Mummy

মুখে সোনার জিভ! মিশরে খোঁজ মিলল ২ হাজার বছরের পুরনো রহস্যময় মমির

মিশরের তাপসিরিস মাগনায় খননকার্য চালাতে গিয়ে সম্প্রতি ওই মমিটি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:০৪
Share:
০১ ১৩

মুখ খুললেই ঝরে পড়ে মণি-মুক্তো। চার পাশে এমন লোকের অভাব নেই। কিন্তু মুখের মধ্যেই যদি থাকে সোনার জিভ! প্রাচীন মিশরীয়রা ঢের আগেই তা করে দেখিয়েছিলেন। ২ হাজার বছর আগের এক মমিতে তেমনই নিদর্শন মিলল।

০২ ১৩

মিশরের সর্বত্রই প্রাচীন স্থাপত্য ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানকার তাপসিরিস মাগনায় খননকার্য চালাতে গিয়ে সম্প্রতি ওই মমিটি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

Advertisement
০৩ ১৩

যে ব্যক্তির মমিতে সোনার জিভ পাওয়া গিয়েছে, তিনি কবে মারা গিয়েছিলেন তা যদিও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ওই এলাকায় যে ১৬টি কবর খোঁড়া হয়েছে সেগুলির বয়স ২ হাজার বছরেরও বেশি বলে জানা গিয়েছে।

০৪ ১৩

প্রত্যেকটি কবরই মিশরীয় পাতালের দেবতা ওসাইরিস এবং তাঁর স্ত্রী এবং বোন আইসিসকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ওসাইরিস মৃত্যুর পর পরলোকে সকলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন বলে প্রচলিত ছিল প্রাচীন মিশরে।

০৫ ১৩

পরলোকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য মৃত ব্যক্তির মুখে সোনার জিভটি বসানো হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতত্ত্বিদরা। তাঁদের ধারণা, মৃতদেহটি সংরক্ষণের জন্য যখন মোমের প্রলেপ লাগানো হচ্ছিল, সেই সময় আসল জিভটি বাদ দিয়ে সোনার জিভটি বসানো হয়।

০৬ ১৩

প্রাচীন মিশরে এই ধরনের প্রথা চালু ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। হাতেগোনা কিছু মানুষের ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা ছিল বলে মনে করতেন সে দেশের মানুষ। ইহকালের যাবতীয় ভুলচুকের জন্য ক্ষমা চাইতেই সোনার জিভ বসানোর প্রচলন ছিল।

০৭ ১৩

মমিতে বন্দি মানুষটিকে জীবিত অবস্থায় কেমন দেখতে ছিল তা বোঝাতে সেকালে মৃত ব্যক্তির মুখের ধাঁচে পাথরের তৈরি মুখোশও বসানো থাকত। সে রকম বেশ কয়েকটি মুখোশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

০৮ ১৩

ইউনিভার্সিটি অব সান্টো ডমিনিগোয় কর্মরত ক্যাথলিন মার্টিনিজ নেতৃত্বাধীন প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের যৌথ দল মিলে তাপসিরিস মাগনায় খননকার্য চালাচ্ছে।

০৯ ১৩

তাপোসিরিস মাগনা মন্দির যা ‘গ্রেট টেম্পল অব ওসিরিস’ থেকে রানি সপ্তম ক্লিয়োপেট্রার ছবি খোদাই করা কয়েনও উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। সেখানেই রানিকে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন ক্যাথলিন। মিশরের শেষ রানি ক্লিয়োপ্যাট্রা ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।

১০ ১৩

এর আগে, তাপোসিরিস মাগনা থেকেই গত বছর জুলাই মাসে সোনায় মোড়া বেশ কিছু মমি উদ্ধার হয়। ক্লিয়োপেট্রার আমলেই সেগুলি সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের। শুধু তাই নয়, ওই মমিগুলির মধ্যে দুই ব্যক্তি তৎকালীন মিশর সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন এমনকি রানির সঙ্গেও তাঁদের ওঠাবসা ছিল বলে ধারণা তাঁদের।

১১ ১৩

তবে ক্লিয়োপেট্রাকে সেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। মিশরের প্রাক্তন পুরাতত্ত্ব মন্ত্রী জাহি হাওয়াস প্রায় এক দশক ক্যাথলিনের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর দাবি, ক্লিয়োপেট্রাকে যে ওখানেই কবর দেওয়া হয়েছিল, তার সপক্ষে কোনও অকাট্য প্রমাণ মেলেনি।

১২ ১৩

হাওয়াস বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, প্রাসাদ সংলগ্ন কবরস্থানেই ক্লিয়োপেট্রাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। সেটি জলের নীচে চলে গিয়েছে। কোনও দিন ওই কবরের সন্ধান মিলবে না।’’

১৩ ১৩

আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে ক্লিয়োপেট্রার প্রাসাদের খোঁজ পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আলেকজান্দ্রিয়ায়র পূর্ব উপকূলে জলের ২০ ফুট নীচে সেটির হদিশ মেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement