Israel on Foreign Troops in Gaza

শান্তিবাহিনী পাঠানোর নামে হামাসকে আশ্রয় দেওয়ার ছক, গাজ়ায় পাক ফৌজ আসবে শুনেই ‘সিংহনাদ’ ইহুদিদের!

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে প্রবল উৎসাহী পাকিস্তান। কিন্তু ওই প্যালেস্টাইন ভূমিতে যে কোনও বিদেশি বাহিনীকে যে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট করেছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫০
Share:
০১ ২০

ইজ়রায়েলের চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ। যুদ্ধবিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনের গাজ়া উপত্যকায় ফৌজ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান! তবে কি এ বার ইহুদিভূমির সীমান্তে পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েন করবে ইসলামাবাদ? জল্পনার মধ্যেই অবশ্য পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজ়ায় যে কোনও বিদেশি শক্তির ‘অনুপ্রবেশ’ যে তেল আভিভ সহ্য করবে না, তাঁর হুঁশিয়ারিতে স্পষ্ট হয়েছে সেটা। ফলে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

০২ ২০

চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও দেশের বাহিনীকে গাজ়ায় ঢুকতে দিয়ে আমরা বিপদ বাড়াতে পারি না। এ ক্ষেত্রে ভিটো (কোনও কিছুকে না বলা) প্রয়োগ করবে ইজ়রায়েল। ওই প্যালেস্টাইন ভূমিতে কোন কোন শক্তি গ্রহণযোগ্য নয়, সেটা আমরাই ঠিক করব। অবশ্যই তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আপত্তি থাকবে না।’’ তাঁর এই বক্তব্যের পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘শান্তিপ্রস্তাব’-এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement
০৩ ২০

গত ২৪ অক্টোবর ইজ়রায়েল সফর করেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। ইহুদিভূমির একাধিক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। পরে তিনি বলেন, ‘‘গাজ়ার জন্য যে ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী’ (ইন্টারন্যাশনাল স্টেবিলাইজ়েশন ফোর্স বা আইএসএফ) তৈরি করা হবে, তাতে তেল আভিভ যেন অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করে, সে দিকে আমরা নজর রাখছি।’’ সংশ্লিষ্ট ফৌজ়ে কোন কোন দেশের সেনা থাকবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুবিয়ো।

০৪ ২০

এ বছরের ১৩ অক্টোবর মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে একগুচ্ছ আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে গাজ়া শান্তিচুক্তিতে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল ভারত। অন্য দিকে হাজির ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সংশ্লিষ্ট সমঝোতাটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ইতি টানা গিয়েছে বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। যদিও বাস্তবে গাজ়া উপত্যকায় দেখা গিয়েছে এর সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। সেখানে মাঝেমধ্যেই বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইহুদি বায়ুসেনা।

০৫ ২০

ট্রাম্পের তথাকথিত ‘শান্তিচুক্তি’তে মোট ২০টি শর্ত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল গাজ়ার জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী’ গঠন। একাধিক দেশের সৈনিক নিয়ে গঠিত ওই ফৌজ়ের মূল কাজ হবে সেখানকার স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি, শান্তিচুক্তিতে হামাসকে প্যালেস্টাইনের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নিরস্ত্রীকরণের কথাও বলা আছে সেখানে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। কারণ, কোনও অবস্থাতেই হাতিয়ার ত্যাগ করতে রাজি নয় হামাস।

০৬ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মিশরের শান্তি সমঝোতার অনুষ্ঠানে হাজির ছিল না ইহুদিভূমি এবং হামাসের কোনও নেতা-নেত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, তখনই এর ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য দিকে সংশ্লিষ্ট শান্তিচুক্তি সই হওয়ার সময় গাজ়ার জন্য তৈরি হতে চলা ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী’তে সৈনিক দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনটি ইসলামীয় দেশ। তারা হল ইন্দোনেশিয়া, আজ়ারবাইজান এবং পাকিস্তান। এই নিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতিও দিয়েছিল জাকার্তা, বাকু এবং ইসলামাবাদ।

০৭ ২০

গাজ়ার সুরক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী’ গঠনে সাহায্য করার নেপথ্যে ইন্দোনেশিয়ার একটি সুস্পষ্ট দাবি রয়েছে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্ত বলেছেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ার শান্তি ফেরাতে হলে ইহুদিদের কিছুটা নরম মনোভাব নিতে হবে। ইজ়রায়েল যদি দ্বৈত রাষ্ট্রের তত্ত্ব মেনে নেয় এবং প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেয়, তা হলে গাজ়া উপত্যকায় বাহিনী মোতায়েনে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’ ইহুদি রাষ্ট্রটিকে মান্যতা না দিলেও কখনও তাদের বিরুদ্ধে জাকার্তাকে বিষোদ্গার করতে দেখা যায়নি।

০৮ ২০

মিশরের বৈঠকে সুবিয়ান্ত বলেন, ‘‘প্যালেস্টাইনকে ইহুদিরা স্বীকৃতি দিলে আমরাও ইজ়রায়েলকে দেশ হিসাবে মেনে নেব।’’ পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের জন্য জাকার্তা ২০ হাজার সেনা পাঠাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে আজ়ারবাইজ়ানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যথেষ্ট মধুর কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তেল আভিভের ৬০ শতাংশ গ্যাসোলিনের চাহিদা দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিয়ে আসছে বাকু। বিশ্লেষকদের দাবি, সেই কারণেই গাজ়া যুদ্ধ চলাকালীন অন্যান্য ইসলামীয় দেশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি আজ়ারবাইজ়ান।

০৯ ২০

ইজ়রায়েল প্রশ্নে ইন্দোনেশিয়া এবং আজ়ারবাইজ়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, ইসলামাবাদ ইহুদি রাষ্ট্রটিকে আজও স্বীকৃতি দেয়নি। দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় কারণে তেল আভিভকে শত্রু বলে মনে করে তারা। আর তাই ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তিচুক্তির শর্ত শাহবাজ় শরিফ মেনে নেওয়ায় দেশ জুড়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে উন্মত্ত জনতার উপর গুলি পর্যন্ত চালানোর অভিযোগ ওঠে পাক পুলিশ এবং সেনার বিরুদ্ধে।

১০ ২০

এই অবস্থায় মিশর থেকে শরিফ দেশে ফেরার পর পাক সংসদ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে বিবৃতি দেয় তাঁর সরকার। সেখানে বলা হয়, ইজ়রায়েলের পাশে কোনও ভাবেই দাঁড়াবে না ইসলামাবাদ। তবে প্যালেস্টাইনবাসীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাজ়ায় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর এ কথা জানান উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশক দার।

১১ ২০

পাকিস্তানের দিক থেকে এ-হেন বিবৃতি জারির পর নড়চড়ে বসে নেতানিয়াহু প্রশাসন। তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ইজ়রায়েল একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। আমরা নিজস্ব উপায়ে আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এর জন্য কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।’’ পাশাপাশি, গাজ়ার ভাগ্য যে আগামী দিনে কোনও বহিরাগত শক্তি নির্ধারণ করবে না, ওই বৈঠকে তা-ও স্পষ্ট করেন নেতানিয়াহু।

১২ ২০

ইসলামাবাদকে নিয়ে ইজ়রায়েলের উদ্বেগের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। ‘মিডল-ইস্ট ফোরাম’ নামের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দু’বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে হামাস। অন্য দিকে ইহুদি হামলায় গাজ়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়া প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে ডেকে এনে নিজের ঘরে জায়গা দিচ্ছে ইসলামাবাদের গুপ্তচর সংস্থা ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা আইএসআই।

১৩ ২০

‘মিডল-ইস্ট ফোরাম’ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের উপর মারাত্মক হামলার পর পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন হামাসের অন্যতম শীর্ষনেতা নাজ়ি জ়াহির। সেখানে ইসলামাবাদ মদতপুষ্ট দুই কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁদের আয়োজিত সম্মেলনে ভাষণ দিতেও দেখা গিয়েছে জ়াহিরকে।

১৪ ২০

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে গাজ়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাকভূমিতে রকেটগতিতে উত্থান হয় জ়াহিরের। সম্প্রতি প্যালেস্টাইনের সমর্থনে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে একটি বিরাট সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন হামাসের আর এক শীর্ষনেতা খালেদ মাশাল। সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই নেতাকে বর্তমানে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইজ়রায়েলি গুপ্তচরবাহিনী মোসাদ।

১৫ ২০

২০২৩ সালের ২ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে ‘তুফান-ই-আকসা’ সম্মেলনে যোগ দেন জ়াহির। ওই অনুষ্ঠানটির মূল আয়োজক ছিল ইসলামাবাদের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ‘জামিয়েত উলেমায় ইসলাম-ফজ়ল’। এদের নেতা মৌলানা ফজ়লুর রহমান বর্তমানে পাক সংসদ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র সদস্য। সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন ৭ অক্টোবরের হামলার ‘মূল চক্রী’ তথা হামাসের তৎকালীন শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ে। গাজ়ায় যুদ্ধ চলাকালীন তাঁকে নিকেশ করে ইহুদি ফৌজ।

১৬ ২০

এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের গুপ্ত ঠিকানায় বিমানহামলা চালায় ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। তাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা খালিদ মাশালের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁর বেঁচে থাকার প্রমাণ মেলে। ফলে নতুন করে তাঁর সন্ধান শুরু করেছে ইহুদি গুপ্তচরবাহিনী মোসাদ। এ-হেন মাশালকে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাকিস্তানের একাধিক কট্টরপন্থী নেতার সভায় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে।

১৭ ২০

অন্য দিকে দোহায় ইজ়রায়েলি হামলার পর আরব দুনিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই সৌদি আরবের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলে পাকিস্তান। সেখানে বলা হয়েছে, দু’টির মধ্যে যে কোনও একটি দেশ তৃতীয় কোনও পক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হলে তাকে যৌথ ভাবে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করবে রিয়াধ ও ইসলামাবাদ। এই সামরিক সমঝোতাকে যে ইহুদিরা ভাল চোখে দেখছে না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

১৮ ২০

পাক-সৌদি সামরিক চুক্তির পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। প্রয়োজনে রিয়াধকে পরমাণু নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট করেন তিনি। এর পরই রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের হাতে আণবিক হাতিয়ার থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইজ়রায়েল। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক বিবৃতি দেন ইহুদি নেতৃত্ব।

১৯ ২০

ইজ়রায়েলি গণমাধ্যম ‘আই২৪’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নয়াদিল্লি সফর করবেন ইহুদিভূমির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী-সহ মোট চার জন ‘হেভিওয়েট’ রাজনৈতিক নেতা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানকার একের পর এক মন্ত্রীর ভারতে আসাকে ‘নজিরবিহীন’ বললে অত্যুক্তি করা হবে না। এতে দু’পক্ষের সম্পর্ক যে মজবুত হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

২০ ২০

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কূটনৈতিক সূত্রকে উল্লেখ করে ‘আই২৪’ লিখেছে, এ বছরের নভেম্বরের গোড়ায় ভারত সফর করবেন ইজ়রায়েলি বিদেশমন্ত্রী গিডিয়ান সার। ঠিক তার পরেই ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে পা পড়বে ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। নয়াদিল্লির কাছে গাজ়ার শান্তি রক্ষায় বাহিনী পাঠানোর আর্জি তিনি জানাবেন কি না, তার উত্তর দেবে সময়।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement