হোয়াটসঅ্যাপ হোক বা ইনস্ট্রাগ্রাম— ইমোজি ছাড়া আমরা ভাবতেই পারি না। এমনকী, এর জনপ্রিয়তা এমনই যে, পছন্দের ইমোজির আকারের বালিশ বা বল কিনেও জমিয়ে রাখি আমরা। কিন্তু জানেন কি, ব্যবহৃত অধিকাংশ ইমোজির মানেই আপনি ‘ভুল’ জানেন! ১৭ জুলাই বিশ্ব ইমোজি দিবসে জেনে নিন নানা ইমোজির সঠিক মানে ও ব্যবহার। কোত্থেকে এল তারা! ছবি: শাটারস্টক।
এই ইমোজিকে বেশির ভাগ মেয়েরাই ব্যবহার করেন দলবেঁধে মজা করা বোঝাতে। কিন্তু জানেন কি, জাপানি প্রযুক্তিবিদদের বার করা এই ইমোজির আসল মানে কী? খরগোশের কানওয়ালা মেয়ে আসলে যৌনতার প্রতীক। মেয়েদের সেক্স অ্যাপিলই এই ইমোজির আসল অর্থ!
এই ইমোজি তো ব্যবহার করেন জীবনে বিস্ময়কর কিছু ঘটলে? অথবা বন্ধুমহলে ফুর্তির রেটিং বোঝাতে? আসল মানেটা জানলে চমকে যাবেন কিন্তু। এই ইমোজি আসলে তৈরি হয়েছিল মাথা ঘোরা বোঝাতে! জানতেন?
প্রতিদিন ব্যবহার হয় এই ইমোজি। কখনও ‘গেট ওয়েল সুন’–এর প্রার্থনা বোঝাতে, আবার কখনও বা হাই ফাই-এর চিহ্ন বোঝাতে। ভুল জেনে বা না জেনেই এত দিন এমন করে থাকলে আজই বদলান ধারণা। এই ইমোজি আদতে এসেছিল ক্ষমা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই।
আহা! কেমন লাগছে আমাকে, কিংবা নতুন হেয়ার কাটিং কেমন হল— এ সব জানতে চেয়েই এত কাল এই ইমোজি ব্যবহার করলে আজই সে অভ্যাস বদলান। এই ইমোজি আসলে ‘ইনমরফেশন গার্ল’-এর প্রতীক। যে কিনা তথ্য দিয়ে সাহায্য করে আমাদের। আপনার মাথা ঘামানো বন্ধ করুন, আর আমাদের তথ্যে ভরসা রাখুন— এমনই এর আসল মানে!
এই পপ ইমোজিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশার সময় ব্যবহার করে থাকেন? খুব হাসির কথা বা মজা বোঝানোর সঙ্গে জুড়ে দেন এই ইমোজির লেজুড়? তা হলে জেনে রাখুন, জাপানের প্রযুক্তিবিদদের ‘ব্রেন চাইল্ড’ এই ইমোজি-র আসল মানে ‘শুভেচ্ছা’। ‘গুড লাক’ বোঝাতেই এটার ব্যবহার চালু করেছিলেন তাঁরা।