‘বস্টয় প্রিজন’। নরওয়ের বস্টয় দ্বীপে রয়েছে এই জেল। দক্ষিণ ওসলো থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে হর্টেন পুরসভার অধীনে এই বস্টয়।
ন্যূনতম নজরদারির মধ্যে এখানে থাকেন কয়েদিরা। এই জেলকে তাই পৃথিবীর সবচেয়ে ‘মানবিক জেল’ও বলা হয়।
আগে বস্টয় দ্বীপে ছিল বস্টয় বয়েজ হোম। ১৮৯৮ সালে জমি কিনে এখানে হোমটি তৈরি করে <br> নরওয়ে সরকার। যদিও ১৯০০ সালে তৈরি হওয়ার ১৫ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে <br> গিয়েছিল এই বয়েজ হোম। পরে ১৯৫৩ সালে একবার খুললেও ফের ১৯৭০-এ বন্ধ হয়ে যায় এই হোম।
এরপর ১৯৮২-তে ২.৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে এখানে তৈরি হয় বস্টয় জেল। মোটামুটি ১১৫ জন কয়েদি <br> থাকতে পারেন এখানে। এঁদের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ৬৯ জন জেলকর্মী।
বর্তমান জেলকর্তা আর্নে কেভার্নভিক নীলসেন জানাচ্ছেন, ৬৯ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জন কর্মীই সারা রাত থাকেন এখানে।
ছোট্ট অন্ধকার ঘরে গা ঘেষাঘেষি করে থাকা নয়। কয়েদিদের থাকার জন্য সারি সারি <br> কাঠের বাংলো রয়েছে এখানে। রয়েছে জেলের নিজস্ব ফার্ম হাউসও।
অবসর সময়ে এই ফার্ম হাউসেই কাজ করেন কয়েদিরা। তবে ইচ্ছা হলে নিজেদের পছন্দ মতো অন্য কাজও করারও অনুমতি দেওয়া হয় তাঁদের।
কয়েদিদের একঘেয়েমি কাটাতে বাস্কেট বল, টেনিস কোর্ট থেকে শুরু স্কি ফিল্ড, ঘোড়ায় চড়ার মাঠও রয়েছে এই জেলের মধ্যে।
মূল্যবোধ ও সহনশীলতা প্রসারের জন্য ২০১৪ সালে ‘ব্লানচে মেজর রিনসিলেশন প্রাইজ’ জিতে নিয়েছিল এই জেল।
এই জেল নিয়ে সিনেমাও হয়েছে বহু বার। ২০০৭ সালের ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘সিকো’, ২০১০ সালে ‘কিং অব ডেভিল’স আইল্যান্ড’, <br> ২০১৫-তে ‘গুড মিথিক্যাল মর্নিং’, ‘হেয়ার টু ইনভেড নেক্সট’-এ দেখা গিয়েছিল বস্টয় জেলকে।