heart

শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য হাতে বেশি সময় নেই? এই সব মেনে হার্টকে রাখুন বিপন্মুক্ত

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৩০
Share:

হার্ট ভাল রাখতে জীবনযাপনে আনুন কিছু পরিবর্তন। ছবি: আইস্টক।

আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ও সময়ের অভাবই আমাদের শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছি আমরা, ততই অসুখ কামড় বসাচ্ছে শরীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা গোটা পৃথিবীতেই বাড়ছে। আর হাত ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগ।

Advertisement

তবে এ বছর যা যা অনিয়ম করেছেন, সে সব ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারেন আসন্ন বছরে আর একটু যত্নবান হয়ে। বিশেষত, হৃদরোগ ঠেকাতে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললেই এ বছর আপনার হৃদযন্ত্র আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ ও সতেজ থাকবে। সারা দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে শরীরের প্রতি নজর দেওয়ার সময় অনেকের কাছেই কম পড়ে যায়। তা বলে কি হৃদযন্ত্রের অবহেলা করবেন?

মোটেও না। বরং নতুন বছরের শুরু থেকেই মেনে চলুন মূল ক’টি নিয়ম, যাতে হৃদযন্ত্রের সমস্যা সহজে কাবু না করতে পারে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরা জানালেন এমন কিছু বিষয়, যা মাথায় রাখলে অনেকটাই সুস্থ থাকবে হৃদযন্ত্র।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন? একে অবহেলা করলে কী বিপদ অপেক্ষা করছে জানেন?

ব্যায়াম: দিনের মধ্যে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন ব্যায়ামের জন্য। খুব কঠিন শারীরিক কসরত বা যোগা না করতে পারলেও অন্তত হাঁটাহাঁটি, জগিং, দৌড়নো এ সবে সময় দিন। যাঁরা সাঁতার কাটেন, তাঁরা এই অভ্যাস বজায় রাখুন। তবে হার্টের রোগীরাও দিনে কত ক্ষণ হাঁটবেন তা জেনে নিন আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের থেকে। হাড়ের কোনও অসুখ থাকলে দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা মুশকিল। তাই তেমন কোনও অসুখ থাকলে হাঁটার পরিবর্তে কী কী ব্যায়াম করতে পারেন তা নিয়ে কথা বলুন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।

ফ্যাট: ওজন বাড়ার ভয়ে ডায়েট থেকে অনেকে ফ্যাট বাদ দিয়ে দেন। নিজে নিজে ডায়েট বানানো আর নয়, বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করুন। শরীরের নানা কাজে উপকারী ফ্যাট কাজে আসে। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সঙ্গে সমতা রেখেতাই ফ্যাটকেও রাখতে হবে ডায়েটে। বাদাম, ঘি, মাখন, চিজ, ডিম, নানা তেলযুক্ত মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এগুলি শরীরের নানা কাজে আসে। তাই এদের ঠিক কতটা পরিমাণ রাখতে হবে ডায়েটে, তা জেনে নিন।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

কোলেস্টেরল: শরীরের কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেললেই হার্টকে অনেকটা সুস্থ রাখা যায়। তাই এড়িয়ে চলুন নারকেল তেল ও পাম তেলের রান্না, চর্বিযুক্ত রেড মিট, জাঙ্ক ফুড, সস ইত্যাদি। এ সব খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, ওবেসিটি ডেকে আনে। যা সরাসরি চাপ দেয় হার্টকে।

নুন: হার্টকে সুস্থ রাখতে খাবারে নুন কমিয়ে ফেলুন আজই। আজ পর্যন্ত যতটা নুন খেতেন দিনে, তা থেকে দু’গ্রাম অন্তত কম খাওয়া শুরু করুন। নুন যত কমাবেন, হার্ট তত ভাল থাকবে। খাবার পাতে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই সেই অভ্যাস ত্যাগ করুন।

আরও পড়ুন: ভোল পাল্টে ‘অচেনা শত্রু’ শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জা, দেখে নিন ঠেকানোর উপায়

ধূমপান: বিনা বাক্যব্যয়ে এই অভ্যাস তাড়াতে না পারলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের ক্ষতি রোখা কিন্তু মুশকিল হয়ে পড়বে। যতই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন না কেন, ধূমপানে ‘না’ বলতেই হবে। নিকোটিন যে পরিমাণ ক্ষতি করে হার্টের, ততটা আর কেউ করে না। একেবারে ছাড়তে না পারলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ধীরে ধীরে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পথে এগোন। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানকেও এড়িয়ে চলুন।

ঘুম:সারা দিন ব্যায়াম, ডায়েট, ধূমপানহীন জীবন না হয় কাটালেন, কিন্তু তার পরে দিনের শেষে ঘুমোচ্ছেন কত ক্ষণ? শারীরিক কলকব্জাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিলে কিন্তু হার্টের অসুখকে রুখতে পারবেন না। আট ঘণ্টা ঘুম প্রতি দিন সম্ভব না হলে, অন্তত ছ’-সাত ঘণ্টা বরাদ্দ রাখুন ঘুমনোর জন্য।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন