একটি জনপ্রিয় অনলাইন সংস্থা থেকে ডিম অর্ডার করেছিলেন শার্লট হ্যারিসন। একটি ডিমের দাম ছিল ৩০ ডলার।
তবে হাঁস বা মুরগীর ডিম নয়। কিনেছিলেন এমু পাখির ডিম।
কেনার পর হঠাৎই ডিমটি ফোটানোর কথা মাথায় আসে। ডিমটি না খেয়ে রেখে দেন শার্লট।
কিনে নিয়ে আসেন ইনকিউবেটিং মেশিন। এই মেশিনেই ৪৭ দিন রেখে দেন কালচে সবুজ রংয়ের বড় আকারের ডিমটি। <br> আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটে এরপরেই। ৫ জানুয়ারি ডিম ফোটে। <br> ডিমের খোলস ভেঙে বেড়িয়ে আসে ছোট্ট একটি এমু পাখি।
শার্লট এমুটির নাম রাখেন কেলভিন। তারপর থেকেই কেলভিন হয়ে ওঠে শার্লটের বাড়ির অন্যতম সদস্য।
কেমন ছিল সেই অনুভূতি? শার্লট জানালেন, ‘‘এক সময় কেভিন ডিমের খোলস ঠোকরাতে শুরু করল। টানা <br> চার ঘণ্টা ডিমের সামনে বসেছিলাম। ওর জন্মের প্রত্যেকটা মুহূর্ত এনজয় করেছি।’’
শুধু শার্লটই নন, এই ক’দিনেই শার্লটের চার বছরের মেয়ে এলি-র বন্ধু হয়ে গিয়েছে ৬ ফুটের কেভিন।
শার্লটের কাছে কেভিন তাঁর ছেলের মতো। ‘মা’ হিসাবে কেলভিনের সমস্ত সুবিধা-অসুবিধার দিকেই খেয়াল রাখেন তিনি।