Thailand Cambodia War Over Shiva Temple

হাজার বছরের প্রাচীন শিবমন্দিরের দখল ঘিরে দক্ষযজ্ঞ! রকেট লঞ্চার- লড়াকু জেট নিয়ে যুদ্ধে দুই প্রতিবেশী

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফের বারুদের গন্ধ! সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে সম্মুখসমরে জড়িয়েছে তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বিরোধের মূলে রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন একটি শিবমন্দির।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৫
Share:
০১ ২২

প্রায় হাজার বছরের পুরনো একটা শিবমন্দির। সেই দেবালয়ের দখলকে কেন্দ্র করে সম্মুখসমরে দুই প্রতিবেশী। একে অপরকে চিরতরে শেষ করতে সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা বাড়াচ্ছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ইতিমধ্যেই বারুদবর্ষণে মেতে উঠেছে রকেট লঞ্চার থেকে লড়াকু জেট। এ-হেন মহাদেবের সুপ্রাচীন আরাধনাস্থল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘটাতে পারে ‘প্রলয়ের’ সূত্রপাত। ওই এলাকার রণবাদ্য সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

০২ ২২

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ওই দুই প্রতিবেশী হল তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে চলছিল টানাপড়েন। চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে সংঘাত তীব্র হলে সীমান্তে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুযুধান দুই পক্ষ। এর মূলে রয়েছে প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন ওই শিবমন্দির।

Advertisement
০৩ ২২

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’ এলাকায় ঘন জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রাচীন দেবালয়। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘প্রসাত তা মুয়েন থম’। সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ওই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যুদ্ধে জড়িয়েছে তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া। ধীরে ধীরে যা ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেবালয়টি একাদশ শতাব্দীর ‘খেমার’ হিন্দু মন্দিরগুলির একটি বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সঙ্গে যা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।

০৪ ২২

‘পান্না ত্রিভুজ’-এ অবস্থিত তিনটি প্রাচীন দেবালয় হল তা মুয়েন, তা মুয়েন থম, তা মুয়েন তোচ। এই তিন মন্দিরের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকার্যের যথেষ্ট মিল রয়েছে। একাদশ শতাব্দীতে কম্বোডিয়ার রাজপাট ছিল রাজা দ্বিতীয় উদয়াদিত্যবর্মণের হাতে। তিনি ছিলেন শিবভক্ত। আর তাই দেবাদিদেবের আরাধনার উদ্দেশ্যে তিনটি দেবালয়ে তৈরি করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘প্রসাত তা মুয়েন থম’।

০৫ ২২

দ্বিতীয় উদয়াদিত্যবর্মণ ছিলেন ‘খেমার’ রাজবংশের শাসক। দক্ষিণ ভারতের পল্লব রাজাদের প্রভাবে শৈব এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর তৈরি দেবালয়গুলির গায়ে আজও মেলে সংস্কৃত ভাষায় খোদাই করা শিলালিপি। স্থানীয় ভাষায় আবার ‘প্রসাত তা মুয়েন থম’-এর অর্থ হল ‘গ্রেট টেম্পল অফ দ্য গ্র্যান্ড ফাদার চিকেন’। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওই তিন মন্দিরের অবস্থান ড্যাংরেক পাহাড়ের একটি কৌশলগত গিরিপথের মুখে। কম্বোডিয়ার আংকর এলাকাকে যা তাইল্যান্ডের ফিমাইয়ের সঙ্গে একটি হাইওয়ের মাধ্যমে জুড়েছে।

০৬ ২২

‘প্রসাত তা মুয়েন থম’ পরবর্তী কালে মহাযান বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্রে পরিণত হয়। কম্বোডিয়ার রাজা সপ্তম জয়বর্মণ সেখানে ধর্মশালা এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করেন। ১৮৬৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে উপনিবেশ গড়ে তোলে ফ্রান্স। তাদের হাত ধরেই ১১৮ বছর আগে ব্যাঙ্কক ও নম পেনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের সূত্রপাত হয়। কম্বোডিয়ার শাসনক্ষমতা ফরাসিদের হাতে থাকলেও তাইল্যান্ড ছিল স্বাধীন দেশ।

