সেই ১৯০৫ সাল থেকে রয়্যালের বিরিয়ানি, চাঁপের প্রেমে মশগুল বাঙালি।
কলকাতার বিরিয়ানি মানেই নরম তুলতুলে মাংস আর গরম ধোঁয়া ওঠা সুগন্ধী চালের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া পেলব আলু। সুদূর লখনউ থেকে নবাবের হাত ধরে কলকাতায় এসে বিরিয়ানিতে এই নতুন সংযোজন হলেও সেই আদি লখনউভি ঘরানা অটুট রেখেছিল একমাত্র রয়্যাল ইন্ডিয়ান রেস্তোরাঁ। কলকাতার প্রায় সব বিরিয়ানি বিক্রেতাই বিরিয়ানিতে আলু ঢোকালেও এ ব্যাপারে টলানো যায়নি রয়্যাল ইন্ডিয়ান রেস্তোরাঁকে।
সেই ১৯০৫ সাল থেকে রয়্যালের বিরিয়ানি, চাঁপের প্রেমে মশগুল বাঙালি। ১১২ বছরে একচুলও ভাঁটা পড়েনি সেই প্রেমে। বরং দোকানের বাইরে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে লাইন। অন্যান্য বিখ্যাত বিরিয়ানি বিক্রেতাদের শহরে একাধিক শাখা থাকলেও রয়্যাল কিন্তু রবীন্দ্র সরণিতে তাদের মূল দোকানেই ১১০ বছর পরিবেশন করে গিয়েছে ঐতিহ্যশালী বিরিয়ানি।
আরও পড়ুন: ভাত বা রুটির মতো রোজকার খাবারে কত ক্যালোরি থাকে জানেন?
২০১৫ সালে পার্ক সার্কাস মোড়ে তাদের প্রথম শাখা খোলে রয়্যাল। বুঝতে পারে নতুন প্রজন্মের কাছে বিরিয়ানিতে আলুর চাহিদা ঠিক কতখানি। তবে নিজেদের ঐতিহ্য ভাঙতেও নারাজ। না হয় নাই ভাঙল, একটু মচকালে কেমন হয়? তাই অবশেষে শতাব্দী প্রাচীন রেসিপিতে ঠাঁই পেল আলু। তবে মূল দোকানের হেঁশেলে তা আজও নিষিদ্ধ। শুধু মাত্র পার্ক সার্কাসের শাখার বিরিয়ানিতেই মিলবে আলু। দাম প্রতি প্লেট ১৮৫ টাকা।
আরও পড়ুন: কেন মাঝে মাঝে সন্তানদের ছাড়াই বেড়াতে যাবেন?
সব বিরিয়ানিতে মোটেও আলু মেশাতে রাজি নয় রয়্যাল। তাই অর্ডার দিলেই পেয়ে যাবেন রয়্যাল স্পেশ্যাল (আলু বর্জিত) বিরিয়ানি।