Amazon

Lost Cities: আমাজনের জঙ্গলে প্রাচীন রহস্যময় নগর-সভ্যতা! খোঁজ মিলল লেসার প্রযুক্তির মাধ্যমে

বলিভিয়ার ল্যানোস ডি মোজোস সাভানা জঙ্গলে এই শহরগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বহু বছর ধরে ঘন গাছের ছাউনির নীচে লুকিয়ে ছিল এই শহরগুলি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ১৩:৫৫
Share:
০১ ১৯

আমাজনের গভীর জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে প্রাচীন শহর। কিন্তু এত দিন কোনও মানুষ খোঁজ পাননি এই শহরের। তবে সম্প্রতি এই শহরের খোঁজ মিলল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

০২ ১৯

নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হারানো শহরগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। নতুন এই প্রযুক্তির নাম ‘লেজার ইন দ্য স্কাই’। ঘন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনের গভীরে কী আছে, তা জানতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

Advertisement
০৩ ১৯

এই প্রযুক্তিতে হেলিকপ্টার, ছোট বিমান বা ড্রোনের সঙ্গে যুক্ত একটি লেজার স্ক্যানার দিয়ে আকাশ থেকেই ভূখণ্ড জরিপ করে দেখা হয়। এই লেসারের স্ক্যানিংয়ের ফলে ওই ভূখণ্ডের একটি ডিজিটাল মডেল কম্পিউটারের পর্দায় ধরা পড়ে।

০৪ ১৯

বলিভিয়ার ল্যানোস ডি মোজোস সাভানা জঙ্গলে এই শহরগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বহু বছর ধরে ঘন গাছের ছাউনির নীচে লুকিয়ে ছিল এই শহরগুলি।

০৫ ১৯

গবেষকদের মতে এই শহর ৫০০ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি। জঙ্গলের কাসারাবে সম্প্রদায় এই শহরগুলি তৈরি করেছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

০৬ ১৯

‘লেজার ইন দ্য স্কাই’ প্রযুক্তিতে যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ঘন জঙ্গলের ভেতরে বিস্তৃত এবং জটিল কিছু কাঠামো। পাশাপাশি ৫৪ একর জুড়ে বিস্তৃত এই কাঠামোতে ১৬ ফুট উঁচু ছাদও রয়েছে।

০৭ ১৯

৩০টি ফুটবল মাঠের সমান এই কাঠামোর পাশে ৬৯ ফুট লম্বা এক পিরামিডের খোঁজও মিলেছে।

০৮ ১৯

এ ছাড়াও আমেরিকা এবং জার্মানির গবেষকদের আন্তর্জাতিক দল এই শহরের কয়েক মাইলের মধ্যে বিস্তৃত জলাধার এবং একাধিক ছোট ছোট কাঠামোও খুঁজে পেয়েছেন।

০৯ ১৯

আর এই লুকনো শহরগুলির খোঁজ আমাজনে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের সম্পর্কে পুরনো সব ধারণা বদলে দিচ্ছে।

১০ ১৯

গবেষকরা মনে করছেন, বনাঞ্চলে বসবাস করলেও আমাজনে এমন কিছু সম্প্রদায় বাস করত, যারা সময়ের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল।

১১ ১৯

আমাজনের জঙ্গলে এই নয়া আবিষ্কৃত এলাকাকে কেন্দ্র করে একটি নগর-সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলেও গবেষকরা মনে করছেন।

১২ ১৯

একই সঙ্গে এই শহরগুলির প্রাথমিক গঠন দেখে মনে করা হচ্ছে যে, এই সভ্যতার মানুষেরা স্থাপত্যকার্যে বেশ নিপুণ ছিলেন। এবং এই এলাকা যথেষ্ট পরিকল্পনা মাফিক তৈরি করা হয়েছিল বলেও গবেষকরা দাবি করেছেন।

১৩ ১৯

বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত মনে করা হত, আমাজন অঞ্চলের বাসিন্দারা মূলত শিকারি উপজাতির। এবং আমাজন অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে থাকা মোজোস সমভূমিতে বছরে কয়েক মাস বন্যা হওয়ার কারণে এই এলাকার বাসিন্দারা স্থায়ী বসতি তৈরি করতে পারেন না।

১৪ ১৯

তবে সাম্প্রতিক কালে সাভানা বনাঞ্চল জুড়ে হওয়া আবিষ্কারে সেই বদ্ধমূল ধারণা অনেকটাই মিথ্যে প্রমাণিত করেছে।

১৫ ১৯

এই লুকনো শহরগুলির চারপাশ একটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল বলেও গবেষকরা মনে করছেন।

১৬ ১৯

জঙ্গলের ঘনত্ব এবং একাধিক উঁচু মাটির ঢিপির কারণে এই শহরগুলির বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও গবেষকদের চোখে ধরা পড়েনি বলেও গবেষকদের দল জানিয়েছেন।

১৭ ১৯

আমাজন জঙ্গল নিয়ে বিশদে জানতে গবেষকরা প্রথমবার বায়ুবাহিত লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। আর তখনই লেজার চিত্রে এই শহরের ছবি ধরা পড়ে।

১৮ ১৯

তবে জঙ্গলের মধ্যে এই শহুরে এলাকাগুলিতে কত মানুষ বাস করত, তা এখনও অনুমান করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে প্রাথমিক ভাবে এই এলাকা মোটামুটি ঘনবসতিপূর্ণ ছিল বলেও তাঁরা মনে করছেন।

১৯ ১৯

এখানকার বাসিন্দারা কেন এই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তা-ও গবেষণা সাপেক্ষ বলেই গবেষকরা মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement