এ যেন এক জোড়া তরুণ-তরুণীর মাখো মাখো প্রেম। কী নেই তাতে! নৈশাহারের আমন্ত্রণ থেকে শুরু করে বাক্সভর্তি বিরল খনিজ উপহার। শুধু তা-ই নয়, এই ভালবাসায় লুকিয়ে আছে আস্ত একটা বন্দর নির্মাণের প্রস্তাবও। সব কিছু যখন হিসাবমতো চলছে, তখনই ছন্দপতন। এক জনের দিক থেকে হঠাৎ উড়ে এল ছুরির ঘা, যাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আমেরিকা ও পাকিস্তান। চলতি বছরের মে মাসের পর থেকে এই দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা যে ভাবে বেড়েছে, তাতে হতবাক কূটনৈতিক মহল। এর ১৬ আনা কৃতিত্ব অবশ্যই বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পাশাপাশি অবশ্যই বলতে হবে ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের কথা। কিন্তু, ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদের এই প্রেমে জল ঢেলেছে ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’ (টিএলপি) নামের এক কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল। যুক্তরাষ্ট্রকে পাক ভূমি ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।
চলতি বছরের ৮ অক্টোবর যুযুধান ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাঁর দেওয়া শান্তিপ্রস্তাবের প্রাথমিক শর্তে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ফলে পশ্চিম এশিয়ায় আপাতত থেমেছে সংঘর্ষ। কিন্তু আরব দুনিয়ায় যুদ্ধ হঠাৎ হতেই ইহুদিদের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের গাজ়ায় গণহত্যার অভিযোগ তোলে মৌলবাদী উগ্রপন্থী দল ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’। শুধু তা-ই নয়, ১০ অক্টোবর জুম্মার নমাজ় শেষে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক দেয় তারা। ফলে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ।
টিএলপির অভিযোগ, আমেরিকার প্রশ্রয়েই পশ্চিম এশিয়ায় যা ইচ্ছে তাই করছে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইজ়রায়েল। আর তাই ওয়াশিংটন ও তেল আভিভকে একযোগে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাক গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই উদ্দেশ্যে ধীরে ধীরে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস ঘিরতে শুরু করে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটির কর্মী-সমর্থকেরা। খবর পেয়ে সেখানে স্থানীয় পুলিশ পৌঁছোলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দু’তরফে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। তাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।
পাক প্রশাসনের দাবি, গণ আন্দোলনের নামে মার্কিন দূতাবাসে আক্রমণের পরিকল্পনা করে কট্টরপন্থী ‘তেহরিক-ই লাব্বাইক’। সেই লক্ষ্যে বাঁশ, লাঠি এবং লোহার রড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামাবাদ কনস্যুলেট দফতরের সামনে জড়ো হতে থাকেন তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। লাহোর এবং মুলতানের দিক থেকেও টিএলপির সশস্ত্র মিছিল করার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সংশ্লিষ্ট দলটির প্রধান সাদ রিজ়ভিকে গ্রেফতার করে স্থানীয় প্রশাসন। টিএলপি সদস্যেরা বাধা দিলে মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে একাধিক এলাকা।
‘দ্য ডন’ জানিয়েছে, রিজ়ভির গ্রেফতারির পর ‘তেহরিক-ই লাব্বাইক’-এর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পাক পুলিশ। টিএলপির অভিযোগ, ওই সময় গুলি চালান আইনরক্ষকেরা। ফলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। তাদের পাল্টা দাবি, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন এক জন। আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন। তাদের মধ্যে পুলিশকর্মীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
এই ঘটনা পাক-মার্কিন সম্পর্ক ফাটল ধরাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছুটে যান ইসলামাবাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মুনির। ওই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দ্বিতীয় বার ভাবেননি আমেরিকার বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। তাঁদের নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশী। যদিও সময়ের চাকা ঘুরতেই সেই উপকার ভুলে গিয়ে ওয়াশিংটনের দূতাবাসে হামলার ছক কষতে দেখা গেল সেখানকার কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দলকে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হওয়া আশ্চর্যের নয়। কারণ, পাক রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ এবং কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে ঐতিহাসিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রয়েছে ঘৃণা ভাব। অন্য দিকে ইজ়রায়েলকে কখনওই মান্যতা দেয়নি ইসলামাবাদ। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আমেরিকার সাহায্য নিয়ে ঘর গোছাতে মরিয়া ছিল পশ্চিমের এই প্রতিবেশী। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়ে ওয়াশিংটনের সখ্য মানছিলেন তাঁরা। এখন সেই বিপদ কেটে গেছে বুঝতে পেরে ফের দাঁত-নখ বার করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।
এ বছরের মে-তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ মিটে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই প্রথম বার মার্কিন সফর করেন পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মুনির। হোয়াইট হাউসে তাঁকে নৈশাহারে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। পাল্টা কৃতজ্ঞতা দেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বসেন ইসলামাবাদের ‘সিপাহ্সালার’। পরবর্তী সময়ে আরও দুই থেকে তিন বার আমেরিকায় যান মুনির। সেখান থেকে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিতে শোনা যায় তাঁকে। ওই সময় সব জেনেও চুপ করে ছিল ওয়াশিংটন।
‘অপারেশন সিঁদুর’কে কেন্দ্র করে চলা ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’ তিনি থামিয়েছেন বলে বহু বার প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন ট্রাম্প। নয়াদিল্লি সেটা খারিজ করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই সংঘর্ষবিরতির জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মুনির। এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফও। ইসলামাবাদের খোশামোদে ট্রাম্প যে বেজায় খুশি হচ্ছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। ফলে দ্রুত ইসলামাবাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সেরে ফেলে তাঁর সরকার। শুধু তা-ই নয়, পাক পণ্যে শুল্কের মাত্রা কমিয়ে দেয় ওয়াশিংটন।
ভারতের ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। গত অগস্ট থেকে এ দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নিচ্ছে তাঁর প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, রাশিয়ার থেকে ক্রমাগত অপরিশোধিত খনিজ তেল কিনে চলেছে নয়াদিল্লি। ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অর্থ হাতে পাচ্ছে মস্কো। ট্রাম্পের এই অযৌক্তিক কথা মেনে নেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাহাড়প্রমাণ চাপ সত্ত্বেও ক্রেমলিনের থেকে ‘তরল সোনা’ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে দেয় সাউথ ব্লক। ফলে আরও কিছুটা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ে ওয়াশিংটন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ফিন্যান্সশিয়াল টাইম্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বালোচিস্তানের সমুদ্র তীরবর্তী শহর পাসনিতে বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে পাক প্রশাসন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওয়াশিংটনের সামনে গোটা পরিকল্পনাটি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়। ট্রাম্পের সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিকের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি তুলে ধরেন ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের এক পরামর্শদাতা। প্রস্তাবিত প্রকল্পে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের অন্তর্ভুক্তি থাকায় দানা বাঁধে সন্দেহ।
‘ফিন্যানশিয়াল টাইম্স’-এর অবশ্য দাবি, পাসনির প্রস্তাবিত বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র কোনও নৌঘাঁটি তৈরি করুক, তা চায় না ইসলামাবাদ। যদিও বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইরান ও আফগানিস্তান লাগোয়া বালোচিস্তানের এই শহরটির ‘কৌশলগত অবস্থান’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট পাক প্রদেশটিতে রয়েছে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দর। পাসনি থেকে যার দূরত্ব মেরেকেটে ১৪২ কিলোমিটার।
অন্য দিকে দক্ষিণ ইরানের চাবাহার বন্দরটি বালোচিস্তানের উপকূল শহরটি থেকে মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাবাহার নিয়ে গত বছর তেহরানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করে নয়াদিল্লি। বর্তমানে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বন্দরটি ভারতের একমাত্র ভরসা। এর জন্য সেখানে শহিদ বেহেস্তি টার্মিনাল গড়ে তুলতে বিপুল লগ্নি করেছে কেন্দ্র। পাসনির প্রস্তাবিত বন্দর নির্মাণে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন রাজি হলে আমেরিকা যে চাবাহারের উপরে নজরদারি করতে পারবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
সূত্রের খবর, মার্কিন আধিকারিকদের ইসলামাবাদ জানিয়েছে নতুন বন্দরের মাধ্যমে বালোচিস্তানের দুষ্প্রাপ্য খনিজ সহজেই আমদানি করতে পারবে আমেরিকা। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগপতিরা চাইলে খনিজ সমৃদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকাকে রেলপথে জুড়তে বিপুল লগ্নি করতে পারেন। যাবতীয় রেললাইনের গন্তব্য অবশ্য দাঁড়াবে ওই বন্দর। এ ব্যাপারে কোনও রকমের আপত্তি করবে না পাক সরকার।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন সফরে যান পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ। তাঁর সঙ্গী ছিলেন সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মুনির। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বৈঠকের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবিত বন্দর প্রকল্পটি নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেন তাঁরা। ওই সময় একটি কাঠের বাক্স খুলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দুষ্প্রাপ্য খনিজের কিছু নমুনাও দেখান মুনির।
এর পরই ইসলামাবাদের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের একটি চুক্তি সেরে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি খনিজ সংস্থা। বৈদ্যুতিন গাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বিরল ধাতু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই দুষ্প্রাপ্য খনিজের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে যা কমাতে চাইছে আমেরিকা। যদিও পাকিস্তানে এই ধরনের কোনও খনিজের ভান্ডার রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চেয়ে হুঙ্কার ছাড়েন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সেই ‘আবদার’ অবশ্য মেনে নেয়নি পাকিস্তান। ৮ অক্টোবর মার্কিন দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলে যৌথ বিবৃতি দেয় ‘মস্কো ফরম্যাট’-এর গোষ্ঠীভুক্ত সমস্ত দেশ। সেখানে নাম ছিল ইসলামাবাদের। শাহবাজ় সরকারের এই অবস্থানে প্রথম বার ধাক্কা খায় ওয়াশিংটন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানকে সর্বাধুনিক ‘আকাশ থেকে আকাশ’ (এয়ার-টু-এয়ার) ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন সরকার সরবরাহ করবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ইসলামাবাদের হাতে পাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডিকে কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দেবে না ওয়াশিংটন। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু যন্ত্রাংশ তারা পাবে বলে স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শতাব্দীতে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’র সময়ে মার্কিন সামরিক জোটে ছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু ২০১১ সালে কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আল কায়দা’র প্রধান ওসামা বিন-লাদেনকে পাকিস্তানে ঢুকে নিকেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো বাহিনী। ফলে দু’তরফের সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি হয়। ‘তেহরিক-ই লাব্বাইক’-এর আন্দোলনের জেরে এ বার আমেরিকাকে দূতাবাস বন্ধ করতে হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।