০৭ ২২

ব্যাঙ্কক ও নম পেনের সীমান্তবর্তী বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর কিছু অংশ লাওসের অন্তর্গত। ১৯০৭ সালে সীমান্ত নির্ধারণ করতে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন কম্বোডিয়ার ফরাসি শাসকেরা। সেখানে ‘পান্না ত্রিভুজ’ এলাকার প্রায় পুরোটাই নম পেনের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। যদিও তা কখনওই মানেনি ব্যাঙ্কক।

০৮ ২২

১৯৫৩ সালের ৯ নভেম্বর ফরাসিদের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কম্বোডিয়া। এর কিছু দিনের মধ্যেই ‘পান্না ত্রিভুজ’কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে নম পেন। কারণ, ফরাসি শাসকদের তৈরি করা মানচিত্র দেখিয়ে কম্বোডিয়া গোটা এলাকার উপর নিরঙ্কুশ দখলদারি চেয়েছিল। কিন্তু, ব্যাঙ্কক ওই মানচিত্র মানতে রাজি না হওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ।

০৯ ২২

এই সংঘাত পর্বের প্রথম দিকে আলোচনার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দু’পক্ষ। কিন্তু, তাতে সমাধানসূত্র বার না হওয়ায় ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর ভাগ্য নির্ধারণের ভার পড়ে আন্তর্জাতিক আদালত বা আইসিজে-র উপর (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস)। ১৯৬২ সালে বিতর্কিত এলাকাটি নিয়ে একটি রায় দেয় ওই আদালত। তাতে কম্বোডিয়া লাভবান হলেও কোনও বিরোধিতা করেনি তাইল্যান্ড।

১০ ২২

১৯৬২ সালের রায়ে ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর অন্তর্গত মম বেই ওরফে চং বোক এলাকাটিকে কম্বোডিয়ার বলে জানিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতে রয়েছে প্রিয়াহ ভিহিয়ার নামের খেমার শাসকদের তৈরি আর একটি প্রাচীন শিবমন্দির। সেটিরও নিয়ন্ত্রণ চলে যায় নম পেনের হাতে। যদিও দেবালয়টির এলাকার আশপাশের জমি কার দখলে থাকবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র হতে থাকে সংঘাত।

১১ ২২

এই পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের ৭ জুলাই ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসাবে প্রিয়াহ ভিহিয়ারকে ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ইউনেস্কো। এর জেরে জটিল হয় পরিস্থিতি। দু’পক্ষের সম্পর্কের আরও অবনতি হয় ২০১১ সালে। ওই বছর কম্বোডিয়া এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্তে বেশ কয়েক দিন ধরে চলে গোলাবর্ষণ।

১২ ২২

চলতি বছরের ২৮ মে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত। ওই দিন মম বেই বা চং বোক এলাকায় মোতায়েন থাকা কম্বোডিয়ার সৈনিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাইল্যান্ডের বাহিনী। এতে তাঁদের কয়েক জনের মৃত্যু হলে আশপাশের গ্রামগুলিতে যুদ্ধের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে গুলিবর্ষণের সাফাই দিতে গিয়ে ব্যাঙ্কক জানায়, ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর বিতর্কিত এলাকায় বেআইনি ভাবে পরিখা খনন করছিল কম্বোডিয়ার বাহিনী।

১৩ ২২

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এ ব্যাপারে পাল্টা বিবৃতি দেয় নম পেন। তাদের দাবি, সীমান্তে সেনাচৌকি রক্ষার জন্য ওই পরিখা খননের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা হয়নি। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো এর মধ্যে আবার কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা বর্তমান সেনেটের সভাপতি হুন সেনের সঙ্গে তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রার একটি ফোনে কথোপকথন ফাঁস হয়ে যায়। তাতে আরও ঘোরালো হয় পরিস্থিতি।

১৪ ২২

তাই ফৌজের দাবি, এর পর প্রিয়াহ ভিহিয়ার থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে ‘প্রসাত তা মুয়েন থম’ মন্দির এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করে কম্বোডিয়া। গত ২৩ জুলাই ড্রোন উড়িয়ে শত্রুর অবস্থান বুঝতে চাইছিলেন তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে মানববিহীন উড়ুক্কু যানগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাই সেনা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লড়াইয়ের বিউগল বাজিয়ে দেয় নম পেন।

