China-Japan Conflict

সামুরাই জেটে নিশানা লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের বোতামে আঙুল! প্রশান্ত মহাসাগরে ড্রাগনের যুদ্ধের ‘উস্কানিতে’ রাগে ফুঁসছে জাপান

তাইওয়ান সংঘাতের মধ্যেই ফের চিন-জাপান মুখোমুখি সংঘাতের জেরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চড়ছে পারদ। এই আবহে টোকিয়োর লড়াকু জেটকে নিশানা করার অভিযোগ উঠল ড্রাগনের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও তা পত্রপাঠ অস্বীকার করেছে বেজিং।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১৭
Share:
০১ ২০

সামুরাইদের লড়াকু জেটকে ‘রেডার-লক’। ক্ষেপণাস্ত্রের বোতামে আঙুল রেখে ড্রাগন নৌবাহিনীর চরম হুঁশিয়ারি। এর জেরে যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’। যদিও এই ঘটনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তীব্র হয়েছে সংঘাতের পারদ। যুযুধান দু’পক্ষের শরীরী ভাষায় প্রমাদ গুনছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। তাঁদের অধিকাংশেরই দাবি, পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার পর এ বার দূর প্রাচ্যে খুলতে চলেছে যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট, যেখানে অবশ্যই নাক গলাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘সুপার পাওয়ার’।

০২ ২০

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের দক্ষিণের ছোট্ট প্রশাসনিক এলাকা হল ওকিনাওয়া। সম্প্রতি সেখানেই ‘আগ্রাসী’ মনোভাব দেখানোর অভিযোগ ওঠে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পড়ুন পিপল্স রিপাবলিক অফ চায়না) ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে, মুহূর্তের অসতর্কতায় ধ্বংস হত টোকিয়োর লড়াকু জেট। বেজিঙের এ-হেন ‘দৌরাত্ম্য’কে তাই বিপজ্জনক এবং যুদ্ধের উস্কানি বলে মনে করছে সামুরাই রাষ্ট্র। পাল্টা জাপানের বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ এনেছে ড্রাগন।

Advertisement
০৩ ২০

চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর পিএলএ নৌবাহিনীর ‘আগ্রাসন’ নিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজিরো কোইজ়ুমি। তাঁর দাবি, ‘‘ওকিনাওয়া দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে লিয়াওনিং নামের একটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন রেখেছে বেজিং। সেখান থেকে জে-১৫ লড়াকু জেট উড়ে এসে টোকিয়ো বায়ুসেনার একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানকে রেডার-লক করে ফেলে। ফলে জেটটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও বিপদ ঘটেনি।’’ ওই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই এবং কোনও যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন কোইজ়ুমি।

০৪ ২০

এখন প্রশ্ন হল কী এই ‘রেডার লক’? প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, প্রতিটি যুদ্ধবিমানের ককপিটে থাকে একাধির সেন্সর এবং রেডার। এগুলির সাহায্যেই মাঝ-আকাশে লড়াই চালান পাইলট। ককপিটের রেডার শত্রুর জেটকে চিহ্নিত করতে এবং তার উপর নিশানা লাগাতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে মাঝ-আকাশে বিপক্ষের যুদ্ধবিমানের উপর নিশানা ঠিক করাকেই বলে ‘রেডার লক’। এক বার তা হয়ে গেলে অনায়াসে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সংশ্লিষ্ট জেটকে উড়িয়ে দিতে পারেন ককপিটের যোদ্ধা-পাইলট।

০৫ ২০

বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের কথায়, ‘রেডার লক’ অবস্থা থেকে যুদ্ধবিমানকে রক্ষা করা বেশ কঠিন। কারণ, নিশানা ঠিক করা থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। ফলে টোকিয়োর যোদ্ধা-পাইলট কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিনের ‘আকাশ থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র (পড়ুন এয়ার টু এয়ার মিসাইল) এসে ধাক্কা মারত তার জেটে। ‘ইজেকশন’-এর মাধ্যমে ককপিট থেকে তিনি বেরিয়ে যেতে পারলেও যুদ্ধবিমানের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।

০৬ ২০

চিনা লালফৌজের বিমানবাহিনী এবং নৌসেনার লড়াকু জেট পাইলটদের কাছে আছে ‘বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ’ ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে শত্রুর যুদ্ধবিমানকে চোখে দেখে হামলা চালানোর প্রয়োজন নেই তাঁদের। ককপিটের রেডারে এক বার সেটা ধরা পড়লেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে পারবেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে নিখুঁত নিশানায় ছুটে গিয়ে শত্রুর যুদ্ধবিমান ধ্বংস করবে ওই হাতিয়ার। লড়াকু জেট থেকে নির্গত হওয়া তাপ চিনে নিয়ে তাড়া করে তার উপর হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের।

০৭ ২০

জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর ওকিনাওয়া দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল তাদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান। ওই সময় অন্তত দু’বার টোকিয়োর এফ-১৫ জেটকে ‘রেডার লক’ করে চৈনিক নৌবাহিনীর জে-১৫। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বিকেল ৪টে ৩২ থেকে ৪টে ৩৫ মিনিটের মধ্যে। আর দ্বিতীয় বার সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ থেকে ৭টা ৭ মিনিটের মধ্যে সামুরাই যুদ্ধবিমানের উপর পিএলএ পাইলট নিশানা লাগিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

০৮ ২০

এই ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর টোকিয়োয় মোতায়েন চিনা রাষ্ট্রদূত উ জিয়াংহাওকে তলব করে জাপান সরকার। পরে এই বিষয়ে বিবৃতি দেয় বেজিং। সেখানে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ড্রাগন। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে পিএলএ-র বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে জাপান। তাদের বিরুদ্ধে কোনও আগ্রাসন দেখানো হয়নি। উল্টে নিয়ম ভেঙে তাদের বিমানবাহী রণতরীর কাছেই নাকি এগিয়ে এসেছিল জাপানি জেট।

০৯ ২০

বেজিঙের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘লিয়াওনিং বিমানবাহী যুদ্ধপোত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন পিএলএ নৌবাহিনীর পাইলটেরা। তখন হঠাৎ করে সংশ্লিষ্ট রণতরীটির খুব কাছে চলে আসে জাপানি জেট। দেখে মনে হয়েছিল, আক্রমণ শানাতে চাইছে তারা। সেই কারণেই টোকিয়োর যুদ্ধবিমানকে ‘রেডার লক’ করা হয়। তবে তাদের উপর কোনও রকমের হামলা চালানো হয়নি।’’ এই যুক্তিতে আগ্রাসনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে পাল্টা বিবৃতিতে গলা চড়িয়েছে ড্রাগন সরকার।

১০ ২০

এই ঘটনার টানাপড়েন যুযুধান দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আটকে আছে এমনটা নয়। ‘দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ ডিসেম্বর অন্তত ১০০ বার চিনা নৌসেনার লড়াকু জেট সংশ্লিষ্ট বিমানবাহী রণতরীটি থেকে ওঠানামা করেছে। শুধু তা-ই নয়, ওকিনাওয়া দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকারী ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা বেজিং বৃদ্ধি করেছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। এগুলিকে সবই ‘যুদ্ধের উস্কানি’ বলে স্পষ্ট করেছে জাপান সরকার।

১১ ২০

এ বছরের জুনের গোড়ায় প্রথম বার চিনা নৌবাহিনীর ‘আগ্রাসনের’ মুখোমুখি হয় জাপানের সামুদ্রিক আত্ম-প্রতিরক্ষা বাহিনী বা জেএমএসডিএফ (জাপান মেরিটাইম সেল্‌ফ ডিফেন্স ফোর্স)। টোকিয়োর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে বার শ্যানডং নামের একটি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করছিলেন বেজিঙের নৌসেনা। তবে সামুরাই-যোদ্ধাদের চমকানোর পদ্ধতিটি ছিল প্রায় একই রকম। সে বার জে-১৫ জেট নিয়ে জেএমএসডিএফের পি-৩সি ওরিয়ন সামুদ্রিক টহলদারি বিমানের ৪৫ মিটারের মধ্যে চলে যান মান্দারিনভাষী পাইলটেরা।

১২ ২০

গত ৩ অক্টোবর তথ্যচিত্রভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চিনের সরকারি গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন’। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ এবং এফ-৩৫ লড়াকু জেট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বেজিঙের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ বিমানবাহিনীর এক পাইলট। তাঁর দাবি, ধারে ও ভারে অনেক কম ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে জোড়া মার্কিন জেটকে ‘লক’ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ফলে কোনও মতে পালিয়ে বাঁচে মার্কিন জেট।

১৩ ২০

‘গ্লোবাল টাইমস চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন’ জানিয়েছে, গত বছর ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘটে ওই ঘটনা। তথ্যচিত্রভিত্তিক প্রতিবেদনটিতে অবশ্য সরাসরি কোনও মার্কিন লড়াকু জেটের নাম করা হয়নি। তবে যে দু’টি যুদ্ধবিমানের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘লকহিড মার্টিন’-এর তৈরি এফ-২২ র‌্যাফটর এবং এফ-৩৫ লাইটনিং টু-র হুবহু মিল রয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটিতে পিএলএ বিমানবাহিনীর পাইলট লি চাওয়ের সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে বেজিঙের সরকারি গণমাধ্যম।

১৪ ২০

সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে বেজিং-টোকিয়ো সংঘাতের সূত্রপাত হয় ৭ নভেম্বর। ওই দিন সাবেক ফরমোজা দ্বীপ তথা তাইওয়ানকে (পড়ুন রিপাবলিক অফ চায়না) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। তিনি বলেন, ‘‘ড্রাগন যদি ওই দ্বীপরাষ্ট্র দখলের চেষ্টা করে তা হলে চুপ করে বসে থাকবে না টোকিয়ো। প্রয়োজনে তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য করা হবে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই হুঁশিয়ারি দেয় ড্রাগনভূমির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার।

১৫ ২০

দীর্ঘ দিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। সংশ্লিষ্ট দ্বীপটিকে স্বাধীন-স্বতস্ত্র দেশ বলে মানতে নারাজ বেজিং। সাবেক ফরমোজ়ার পাশাপাশি জাপানের বেশ কয়েকটি দ্বীপ কব্জা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিস্তারবাদী নীতিতে বিশ্বাসী ড্রাগনের। এর জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র হচ্ছে সংঘাত। এতে ওই এলাকায় লড়াইয়ের ‘ফ্ল্যাশপয়েন্ট’ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

১৬ ২০

মার্কিন গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত নভেম্বরে সম্ভাব্য চিনা হানাদারি ঠেকাতে তাইওয়ানের উপকূল থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইয়োনাগুনি দ্বীপে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে জাপানি ফৌজ। বিষয়টি নিয়ে বেজিঙের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি (পড়ুন কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না) নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘পিএলএ ডেইলি’তে প্রকাশিত হয় একটি প্রতিবেদন। সেখানে হুঁশিয়ারির সুরে জিনপিঙের দল বলেছে, ‘‘টোকিয়ো যদি তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করে, তা হলে পুরো জাপান যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে।’’

১৭ ২০

চিন-তাইওয়ান সঙ্কট নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বিস্ফোরক বিবৃতি দেওয়ার এক দিনের মাথায় (পড়ুন ৮ নভেম্বর) উপকূলরক্ষী বাহিনীর রণতরী পাঠিয়ে টোকিয়োর সেনকাকু দ্বীপ ঘিরে ফেলে বেজিং। পরে অবশ্য সেখান থেকে সরে যায় তারা। সংশ্লিষ্ট দ্বীপটির নতুন নামকরণ করেছে ড্রাগন, আর সেটা হল দিয়াওয়ু। মান্দারিনভাষীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ওই দ্বীপ দখল করে রেখেছে সামুরাই-যোদ্ধারা। এর পরই ইয়োনাগুলি দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রণতরী মোতায়েনে উদ্যোগী হয় তাকাইচির সরকার।

১৮ ২০

এ-হেন পরিস্থিতিতে ঝটিতি আক্রমণে জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ চিনা নৌবাহিনী দখল করবে বলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। যদিও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বেজিঙের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ নয়। কারণ সম্পূর্ণ দ্বীপরাষ্ট্রটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে। আর তাই ওকিনাওয়ায় মেরিন কোরের ৫৩ হাজারের বেশি সৈনিক মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন।

১৯ ২০

অতীতে ইতিহাস প্রসিদ্ধ বহু যুদ্ধের সাক্ষী থেকেছে ওকিনাওয়া। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘অপারেশন আইসবার্গ’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্বে এসে সংশ্লিষ্ট দ্বীপটি দখল করতে সেখানে হামলা চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী। ১৯৪৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২২ জুন পর্যন্ত চলেছিল সেই লড়াই। একের পর এক ‘আত্মঘাতী’ বিমান হামলা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত ওকিনাওয়া বাঁচাতে পারেনি টোকিয়ো। তবে দু’পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল বিপুল।

২০ ২০

ওকিনাওয়ার লড়াই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ‘অপারেশন আইসবার্গ’-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজয় জাপানের পতনকে তরান্বিত করে। পরবর্তী কালে ‘সূর্যোদয়ের দেশ’টিকে বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে ফেলে আমেরিকা। এতে দু’পক্ষে শত্রুতা মিটেছিল। আর তাই চিনা নৌবাহিনী ওই দ্বীপ দখল করতে এলে দুই ‘সুপার পাওয়ার’-এর সংঘর্ষে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা যে উত্তাল হবে, তা বলাই বাহুল্য।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement