করিশ্মা-করিনার সঙ্গে রণধীর-ববিতা। ছবি: সংগৃহীত।
৩৭ বছর ধরে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু খাতায়কলমে এখনও স্বামী-স্ত্রী। রণধীর কপূর এবং ববিতা বিয়ে করেছেন ১৯৭১ সালে। দুই কন্যা করিশ্মা এবং করিনা কপূরের জন্মের পর ১৯৮৮ সালে তাঁদের ছাদ আলাদা হয়ে যায়। যদিও আইনি বিচ্ছেদ করেননি তাঁরা। এখন জীবনের শেষবেলায় পৌঁছেছেন তারকা দম্পতি। দু’জনের বয়সই ৭৮ বছর। বার্ধক্যে এসে একে অপরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রণধীর-ববিতা। জানালেন তাঁদের কন্যা করিনা। বলি নায়িকার কথায়, ‘‘বৃদ্ধ বয়সে একে অপরের হাত ধরে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কারণ, তাঁদের শুরুটা ঠিক এমনই ছিল।’’
৩৭ বছর ধরে বিচ্ছিন্ন স্বামী-স্ত্রী বার্ধক্যে এসে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে এক ছাদের তলায় থাকতে চাইছেন। এমন ঘটনা বিরল না হলেও খুব বেশি দেখা যায় না। বিশেষ করে ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর যুগে যেখানে ৫০ বছরের বেশি বয়সের পর অর্থাৎ প্রৌঢ়ত্ব পার হয়ে বিচ্ছেদ করছেন, সেখানে বিচ্ছিন্ন দম্পতি এক হচ্ছেন। তবে এমন ঘটনাও দেখা যায়, যেখানে আইনি ভাবে আলাদা হয়ে গিয়েও বয়সকালে এসে একসঙ্গে থাকেন যুগল। রণধীর-ববিতার মতোই। বেশ কয়েকটি কারণে এই সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি।
বার্ধক্যে এসে একে অপরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রণধীর-ববিতা। ছবি: সংগৃহীত।
অর্থনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক: বৃদ্ধ বয়সে নিজেদের সঞ্চয়ের উপরই জীবন কাটাতে হয়। সেখানে দু’টি আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকা, আলাদা খরচ অনেক ক্ষেত্রে বহন করা সহজ হয় না। তাই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন বয়স্কেরা। একটি বাড়িতে থাকলে খরচ কম হয় অনেকটাই।
একাকিত্ব কাটে: বার্ধক্য মানেই জীবনের গতি থেকে ছিটকে যাওয়া। সময় কাটতে চায় না এই বয়সে। সন্তানের নিজেরা নিজেদের মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বন্ধুবান্ধবের আলাদা সংসার রয়েছে। তাই রণধীর-ববিতার মতো বিচ্ছিন্ন স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাতে পারেন। সঙ্গীর প্রয়োজনে এমন পদক্ষেপ করেন অনেকেই। তা ছাড়া বার্ধক্যজনিত অসুখবিসুখে কাউকে পাশে পেলেও সুবিধা হয়।
সন্তানদের প্রয়োজনে: অনেক সময়ে ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের শরীর, স্বাস্থ্য, মনের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। নিজেদের সংসার সামলানোর পাশাপাশি দুই বাড়িতে বাবা আর মাকে সামলানো সহজ হয় না। তাঁদের প্রয়োজনেও এক হওয়ার কথা ভাবেন অনেকে।