গান-বাজনা, যা কিনা মনের আরাম, আত্মার আনন্দ। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান গান-বাজনাকেও অসুখের পথ্য হিসেবে দেখছে। কিন্তু জানেন কি, গান-বাজনা আপনার সন্তানকে মেধাবীও করে তোলে। আপনার সন্তানের মধ্যে ঠিক কী কী বিশেষ গুণের বিকাশ ঘটায় এই গান-বাজনা, রইল তার তালিকা। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বিজ্ঞান বলছে, গান-বাজনার চর্চা আপনার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ তো ঘটায়ই, সঙ্গে তার মস্তিষ্কের কোষগুলিকে তাজা রেখে তাকে স্মৃতিধর করে তোলে। গানের স্বরলিপি বা বাজনার তাল মনে রাখার অভ্যাসই তার স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
শিশুকে আবেগপ্রবণ করে তোলে গান-বাজনা। এমন বিষয়ের সঙ্গে সাহিত্যের যোগ থাকায় শিশু কল্পনাপ্রবণ হতে শেখে, তার সঙ্গে আবেগ বুঝতেও পারে সহজে। মঞ্চে অনুষ্ঠান করার সময় দর্শকদের ইচ্ছা-চাহিদা বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। যার প্রভাবে যে কোনও মানুষের চাহিদা অনেক সহজেই পড়তে পারে সে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
গান-বাজনা শেখার সঙ্গে জনসমক্ষে তা অভ্যাস করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। মনোবিদ লিপিকা ভট্টাচার্যের মতে, গান-বাজনা হোক বা কোনও অন্য গুণ— তা নিয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ ছোটবেলা থেকেই পেলে সন্তানের ভীতি দূর হয়, সমালোচনা গ্রহণ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সুতরাং তা তার আত্মিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
গান-বাজনার চর্চা ও অভ্যাস সন্তানকে ধৈর্যশীল করে তোলে। যেহেতু, গান বা সুর একটু একটু করে শিখতে শিখতে এগোয় সে, তাই সহজে হাল না ছেড়ে বিষয়টিকে আয়ত্তে আনার অভ্যাস এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, গান-বাজনা শেখা শিশুর মন অন্যদের তুলনায় দৃঢ়ও হয়। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
গান-বাজনা শিশুকে সঙ্গও দেয়। ফলে একাকিত্ব, হতাশা এ সব গ্রাস করতে পারে না সহজে। তার অবসরে সে গান-বাজনাকেই আঁকড়ে ধরে। ফলে, মনখারাপ বা জীবনের কঠিন মুহূর্তেও সে ভেঙে পড়ে না। তার মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এই গান-বাজনাই। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
গান-বাজনার শিক্ষা যেহেতু দীর্ঘমেয়াদী, তাই সারা জীবনই নতুন শিখে চলার মানসিকতা তৈরি হয়ে যায় শিশুর মধ্যে। যা তাকে জীবনের অনেক পাঠ নিতে সাহায্য করে। সরা জীবন শিখনপদ্ধতির মধ্যে দিয়ে চলে বলে তার মনেও শেখার খিদে থাকে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।