সদ্য মা হয়েছেন? শিশুর বয়স বছর খানেকও হয়নি? ইদানিং প্রায়ই দেখছেন মাঝে মধ্যেই কাঁদতে থাকে আপনার বাচ্চা। এ দিকে শিশুর খাওয়ার ব্যাপারে আপনি খুবই যত্নবান। অন্যদের উপদেশে আপনি কিছুটা বিভ্রান্ত। কী করবেন কী করবেন না ভেবে উঠতে পারছেন না। চিন্তা করবেন না। আপনার মুশকিল আসান হিসেবে হাজির নয়া স্মার্টফোন অ্যাপ। ‘ইনফান্ট ক্রাইস ট্রান্সলেটর’ নামে অত্যাধুনিক অ্যাপটি তৈরি করেছেন তাইওয়ানের এক দল গবেষকদের।
এখন বাবা-মা দু’জনেই ব্যস্ত। বেশিরভাগই চাকরি করেন। সদ্যোজাত সন্তানের হ্যাপা সামলানোও সহজ নয়। এর মধ্যে শিশু যদি ঘন ঘন কাঁদতে থাকে, তা হলে তো শিরে সংক্রান্তি! সব সময় ওইটুকু শিশুকে নিয়ে চিকিত্সকের কাছেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। আবার এ যুগের বেশির ভাগ মানুষই টেকস্যাভি। সিংহভাগই স্মার্টফোনে অভ্যস্ত। বাচ্চা সামলানোর জন্য নয়া অ্যাপ বানানোর ধারনা মাথায় খেলে যায় তাইওয়ানের গবেষকদের। অ্যাপটিকে নিখুঁত বানাতে বিশাল তথ্য-ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। শ’খানেক নবজাতক শিশুর প্রায় লাখ দু’য়েক বিভিন্ন কান্নার ভঙ্গিমা রেকর্ড করেন তাঁরা।
পড়ুন
বেড়াতে যাবেন? সঙ্গে রাখুন আটটি অ্যাপ
কী ভাবে কাজ করবে অ্যাপটি?
গবেষকদের দাবি, বাচ্চা যখন কাঁদবে, তখন দশ সেকেন্ডের জন্য রেকর্ডিং বোতাম টিপে কান্না রেকর্ড করে রাখবেন ব্যবহারকারী। রেকর্ড করা কান্নার আওয়াজটি আপ হবে ক্লাউড ড্রাইভে। এর পরেই কাজ শুরু করবে অ্যাপটি। বাচ্চার কান্না চারটি ভিন্ন স্ট্যাটাসে পরীক্ষা করে দেখা হবে। খিদে পেয়েছে? না কি ডায়পার ভিজে গিয়েছে? ঘুম পেয়েছে সেই জন্য কি কাঁদছে? না কি কোথায় ব্যথা লেগেছে?— এই সবই পরীক্ষা করে দেখবে অ্যাপটি। ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনে পৌঁছে যাবে উপায়মন্ত্র। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের মন জয় করেছে এটি। ফিডব্যাক খুবই ভাল। গবেষকদের মতে মাস ছয়েকের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী অ্যাপটি।
তাই, বাচ্চা মানুষ করা স্মার্টফোনের কম্ম নয় ভেবে আর নাক সিঁটকোবেন না। বরঞ্চ হাত বাড়ান নয়া ‘ইনফান্ট ক্রাইস ট্রান্সলেটর’ অ্যাপের দিকে। অ্যাপল স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি।
ছবি: গেটি ইমেজেস।