১৫ ২২

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জুলাই ভোরে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা প্রেট ভিয়েরা প্রদেশে প্রথমে হামলা চালায় কম্বোডিয়ার বাহিনী। সেখানে তাই সেনার সঙ্গে দিনভর চলে লড়াই। নম পেনের ফৌজ ভারী কামান এবং রাশিয়ার তৈরি বিএম-২১ গ্রাড মাল্টিপল রকেট লঞ্চার দিয়ে ব্যাঙ্ককের সৈন্যশিবির এবং আশপাশের গ্রামগুলিকে নিশানা করে। অতর্কিত এই হামলায় বেশ কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয় তাদের।

১৬ ২২

ওই দিন বেলার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে জোরালো প্রত্যাঘাত শানায় তাই বিমানবাহিনী। কম্বোডিয়ার অভিযোগ, পবিত্র শিবমন্দির প্রিয়াহ ভিহিয়া চত্বরে বোমা ফেলে তারা। যদিও নম পেনের সেই দাবি উড়িয়ে সামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করা হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে তাইল্যান্ড।

১৭ ২২

এ বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর অন্তর্গত ‘প্রসাত তা মুয়েন থম’ মন্দিরে জোরে করে ঢুকে পড়ে কম্বোডিয়ার একদল সেনা। সেখানে তাঁদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও শোনা গিয়েছিল। পরে এই নিয়ে প্রবল আপত্তি জানায় তাইল্যান্ড। কারণ, পাহাড়ের উপরের ওই তিন মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, আন্তর্জাতিক আদালত তা এখনও নিশ্চিত করেনি।

১৮ ২২

ঘন জঙ্গলে ভরা ‘পান্না ত্রিভুজ’ এলাকাটিতে বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অঞ্চলটি বিতর্কিত হওয়ায় দীর্ঘ দিন সেখানে হাত প়ড়েনি কারও। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, ওই এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির ভাগ্য বদলে দেবে। রাতারাতি সেখানকার অর্থনীতিতে আসতে পারে বড় বদল। আর তাই বার বার সীমান্ত সংঘাতে জড়াচ্ছে তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

১৯ ২২

দ্বিতীয়ত, এই এলাকাকে কেন্দ্র করে পর্যটনশিল্পে জোয়ার আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরে বছরে পা পড়ে প্রায় এক লক্ষ দর্শনার্থীর। খেমার রাজবংশের আরও তিনটি দেবালয়ের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কম্বোডিয়ার হাতে গেলে সেখানকার সরকারি কোষাগার যে ফুলেফেঁপে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।

২০ ২২

সংঘাত তীব্র হওয়ার জেরে সীমান্তবর্তী ৮৬টি গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায় তাইল্যান্ড প্রশাসন। কম্বোডিয়ার ফৌজ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, হাসপাতাল এবং একটি জ্বালানিকেন্দ্রকে নিশানা করেছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্তের সমস্ত চেক পয়েন্ট বন্ধ করেছে দু’পক্ষ।

২১ ২২

তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসছে এর নিরাপত্তা পরিষদ। অন্য দিকে, সংঘর্ষ ঠেকাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আমেরিকার ও চিন। যদিও সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন তাই প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা। সীমান্ত সংঘাত পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধে বদলে যাবে বলে কম্বোডিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

২২ ২২

ভারতের সঙ্গে ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জাতি সংস্থা’ বা আসিয়ান-ভুক্ত (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স) যুযুধান দুই দেশের অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সংঘাতে কোনও একটা পক্ষ নেওয়া নয়াদিল্লির পক্ষে বেশ কঠিন। অন্য দিকে, পরিস্থিতি খারাপ হলে সেখানে নাক গলাতে পারে চিন। সে ক্ষেত্রে ওই এলাকায় বাড়বে বেজিঙের প্রভাব। আর তাই এ ব্যাপারে মেপে পা ফেলতে হবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement