খাবারের উপকরণ এবং গুণমান নির্ধারণ করে দেবে ‘এআইম্যান’। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সময়ের সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনে এআই-এর (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এ বার খাবার তৈরিতে সাহায্য করবে এআই রন্ধনশিল্পী। আগামী সেপ্টেম্বরে বিশ্বের প্রথম এআই রন্ধনশিল্পী দ্বারা পরিচালিত রেস্তরাঁ তার যাত্রা শুরু করবে দুবাইয়ে। রেস্তরাঁরটির নাম ‘উহু’।
রেস্তরাঁটির কর্ণধার জানিয়েছেন, সেখানে খাবার তৈরির ধরন থেকে শুরু করে পদের নির্বাচন, সবটাই করে দেবে একটি এআই এজেন্ট, যার পোশাকি নাম ‘শেফ এআইম্যান’। তবে একই সঙ্গে রেস্তরাঁটি দাবি করেছে, সেখানে এআই থাকলেও খাবার তৈরি করবেন মানুষেরাই। একটি সাক্ষাৎকারে রেস্তরাঁর অন্যতম কর্ণধার আহমেট অইটুন কাকির বলেন, ‘‘খাবার মানুষই রান্না করবেন, কিন্তু এআই সেখানে নতুন নতুন ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা সারা বিশ্বের খাদ্যরসিকদের অন্য রকমের অভিজ্ঞতা উপহার দেবে।’’
সমাজমাধ্যমে এআই রন্ধনশিল্পী
ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রচারের উদ্দেশে ‘এআইম্যান’কে প্রকাশ্যে এনেছে ওই রেস্তরাঁ। মানুষের মতো তাকে দেখতে। তবে দুই চেখের জায়গাটি বড় আকারের চশমায় ঢাকা। ইতিমধ্যেই সে বিভিন্ন রান্নার পদ অনুরাগীদের শেখাতে শুরু করেছে। নিজেকে সে ‘বিশ্বের প্রথম এআই রন্ধনশিল্পী’ হিসেবে উল্লেখ করছে।
মৌলিকত্ব কোথায়
এআই রন্ধনশিল্পী নিজে খাবারের স্বাদ বা ঘ্রাণ আস্বাদন করতে পারবে না। তা হলে বিষয়টির মৌলিকত্ব কোথায়? এআইম্যানের নির্মাতাদের দাবি, কোনও পদের বিভিন্ন উপকরণের সংমিশ্রণে এআই নতুন ধরনের স্বাদ তৈরি করতে সাহায্য করবে। সেই প্রোটোটাইপগুলিকে তার পর বাস্তবের রন্ধনশিল্পীরা রান্না করবেন। সারা বিশ্বের খ্যাদ্যাভাস বিষয়ক তথ্য এআইম্যানকে শেখানো হয়েছে। ফলে রান্না করতে গিয়ে রন্ধনশিল্পীদের প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারবে সে। পুরো বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন দুবাইয়ের জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী রিফ ওথম্যান।
কোন ধরনের পদ
জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁটি ক্রেতাদের মূলত এশীয় এবং পেরুর নানা পদ পরিবেশন করবে। পদগুলি স্বাদে এবং দর্শনে অনন্য হবে বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে এই রেস্তরাঁর খাবার খেতে হলে এক জন ব্যক্তির কত টাকা খরচ হতে পারে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।