কারণ ছাড়া আমরা অনেক কিছু করি। অনেক ক্ষেত্রে এই ‘অকারণ’গুলি কেড়ে নেয় আমাদের বেশ খানিকটা সময়ও। আবার অনেক ক্ষেত্রে এগুলি বদভ্যাসে পরিণত হয়। দেখুন তো এই অদ্ভুত অভ্যাসগুলির শিকার আপনিও নয় তো? ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বিদেশের একটি সমীক্ষা বলছে, সারা দিন মিলিয়ে গ়ড়ে ২০ মিনিট মানুষ কোনও ঘরে অকারণ পায়চারি করে। দুশ্চিন্তা হোক বা কোনও বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা— পায়চারি না করলে মন বসাতে পারেন না অনেকেই। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
হাতের কলম বা পেনসিল নাড়িয়ে চলাও এই অভ্যাসগুলোর অন্যতম। আমরা আমাদের হাতকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে ভালবাসি। তাই, হাতের কাছে কিছু থাকলে তা নিয়ে নাড়াচাড়া করা মানুষের প্রবৃত্তি বলে মনে করেন মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। যাদের চশমা আছে, তারাও ঘন ঘন কারণে-অকারণে চশমা খোলেন, মোছেন, আবার পড়েন। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
গোঁফ বা থুতনিতে অকারণ হাত বুলিয়ে যাওয়াও এক অদ্ভুত মুদ্রাদোষ। অনেকেই ব্যক্তিত্বে ভারিক্কি ভাব ফোটাতে এমনটা করে থাকেন, পরে তা-ই অভ্যাসে পরিণত হয়। জরুরি মিটিং বা সাধারণ আড্ডা, অনেককেই এমন করতে দেখবেন! ছবি: শাটারস্টক।
টেক স্যাভি দুনিয়ায় এই অভ্যাস তো প্রায় সকলের। সব কাজের ফাঁকে, এমনকি দরকারি কাজ হাতে নিয়েও একবার ফোনটা দেখে নেওয়া। এবং তা সম্পূর্ণ অকারণেই! সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মানুষের এত গভীর অংশ গ্রহণকেই এর কারণ হিসেবে দেখছেন মনোবিদরা। এমন অভ্যাস আপনারও আছে নাকি! ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বসে বসে সমানে পা নাচিয়ে যাওয়া মানুষের আরেক বদভ্যাস। কোনও ভাবনার সময় যেমন অনেকের নখ খাওয়া স্বভাব, তেমন অনেকের স্বভাব পা নাচিয়ে যাওয়া। চারপাশে এমন অনেককেই দেখতে পারেন, যিনি স্থান-কাল-পাত্র ভুলে দিব্য পা নাচাতেই থাকেন! ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
কারণে-অকারণে মাথা চুলকান? কেন? ভেবে দেখেছেন, এর আদৌ কোনও কারণ আছে কি না! একটি বিদেশি ব্লগের সমীক্ষা বলছে, পৃথিবীর প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কিছু ভাবতে গেলে বা সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অজান্তেই মাথা চুলকে ফেলে। কেউ বা বই পড়তে পড়তেও এমনটা করেন। ছবি: শাটারস্টক।