Zapad Military Drill

লক্ষ্মণরেখা অতিক্রমের শামিল! রুশ-বেলারুশ মহড়ায় সৈন্য পাঠানোয় ভারতবিরোধী চক্রান্তে পশ্চিম?

রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়া জ়্যাপাড ২০২৫-এ যোগ নিয়েছে ভারতীয় সেনার কুমায়ুন রেজিমেন্ট। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নয়াদিল্লি লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করছে বলে মিথ্যা তথ্য ছড়াল পশ্চিমি গণমাধ্যমের একাংশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৯
Share:
০১ ২০

রাশিয়া এবং বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ায় ভারতকে বিষোদ্গার! মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা বা নেটো-বিরোধী জোটে শামিল হওয়ার অভিযোগ তুলে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে একগুচ্ছ পশ্চিমি গণমাধ্যম। ওই খবর প্রকাশিত হতেই সমাজমাধ্যমের দৌলতে ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও পরে প্রকাশ্যে এসেছে আসল সত্যি। ভারত-রুশ বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশ? না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র? এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।

০২ ২০

চলতি বছরের ১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর বেলারুশের বেরিসও সামরিক ঘাঁটিতে চলে যৌথ সামরিক মহড়া। সেখানে অংশ নেন ভারতীয় সেনার কুমায়ুন রেজিমেন্টের অফিসার ও জওয়ানেরা। বিষয়টি কানে আসতেই এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘দ্য টাইম্স’ নামের পশ্চিমি গণমাধ্যম, যার শিরোনাম ছিল ‘রুশ-বেলারুশের যুদ্ধাভ্যাসে যোগ দিয়ে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করেছে ভারত’। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে নয়াদিল্লির বিদেশনীতিকে ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘পশ্চিমা স্বার্থ বিরোধী’ বলে উল্লেখ করতে পিছপা হয়নি তারা।

Advertisement
০৩ ২০

এ ব্যাপারে আবার ‘দ্য টাইম্স’-এর থেকে আরও এক কাঠি এগিয়ে রয়েছে কাতারের গণমাধ্যম ‘অল জাজ়িরা’। তাদের দাবি, রুশ-বেলারুশের পরমাণু হাতিয়ার ব্যবহার সংক্রান্ত মহড়ায় অংশ নিয়েছে নয়াদিল্লির ফৌজ। শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাভ্যাসে বাহিনী পাঠানোর নেপথ্যে নাকি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের রয়েছে একটি গোপন পরিকল্পনা। তাতে আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

০৪ ২০

‘দ্য টাইম্স’ থেকে শুরু করে ‘অল জাজ়িরা’— জোড়া গণমাধ্যমে ভারতবিরোধী এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হতেই দুনিয়া জুড়ে পড়ে যায় শোরগোল। ইউরোপীয় নেটাগরিকদের একাংশ নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার দাবি পর্যন্ত তোলেন। কিন্তু সময়ের চাকা গড়াতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় গোটা বিষয়। জানা যায়, রাশিয়ার সঙ্গে মিলে নেটো-বিরোধী কোনও জোট তৈরি করছে না নয়াদিল্লি।

০৫ ২০

বেলারুশের সেনাঘাঁটিতে হওয়া সামরিক মহড়ার নাম ছিল ‘জ়্যাপাড-২০২৫’। রুশ ভাষায় এর অর্থ পশ্চিম। সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাভ্যাস শুরু হতেই পশ্চিমি দুনিয়াকে সতর্ক করেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি হল, এ বার নেটো-ভুক্ত কোনও দেশে সামরিক অভিযান চালাবে মস্কো। সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতেই মিনস্কের সঙ্গে মিলে ওই মহড়ার আয়োজন করেছে ক্রেমলিন। যদিও এই তত্ত্ব পত্রপাঠ খারিজ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ওই দুই দেশ।

০৬ ২০

১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর ‘জ়্যাপাড’ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে থাকে রাশিয়া। এ বছর তাতে অংশ নিয়েছে ২০টির বেশি দেশ। ভারত ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, তাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো রাষ্ট্র। এ ছাড়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত উজ়বেকিস্তান এবং কাজ়াখস্তানের ফৌজকেও ওই যুদ্ধাভ্যাসে গা ঘামাতে দেখা গিয়েছে। অথচ প্রতিবেদনে কোথাও সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কথা উল্লেখ করেনি ‘দ্য টাইম্‌স’ বা ‘অল জাজ়িরা’।

০৭ ২০

দ্বিতীয়ত, এ বারের ‘জ়্যাপাড’ মহড়ায় অফিসার ও জওয়ান মিলিয়ে মাত্র ৬৫ জনকে পাঠিয়েছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তুলনামূলক ভাবে অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলির সৈনিকের সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। এ দেশের সাবেক সেনাকর্তাদের কথায়, ‘‘মাত্র ৬৫ জনকে নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নয়াদিল্লি নেটো-বিরোধী চক্রান্ত করছে, এই ধারণা অবান্তর ও কষ্টকল্পিত।’’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ দেশের ভাবমূর্তি খারাপ করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলি প্রকাশ করা হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

০৮ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ বারের ‘জ়্যাপাড’ সামরিক মহড়ার পর্যবেক্ষক দেশ ছিল আমেরিকা। ফলে যুদ্ধাভ্যাস চলাকালীন কয়েক জন সেনাকর্তাকে বেলারুশে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনকে একটি রিপোর্ট জমা করেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সেখানে কোথাও ভারতকে নিশানা করা হয়নি। পাশাপাশি নেটো-ভুক্ত কোনও দেশ দখলের পরিকল্পনা মস্কোর রয়েছে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে তাঁদের।

০৯ ২০

‘জ়্যাপাড’ নিয়ে অবশ্য পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলির আতঙ্কের একাধিক কারণ রয়েছে। ২০২১ সালে ওই যুদ্ধাভ্যাসের এক বছরের মাথায় (পড়ুন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযানের (স্পেশ্যাল মিলিটারি অপারেশন) সূচনা করে রাশিয়া। তার পর থেকে গত সাড়ে তিন বছর ধরে পূর্ব ইউরোপে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সংশ্লিষ্ট মহড়ায় ইংরেজি জ়েড অক্ষরটিকে বহুল ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে মস্কো ও মিনস্কের বাহিনীকে।

১০ ২০

ইউক্রেন যুদ্ধে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে ইংরেজি জ়েড অক্ষর। কারণ সেখানে আক্রমণকারী রুশ ট্যাঙ্কের গায়ে খোদাই করা ছিল ওই অক্ষর। আর তাই পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলির একাংশের দাবি, এ বার নেটো-ভুক্ত পোল্যান্ডকে নিশানা করবে মস্কো। বেলারুশ সীমান্ত দিয়েই শুরু হবে সেই আক্রমণ, যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে এ বারের ‘জ়্যাপাড’-এর আয়োজন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহড়ায় ক্রেমলিন ও মিনস্কের সম্মিলিত বাহিনীর সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

১১ ২০

গত ৯-১০ সেপ্টেম্বর রাতে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পোল্যান্ডে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটি রুশ সামরিক ড্রোন। বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয় ওয়ারশ। মানববিহীন উড়ুক্কু যানগুলির মধ্যে অন্তত আটটিকে মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয় তারা। শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে পোলিশ বাহিনী। এর পরই নেটো-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

১২ ২০

পশ্চিমি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, পোল্যান্ড দখলের মধ্যে দিয়ে বাল্টিক সাগরের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে চাইছে রাশিয়া। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশটির গায়ে কালিনিনগ্রাদ নামে মস্কোর একটি শহর রয়েছে। ক্রেমলিনের মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে, যা সম্পূর্ণ ভাবে নেটো দ্বারা পরিবেষ্টিত। ফলে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় ঝটিতি আক্রমণ শানাতে পারে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিম ইউরোপীয় সামরিক জোট। ওয়ারশ কব্জার মধ্যে দিয়ে সেই আশঙ্কা দূর করতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

১৩ ২০

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে ফেরাতে চাইছে মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে তার সূচনা করেছেন পুতিন। পোল্যান্ড তাঁর হাতে এলে পূর্ব ইউরোপের তিনটি দেশ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া নেটোর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দেশগুলির আলাদা কোনও অস্তিত্ব ছিল না। তাদের সবাই চিনত ওই ইউনিয়নের অংশ হিসাবে।

১৪ ২০

এই পরিস্থিতিতে রুশ ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে তৎপর হয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোও। পোল্যান্ডের ভিতরে মস্কোর সামরিক ড্রোন ঢুকতেই সংবিধানের চার নম্বর ধারাকে সংক্রিয় করেছে তারা। ওয়ারশর পাশে দাঁড়িয়ে ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম), লড়াকু জেট এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়েছে নেটো-ভুক্ত একাধিক দেশ। এই সামরিক প্রস্তুতির পোশাকি নাম ‘অপারেশন ইস্টার্ন সেন্ট্রি’ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

১৫ ২০

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রুশ সামরিক ড্রোন ঢুকে যাওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, নেটোর প্রতিটা ইঞ্চি সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে ‘নরম মনোভাব’ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেন, ‘‘আমার ধারণা, ভুল করে মস্কোর ড্রোন ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে চিন্তা করার মতো কিছু নেই।’’

১৬ ২০

পোল্যান্ড অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই যুক্তি মানতে নারাজ। ওয়ারশর বিদেশমন্ত্রী রাডোস্লাও সিকোরস্কি জানিয়েছেন, ভুলবশত রুশ সামরিক ড্রোন তাঁদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। আসলে সুচতুর পুতিন নেটোর শক্তি পরীক্ষা করতে সেগুলিকে পাঠিয়েছিলেন। পাশাপাশি, আগ্রাসী মস্কোকে থামাতে ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের সরকারি বিবৃতির সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে ট্রাম্পের বক্তব্য।

১৭ ২০

পোল্যান্ড-কাণ্ডের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে রুশ প্রতিনিধি তথা রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘‘ইউক্রেনের একটি শহর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। ওই সময় দিকনির্ণয়ে সমস্যার কারণে কয়েকটি মানববিহীন উড়ুক্কু যান পোল্যান্ডের দিকে চলে যায়।’’ গোটা ঘটনাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন তিনি।

১৮ ২০

গত শতাব্দীতে মার্কিন-সোভিয়েত ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’র সময় নেটোর (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) জন্ম দেয় আমেরিকা। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৩২। সংশ্লিষ্ট সামরিক জোটটির সংবিধানের পাঁচ নম্বর ধারায় বলা আছে, যদি কোনও দেশ নেটো-ভুক্ত কাউকে আক্রমণ করে, তা হলে সরাসরি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে বাকি সমস্ত সদস্য। এই ধরনের সামরিক জোট ধর্মী আন্তর্জাতিক রাজনীতির বরাবরই বিরোধিতা করে এসেছে নয়াদিল্লি।

১৯ ২০

এ বছরের ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় আমেরিকার বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় ভারতীয় সেনা। ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্কসংঘাত সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে চলা ওই যুদ্ধাভ্যাসে কোনও ছেদ টানেনি নয়াদিল্লি। শুধু তা-ই নয়, দু’তরফে একাধিক সামরিক চুক্তি রয়েছে। সেগুলি ভেঙে বেরিয়ে আসার কথাও বলতে শোনা যায়নি মোদী সরকারকে।

২০ ২০

মজার বিষয় হল, এ বারই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগেও ‘ভারত: একটি শত্রু রাষ্ট্র’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘দ্য টাইম্স’। বিশ্লেষকেরা একে তথ্যযুদ্ধের (পড়ুন ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার) কৌশল হিসাবেই দেখছেন, যার পিছনে হাত থাকতে পারে কোনও গুপ্তচর সংস্থার। তাই বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement