Love Brain Disease

সারা দিনে অজস্র বার মনের মানুষটিকে ফোন করেন? ‘লভ ব্রেন ডিজ়অর্ডার’-এ আক্রান্ত হননি তো?

সারা দিনে ১০০ বার ফোন করে সঙ্গীর খোঁজ নিতেন। কখন কোথায় আছেন, কী করছেন, সব জানা চাই। পাতি সন্দেহ না কি অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে মনে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৭
Share:

বেশি ভালবাসলেও বিপদ আছে। ছবি: সংগৃহীত।

‘বাবু খাইসো?’ ভালবাসার মানুষটি কখন কী করছেন, কী খাচ্ছেন, তার খোঁজ নেওয়া কি অন্যায়? একেবারেই নয়। তবে, তারও তো একটা সীমা রয়েছে। ভালবাসা বাড়তে বাড়তে যদি দিনে ১০০ বার ফোন করে খোঁজ নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তা হলে সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয় বইকি! এমনই অভিজ্ঞতা হল চিনের এক যুবকের। প্রেমিকার ফোনের জ্বালায় শেষমেশ পুলিশ ডাকতে হল তাঁকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয় তরুণীকে। চিকিৎসকেরা জানান, তরুণী ‘লভ ব্রেন ডিজ়অর্ডার’-এ আক্রান্ত!

Advertisement

চিনের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিওয়াউ নামে বছর ১৮-র ওই তরুণী শুরু থেকেই প্রেমিকের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। প্রেমিক কখন কোথায় রয়েছেন জানতে বার বার তাঁকে ফোন করতেন। এক দিন তো সীমা ছাড়ান তরুণী! ১০০ বারের বেশি ফোন করে ফেলেছিলেন প্রেমিককে। অতিষ্ঠ হয়ে যুবকও ফোন তোলেননি। তাতেই বিপত্তি! প্রেমিক ফোন না তোলায় জিওয়াউ এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে বাড়ির জিনিসপত্র পর্যন্ত ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার পর কার্যত ভয় পেয়ে পুলিশে খবর দেন যুবক।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি, বাড়িতে পুলিশ আসায় ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন জিওয়াউ। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের সাহায্যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক দু না জানান, চিকিৎসা পরিভাষায় বিশেষ ব্যবহৃত না হলেও প্রেমঘটিত সম্পর্কে এমন আসক্তিকে ‘লাভ ব্রেন’ বলা হয়ে থাকে। যা ‘বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’-এর একটি ধরন। চিকিৎসকের দাবি, জিওয়াউয়ের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তাঁর ছোটবেলার কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা।

Advertisement

জিওয়াউয়ের অসুখের নির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারলেও চিকিৎসকের বক্তব্য, ছোটবেলার বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তেমন ভাল না হলে সাধারণত এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন