বর্ষায় ভোগান্তির ভয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে

বরাদ্দ না মেলায় বন্ধ নির্মাণ

দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ না মেলায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের নয়া ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে হাসপাতাল পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছিল ৬ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০৪:৩৪
Share:

অসমাপ্ত পড়ে হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির কাজ। ছবি: বাপি মজুমদার।

দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ না মেলায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের নয়া ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে হাসপাতাল পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছিল ৬ কোটি টাকা। প্রথম দফায় ২ কোটি টাকা পায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বাকি টাকা না মেলায় ৪ মাস ধরে সেই নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনও। কয়েক মাস পরেই বর্ষা। হাসপাতালের পুরোনো ভবনের টিনের চাল চুঁইয়ে বর্ষায় অন্তর্বিভাগ এবং বহির্বিভাগ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ষার আগে নতুন ভবন চালু না হলে পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ মণ্ডল বলেন, “যে সংস্থা ভবন নির্মাণের কাজ করছে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ অর্থে কাজ শেষের রিপোর্ট তারা পাঠিয়ে দিয়েছে। বরাদ্দ দেওয়াটা স্বাস্থ্য ভবনের বিষয়। কেন বরাদ্দ মেলেনি বা কবে বরাদ্দ মিলবে তা জানি না।”

২০৫৫ সালে তৈরি ৬০ শয্যার ওই হাসপাতাল ভবনের মাথায় রয়েছে টিনের চাল। গ্রীষ্ম, বর্ষা দুই মরসুমেই টিনের চালের কারণে দুর্ভোগ হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের শৌচাগার ব্যবহারের আযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। সে কারণেই হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। গত নভেম্বর মাস থেকে হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, নতুন ভবন হলে গ্রামীণ হাসপাতালে চক্ষু বিভাগ, বয়ঃসন্ধিকালীন চিকিৎসা, এইডস-এর পরীক্ষা-সহ সদ্যোজাতদের জন্য সিক নিওনেটাল ইউনিট ছাড়াও একাধিক নতুন বিভাগ চালু হওয়ার কথা। বরাদ্দ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কবে এই হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শেষ হবে তা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থার তরফে এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ জরুরি ভিত্তিতে বাকি ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা চেয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠানো হয়। ১৫ দিনের মধ্যে বরাদ্দ না মিললে যে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে তাও জানানো হয়। এখনও বরাদ্দ না আসায় মাস চারেক কাজ বন্ধ আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন