Uttanasana Benefits

এত যত্ন করেও চুল কিছুতেই লম্বা হচ্ছে না? রোজ উত্তনাসন অভ্যাস করুন, তাতেই কাজ হবে

সংস্কৃতে ‘উত্তান’ শব্দের অর্থ হল সামনের দিকে টানা। এই আসন অভ্যাস করার সময়ে কোমর থেকে দেহের উপরিভাগ টেনে আনারই নিয়ম। সম্ভবত সেখান থেকেই এই নামের উৎপত্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৫
Share:

কী ভাবে করবেন উত্তনাসন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

বাইরে থেকে চুলের যত্ন নিচ্ছেন। পুষ্টিকর খাবারও খাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও চুল কিছুতে লম্বা হচ্ছে না।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল না হলে হেয়ার ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছোয় না। সে ক্ষেত্রে নতুন চুল গজানো কিংবা দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি না পাওয়াই স্বাভাবিক। মাথার ত্বকে মালিশ করলে অনেক সমস্যা উপকার মেলে। সারা দিনে অন্ততপক্ষে বার দুয়েক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে বলার নেপথ্যেও তো এই ব্যাখ্যাই রয়েছে। তবে যোগ প্রশিক্ষকদের মত, বাইরে থেকে মালিশ করে যেমন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলা যায়, তেমনই নিয়মিত যোগাসন করলেও ভাল ফল মেলে। এ ক্ষেত্রে উত্তনাসন বেশ কাজের। নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। মস্তিষ্কেও দ্রুত গতিতে বিশুদ্ধ রক্ত পৌঁছোয়। চুলের গোড়া মজবুত করতেও এই আসনটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

সংস্কৃতে ‘উত্তান’ শব্দের অর্থ হল সামনের দিকে টানা। এই আসন অভ্যাস করার সময়ে কোমর থেকে দেহের উপরিভাগ টেনে আনারই নিয়ম। সম্ভবত সেখান থেকেই এই নামের উৎপত্তি। ইংরেজিতে যাকে ‘স্ট্যান্ডিং ফরওয়ার্ড বেন্ড পোজ়’ বলা হয়। এই আসন খুব কঠিন নয়। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে অভ্যাস করতে পারলে তবেই ফল মিলবে।

Advertisement

কী ভাবে করবেন?

প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। কোমর, পিঠ থাকবে টান টান। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। হাত দু’টি দেহের দু’পাশে রাখুন।

এ বার কোমর এবং নিতম্বের অস্থিসন্ধি থেকে দেহের উপরিভাগ সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান। তবে খেয়াল রাখবেন হাঁটু যেন ভাঁজ না হয়।

এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। পায়ের দু’টি পাতার দু’পাশে রাখতে পারলে ভাল হয়।

একান্ত যদি না পারেন, সে ক্ষেত্রে কনুই ভাঁজ করে দু’টি হাত একসঙ্গে জড়ো করে রাখুন।

যতটা সম্ভব হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান মাথা। হাত দিয়ে গোড়ালি ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।

শরীর চর্চা করার অভ্যাস না থাকলে খুব বেশিক্ষণ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না। মোটামুটি ১০ সেকেন্ড মতো থেকে আবার প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।

কেন করবেন?

শোণিতধারা সাধারণত মাথা থেকে পায়ের দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু এই ভঙ্গিটি অভ্যাস করার সময়ে মাথা চলে আসে নীচের দিকে। অর্থাৎ, পুরো চক্রটি উল্টে যায়। ফলে মস্তিষ্কে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সজীব রাখতেও সহায়তা করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল এই আসন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রোজ উত্তনাসন অভ্যাস করলে।

মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় থাকে। পিঠ-পেট-কোমরের পেশি মজবুত রাখতে পারে। বন্ধ নাক, সাইনাসের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে উত্তনাসন।

সতর্কতা:

কোমর, পিঠে পুরনো কোনও চোট থাকলে এই আসন করা যাবে না। মেরুদণ্ডের ডিস্ক সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও হিতে বিপরীত হতে পারে। হাঁটু, গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়ে থাকলে উত্তনাসন অভ্যাস না করাই ভাল। যাঁদের মাইগ্রেন, ভার্টিগো, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্যও এই আসন নিষিদ্ধ। অন্তঃসত্ত্বারাও এই আসন করতে যাবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement