ব্রণ সরাতে নজর দিন খাদ্যতালিকায়। ছবি: শাটাকস্টক।
কোনও কালবিশেষে নয়, সারা বছরই যে সব রোগ আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে, তার মধ্যে ব্রণ অন্যতম। এই অসুখে কেবল যে চেহারা কুৎসিত হয় তা-ই নয়, আত্মবিশ্বাসও কমে। এই নিত্য সমস্যা নিয়ে অনেকেই জেরবার হন। নানা ওষুধ, চিকিৎসার পর সাময়িক নিস্তার মিললেও আবারও শুরু হয় ব্রণর উৎপাত। তৈলাক্ত ত্বক এই সমস্যার সবচেযে বড় শিকার। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাস, পরিবর্তিত জীবনযাপনে এই অসুখের থাবা কেবল আর তৈলাক্ত ত্বকে আটকে নেই, বরং সব ধরনের চামড়াতেই এর প্রভাব লক্ষ্যণীয়।
তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ওষুধ বা মলমের তুলনায় খাদ্যাভ্যাস ও ডায়েটে পরিবর্তন এনেই ব্রণর সঙ্গে লড়াই করায় বিশ্বাসী। কম ওষুধ খেয়ে খাদ্যাভ্যাস বদলালেই যদি এই অসুখের প্রকোপ থেকে নিস্তার পাওয়া যায় তা হলে মন্দ কী?
তবে ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, ব্রণ যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, তা হলে খাবারদাবারের মাধ্যমেই তা সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্তই প্রয়োজনীয়। কেন হয় ব্রণ, কী কী খাবার মেটাতে পারে এই সমস্যা— চিকিৎসকের পরামর্শ রইল আপনার জন্য।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন ওষুধ নয়, আঞ্জনি সারান ঘরোয়া এই উপায়ে
কেন হয় ব্রণ
সহজ কথায় বললে, কোনও কারণে ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণে বাধা পায়। তখনই সেবাম ভিতরে জমে ফুলে ওঠে, আর ব্রণর জন্ম হয়।
কোন কোন খাবারে আস্থা
জলপাই: জলপাই শরীরে তেলের ভারসাম্য রক্ষা করে। ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে তো বটেই, সঙ্গে এর তেল ত্বকে শোষিত হয় রোমকূপের মুখ বন্ধ না করেই। কাজেই ভিতরের স্বেদ, ঘাম সবই বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়।
লেবুর রস: রক্তের অতিরিক্ত টক্সিন বার করে শরীরকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে লেবু। এর সাইট্রিক অ্যাসিড লিভারকে সক্রিয় রাখে। হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে তেল-মশলাদার খাবারের আধিক্যে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে সহজেই। (ছবি: পিক্সঅ্যাবে)
তরমুজ: গরম কালে তরমুজ মরসুমি ফলের অন্যতম। ব্রণ এড়াতে গরম কালে রোজ খান তরমুজ। এই ফল শুধু শরীরে জলের চাহিদা মেটায় এমনই নয়, এতে থাকা ভিটামিন এ, বি ও সি ত্বককে পরিষ্কার করে, ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ, শরীরের অভ্যন্তরীণ তেল শোধন করে তরমুজ। শুধু তা-ই নয়, ত্বকে ব্রণর দাগ দূর করতেও বিশেষ সহায়ক এই ফল।
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: দুধ-দই-মাখন, যা-ই খান না কেন, চেষ্টা করুন তা যেন ডাবল টোনড ও কম ফ্যাটযুক্ত হয়। এতে শরীরে ঘি-মাখনের তেল কম প্রবেশ করে। (ছবি: পিক্সঅ্যাবে)
জল: নিয়ম মেনে জল খান। প্রচুর জল যেমন উপকারী নয়, তেমনই শরীর তার দরকারি জল না পেলে অপ্রয়োজনীয় ময়লা সরাতে পারে না। তাই নিয়ম মেনে জল খাওয়া ব্রণ কমানোর সহজতম পন্থার মধ্যে এটি অন্যতম।
টক দই: যে কোনও সুস্থ ডায়েটে টক দই আবশ্যিক। শরীরের টক্সিন দূর করা থেকে শরীরে অপকারী ব্যকটিরিয়ার সঙ্গে লড়াই— সবেতেই টক দইকে রাখুন সঙ্গে। মৃতকোষ সরিয়ে ত্বকের কোষে জল সরবরাহ করে তাকে সুস্থ ও তাজা রাখতে সাহায্য করে টক দই। (ছবি: শাটারস্টক)
আরও পড়ুন: এই বর্ষায় জ্বর, সর্দি-কাশিকে ভয়? এ সব মশলার জাদুতে থাকুন সুস্থ