Water Therapy

জল খেয়েই রোগা হওয়া যায়, শেখাচ্ছে ১০০ বছরের পুরনো এই থেরাপি

জেনে নিন ওয়াটার থেরাপির সাত সতেরো। ওয়াটার থেরাপি শুরু করলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ১৮:৫২
Share:

ওজন কমাতে রয়েছে জলের ভূমিকা। —ফাইল চিত্র।

শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জলের গুরুত্বের কথা কমবেশি সকলেই জানেন। বিশেষত গরমকালে ডিহাইড্রেশন এড়াতে, শরীরকে তরতাজা রাখতে সারাক্ষণই জল খাওয়ার নিদান দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তা বলে ওজন কমানোর জন্য জলের থেরাপি? হলফ করে বলা যায়, কস্মিনকালেও বাঙালি শোনেনি এমনটা। শুনবেই বা কী করে, এই থেরাপির জন্ম তো সেই সুদূর জাপানে!

Advertisement

হ্যাঁ, নেহাত কথার কথা নয়, ছিপছিপে জাপানিরা দীর্ঘকাল ধরেই রোগা হওয়ার দাওয়াই হিসেবে এই জলের টোটকা ব্যবহার করে আসছে। ঈষদুষ্ণ জলে লেবু আর মধু ফেলে খাওয়া, এই অভ্যাস বাঙালির রয়েছে। তাতে কাজও হয়। কিন্তু ‘ওয়াটার থেরাপি’ তার থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে শুধু জলকেই দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ওয়াটার থেরাপির সাত সতেরো

Advertisement

এই থেরাপিতে প্রধান লক্ষ্য থাকে, জলের ব্যবহারে পাকস্থলীকে যাতে সব থেকে ভাল কাজের অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া যায়। একই সঙ্গে লক্ষ্য থাকে হজম শক্তি ফিরিয়ে আনার এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিরা এই টোটকায় বিশ্বাস রেখে আসছে। ফলও মিলছে হাতেনাতে।

আরও খবর: জামা-কাপড় কাচতে সমস্যা! রইল কিছু সহজ টিপস

আরও খবর: ফ্লু-এর সময়ে মুখে স্বাদ নেই! এই খাবারগুলি ডায়েটে রেখে সুস্থ থাকুন​

জল যখন দাওয়াই। —ফাইল চিত্র

জেনে নেওয়া যাক ওয়াটার থেরাপির নিয়মকানুন

১) সকালে উঠেই খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস জল খেতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে খালি পেটে এই অভ্যেস।

২) দাঁত ব্রাশ করার পরেও অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট জল ছাড়া কিছুই খাওয়া চলবে না।

৩) খাবার প্রতি দিন এক সময়ে খেতে হবে। খাবার খাওয়ার পর কোনও ভাবেই দু’ঘণ্টা জল খাওয়া চলবে না।

৪) শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ করে সকালে অনেকেই হয়তো চার গ্লাস জল একবারে খেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে জলের পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস জল দিয়ে।

৫) এই থেরাপি চলাকালে জল হোক বা অন্য কোনও খাবার, কখনওই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবেন না।

ওয়াটার থেরাপি শুরু করলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর ফলে বিপাকের হার বাড়বে। সঠিক ভাবে কাজ করবে পরিপাকতন্ত্র। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ঝরে যাবে অতিরিক্ত মেদ। তার জন্য দরকার নেই কোনও অতিরিক্ত কসরত। প্রয়োজন নেই কোনও ক্ষতিকর কৃত্রিম ডায়েটের যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভোগাতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement