ্যমে তারার জন্ম হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৮:১২
Share:

কন্যার সঙ্গে মাহি ভিজ এবং জয় ভানুশালী। ছবি: সংগৃহীত।

১৫ বছরের দাম্পত্য ভাঙতে চলেছে। মুম্বইয়ের টেলিপাড়ায় তেমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী মাহি ভিজ এবং জয় ভানুশালীকে নিয়ে। তারকা দম্পতির কন্যা, তারার জন্ম হয় ২০১৯ সালে। সে মায়ের সঙ্গে থাকবে, না কি বাবার সঙ্গে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি সেই মেয়ের জন্ম নিয়ে মুখ খুললেন মাহি। আইভিএফ অর্থাৎ ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন পদ্ধতির মাধ্যমে তারার জন্ম হয়েছিল।

Advertisement

আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) হোক বা আইসিএসআই (ইন্ট্রাসাইটোপ্লাজ়মিক স্পার্ম ইনজেকশন) অথবা আইইউআই (ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন), যে কোনও পদ্ধতিতেই শিশুর জন্ম হলে ভ্রকুটি দেখা যায় সমাজে। মাহি বলছেন, ‘‘আইভিএফ নিয়ে আমার কোনও সমস্যাই ছিল না। কারণ, আমি আর জয় চেষ্টা করছিলাম স্বাভাবিক উপায়েই। আমরা সুরক্ষা ব্যবহার করতাম না। কিন্তু তার পরও যখন দেখা গেল, আমি অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছি না। যথেষ্ট সক্রিয় ছিলাম আমি। মা হতে চাইছিলাম। খুব স্পষ্ট বক্তব্য, স্পষ্ট দাবি ছিল আমার। কিন্তু আইভিএফ-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আমাকে বলা হল, যেন বাইরের কাউকে না বলি। সবাই যেন ভাবে, স্বাভাবিক উপায়েই সন্তান হচ্ছে। সে রকমই বলার পরামর্শ আসে। নয়তো নাকি লোকে ভাববে, আমি সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম।’’

আইভিএফ অর্থাৎ ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন। ছবি: সংগৃহীত।

অভিনেত্রী সে কথায় রাজি হননি। তাঁর কাছে সন্তানের জন্ম হওয়াটাই আসল, কী ভাবে হচ্ছে, তা গৌণ। মাহির স্পষ্ট কথা, ‘‘এ রকম নয় যে, আমরা জন্ম দিতে পারি না। কিন্তু স্বাভাবিক উপায়ে কাজ হচ্ছিল না কোনও ভাবে। সে তো আমাদেরই সন্তান। আমরাই ভ্রুণ তৈরি করেছি, আমার শরীরেই সে বড় হচ্ছে। এমন নয় যে, সে আমাদের সন্তান নয় বা স্বামী ছাড়া অন্য কারও শুক্রাণু নিয়েছি।’’

Advertisement

জয়ের স্ত্রী মনে করেন, আইভিএফ নিয়ে এখনও সমাজে ছুতমার্গ রয়েছে। তাই নানা কথায় কান না দিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারাকে এ পৃথিবীতে এনেছেন। আর এখন সম্ভবত একাই বড় করবেন মেয়েকে। কারণ, কথোপকথনের শেষে তিনি নিজের মা-বাবা, সন্তান এবং বন্ধুবান্ধবের কথা বলে জানান, এর বাইরে কারও মতামত নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement