ইতালির পালেরমোতে ১৯১৮ সালে ১৩ ডিসেম্বর জন্ম হয় রোসালিয়া লম্বার্দোর। দু’বছরের মাথায় ডিসেম্বরতেই নিউমোনিয়ায় মারা যায় সে।
মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক পান বাবা মারিয়ো লম্বার্দো। কিন্তু মেয়েকে ফিরে পেতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। বিখ্যাত মমি সংরক্ষণকারী আলফ্রাদো সালাফিয়া তাঁকে আশ্বস্ত করেন মেয়েকে ফিরিয়ে দেবেন তিনি।
২০০৯ সালে এক্স-রে করে দেখে গিয়েছে, ৯০ বছর পরেও রোসালিয়ার শরীরের ভিতর সব অঙ্গ এখনও অক্ষত।
শুধু রোসালিয়া নয়, এ রকম প্রায় ৮ হাজার মানুষকে মমি করে রেখেছিলেন তাঁর সংগ্রহশালায়। কিন্তু এমন অক্ষত এবং তাজা ছিল কী ভাবে, সেই রহস্য কোনও দিনই প্রকাশ করেননি আলফ্রেদো।
২০০৯ সালে গবেষক পায়োমবিনো-ম্যাসক্যালি একটি পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান। সালাফিয়ার হাতের লেখায় ওই পাণ্ডুলিপিতে লিখে গিয়েছিলেন কী কী কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল। গিলিসারনি, ফর্মালিন, জিঙ্ক সালফেট এবং ক্লোরাইড, সালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো বিভিন্ন যৌগের উল্লেখ আছে ওই পাণ্ডুলিপিতে।
কিন্তু রোসালিয়াকে ঘিরে বিশ্বের বিস্ময় অন্য জায়গায়। সে নাকি প্রতি দিনই চোখ পিটপিট করে। ২০০৯ সালে এই খবর প্রকাশ পায়। তার পর থেকে তাকে দেখার জন্য প্রতি দিন ভিড় উপচে পড়ছে ইতালির পালেরমোয় কাপুচিন ক্যাটাকম্বস-এ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, শিশুটির চোখ পিটপিট করার পিছনে রয়েছে ঘরের তাপমাত্রা।
কেউ আবার মনে করছেন এটা এক প্রকার ইলিউশন। আলোর কম বেশিতে মনে হয় রোসালিয়া চোখ পিটপিট করছে। তাদের দাবি, প্রতি দিনই এক-দু’বার এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।