বর্ষার জন্য পোষ্যের রুটিনে বদল? তাদের মন ভাল রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
টানা বৃষ্টি। বাইরে বেরোতে না পারলে কি মন খারাপ লাগে? বিরক্তি, একঘেয়েমি চেপে ধরে? এমনটা কিন্তু হতে পারে আপনার পোষ্যেরও। মেঘলা দিন, ঘরবন্দি জীবন কুকুর, বিড়ালের মনেও রেখাপাত করে। বিড়াল অলসযাপনে সুখ খোঁজে। কিন্তু সারমেয়র শরীরচর্চার প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য হাঁটাহাটি, দৌড়াদৌড়ির দরকার হয়। না হলে তারা যেমন স্থূলত্বের শিকার হতে পারে, তেমনই চার দেওয়ালে আবদ্ধ থেকে তাদের মনখারাপ হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু বর্ষার মরসুমে বৃষ্টি ধরলেও জল-কাদায় কোথায় হাঁটতে নিয়ে যাবেন সারমেয়কে?
পশুরোগ চিকিৎসক স্বাতী হরিন্দ্রন জানাচ্ছেন, বর্ষার মরসুমে ঘরে থাকার ফলে পোষ্যের শরীরচর্চা বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে মনেও। দীর্ঘ দিন বাইরে বেরোতে না পারলে বা দৈনন্দিন রুটিন বদলের ফলে সারমেয়র আচরণেও বদল আসতে পারে। অশান্ত হয়ে উঠতে পারে তারা। ডাকাডাকি করতে পারে। পোষ্যকে ভাল রাখার জন্য তার রুটিন ঠিক রাখা, তাকে সময় দেওয়া জরুরি।
কী ভাবে ঘরেই হবে শরীরচর্চা?
· পোষ্যবান্ধব কোনও খাবার তোয়ালে মু়ড়িয়ে সারমেয়কে শুঁকিয়ে ঘরের কোথাও রেখে দিন। সারমেয়কে উৎসাহ দিন সেটি খুঁজে বার করতে। এ ভাবে জিনিস খোঁজার মাধ্যমে তাকে ব্যস্ত রাখা যাবে, সারমেয়র অঙ্গ সঞ্চালন হবে। এতে তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়বে।
· ঘরেই হবে বলখেলা। বাড়ির বসার ঘর বা বারান্দায় বল নিয়ে পোষ্যের সঙ্গে খেলুন। বল ছুড়ে দিয়ে তাকে আনতে বলুন। বিড়ালের ক্ষেত্রে কাগজের বল ব্যবহার করতে পারেন।
· ঘরের মধ্যে বালিশ, চেয়ার এমন ভাবে সাজান, যাতে পোষ্যকে সেই সব বাধা কাটিয়ে এগোতে হয়। কোনও একটি জায়গায় তার পছন্দের খাবার বা উপহার রাখুন। যেটা সে বাধাগুলি কাটিয়ে এগিয়ে আসতে পারলে পাবে। বিড়াল, কুকুর দু’জনের সঙ্গেই এই খেলা খেলতে পারেন। এতে তাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক, দুইয়েরই ব্যায়াম হবে।
· কুকুরের জন্য দড়ি টানার খেলা বেশ ভাল। এতে তাদের মাংসপেশিও সবল হয়। দড়ির এক প্রান্ত কোথাও আটকে দিন। অন্য দিকটি সারমেয় মুখে করে টানবে।
· সামনে কয়েকটি খেলনা ছড়িয়ে রাখুন। একটি খেলনার নাম বলে দেখুন, পোষ্য সারমেয় সেটি আনতে পারছে কি না। এক দিনে এটি শেখানো যাবে না। বার বার অভ্যাসে সে শিখে যাবে।