হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয় স্বজনকে। রক্ত পাচ্ছে না থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তেরাও। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে রক্ত মিলছে না। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীর পরিবারতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে রক্তদান শিবির না-হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাসাপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এক ইউনিট রক্তও নেই। রক্ত বদল করে অন্য রক্ত দেওয়া তো দূরের কথা একই গ্রুপের রক্তদাতা না নিয়ে গেলে রক্ত পাচ্ছেন না রোগীর আত্মীয়েরা। ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত শূন্য হওয়ায় উদ্বিগ্ন হাসপাতাল সুপার সুখেন্দু বিশ্বাস বলেন, “ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই জানতে পেরেছি। এলাকার মানুষ ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করলে ওই সমস্যা কমে যাবে।” বাসিন্দারা আগ্রহ দেখালে হাসপাতালের তরফে রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান। ইসলামপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্তের জন্য এই ব্লাডব্যাঙ্কে নির্ভরশীল ইসলামপুরের বাসিন্দারা। সংলগ্ন বিহারের বাসিন্দারা ভিড় করেন ইসলামপুর হাসপাতালে। শয্যাসংখ্যা ১৮০।
রোগীদের রক্তের প্রয়োজন ছাড়াও শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোম, গ্রামীণ হাসপাতাল সবই এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত প্রয়োজন হয় ১০ ইউনিট। অথচ দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রক্তের জোগান নেই। ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ইসলামপুর হাসপাতালে গত বছর ২৫টি রক্তদান শিবির হয়েছে। সেখান থেকে রক্ত মেলে ১১৩৮ ইউনিট। পরিবর্তন করে রক্ত মিলেছে ৮৩৪ ইউনিট। ওই রক্ত দিয়েই সারা বছর রক্তের চাহিদা মেটানো হয়েছে। এ বছর একটিই শিবির হয় ইসলামপুরে। সেখানে রক্ত মিলেছে ৪৫ ইউনিট। তবে ভোটের মুখে রক্তদান শিবির না হওয়ায় রক্ত সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রক্ত দান শিবিরের জন্য তারা উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর উত্তর দিনাজপুর জেলা শাখার কর্তারা। সংগঠনের সম্পাদক সুখেন্দু মজুমদার. বলেন, “গত বছর ২০০ ইউনিট রক্ত দিয়েছি আমরা। ব্লাড ব্যাঙ্কের সমস্যা মেটাতে শিবিরের আয়োজন করব।”