British Jail Scandal

প্রশাসনের ‘ভুলে’ জেলমুক্তি, দ্বীপরাষ্ট্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২৫০ কুখ্যাত অপরাধী! খুন-ধর্ষণের ভয়ে কাঁটা ইংরেজ আমজনতা

ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিচার বিভাগের মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন যে জেল কর্তৃপক্ষের ভুলে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে আড়াইশোর বেশি দাগী আসামি। নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র? প্রশ্ন তুলছে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকা ব্রিটিশ আমজনতা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৮
Share:
০১ ২০

নাবালিকা ধর্ষণ থেকে নারকীয় হত্যাকাণ্ড। এই ধরনের ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িত একগুচ্ছ সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন বন্দিকে ‘ভুল’ করে ছেড়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ! ‘বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া’র মতো মুক্তির স্বাদ পেয়েই দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তারা। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইংলিশ চ্যানেল তীরবর্তী দ্বীপরাষ্ট্রে পড়ে যায় হইচই। কী ভাবে কুখ্যাত ওই সমস্ত অপরাধীকে ফের গ্রেফতার করে গারদে ঢোকানো যায়, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে পুলিশের। অন্য দিকে বিরোধীদের কড়া কড়া বাক্যবাণ সামলাতে বাধ্য হয়ে ঘন ঘন বিবৃতি দিতে হচ্ছে সরকারপক্ষকে।

০২ ২০

সম্প্রতি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত কুখ্যাত অপরাধীদের ব্যাপারে বিস্ফোরক তথ্য দেন ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী ও ন্যায়বিচার দফতরের মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওই সাংসদ বলেন, ‘‘চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মোট ৯১ জন কুখ্যাত অপরাধীকে ভুলবশত মুক্তি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, অঙ্কের হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ছাড়া পেয়েছেন তিন জন করে বন্দি।’’ এত বড় গাফিলতির নেপথ্যে কী কী কারণ রয়েছে, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Advertisement
০৩ ২০

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তরপর্ব চলাকালীন এই ইস্যুতে সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবি তোলে বিরোধী দল কনজ়ারভেটিভ পার্টি। গত ১১ নভেম্বরে তারই জবাব দেন বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী ল্যামি। পরে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও জারি হয় বিবৃতি। সেখানে অবশ্য ‘ভুলবশত’ জেল থেকে কুখ্যাত অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য পূর্বসূরি কনজ়ারভেটিভদেরই দোষারোপ করেছে কিয়ের স্টার্মারের সরকার। ফলে ল্যামিকে আড়াল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

০৪ ২০

স্টার্মার সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন জেল থেকে ‘ভুলবশত’ ছাড়া পেয়েছে প্রায় ২৬২ জন কুখ্যাত অপরাধী। এই অঙ্ক আগের ১২ মাসের তুলনায় ১২৮ শতাংশ বেশি। কারণ, ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মুক্তি পান ১১৫ জন। এদের মধ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং যৌন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৭। ছাড়া পাওয়া অপরাধীদের সিংহভাগকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁদের কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কি না, তা-ও প্রশাসন জানে না।

০৫ ২০

বিচার বিভাগের যুক্তি, কুখ্যাত অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি দায়ী করা উচিত নয়। প্রশাসনিক নিয়মের জন্যেই তাঁদের বার বার একই বন্দিকে হেফাজতে নিতে হয়। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্তদের দীর্ঘ দিন এক জেলে আটকে রাখার নিয়ম নেই। ফলে তাঁদের অন্যত্র সরানোর সময় এই ভুল হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

০৬ ২০

বিচারাধীন বা সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের হস্তান্তরের জন্য পরোয়ানার প্রয়োজন হয়। ব্রিটিশ বিচার বিভাগ সূত্রে খবর, সেখানে ভুল নথি দেওয়ার কারণে কুখ্যাত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। এই ত্রুটি পুলিশ বা আদালতের হতে পারে। বর্তমানে যা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। মুক্তিপ্রাপ্তদের কত শতাংশ শরণার্থী, ল্যামির কাছে তা জানতে চেয়েছে বিরোধী দল। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে এর জবাব এড়িয়ে যান ইং‌রেজ মন্ত্রী। তবে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ দেন তিনি।

০৭ ২০

কনজ়ারভেটিভদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ল্যামি বলেন, ‘‘এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়। তাই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোনও ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিতে পারি না। যেটা সঠিক এবং বাস্তব, মন্ত্রী হিসাবে সেটাই আমাকে বলতে হবে। এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য হাতে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা প্রকাশ করব। বিরোধীদের বলব, এর জন্য অপেক্ষা করতে।’’ পাশাপাশি, এ ব্যাপারে রাজনীতি করা অনুচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

০৮ ২০

ব্রিটেনে সাড়া ফেলে দেওয়া অপরাধগুলির মধ্যে অন্যতম হল এপিং কেলেঙ্কারি। ইংল্যান্ডের এসেক্স এলাকায় সংগঠিত যৌন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন ইথিওপিয়ার এক শরণার্থী। ১৪ বছরের কিশোরীও তাঁর লালসার হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। ওই ঘটনা দ্বীপরাষ্ট্রটিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। সম্প্রতি এর মূল অভিযুক্ত হাদুশ কেবাতুকে ছেড়ে দেয় স্টার্মার সরকার। তার কয়েক দিনের মাথাতেই জেল থেকে ‘ভুলবশত’ কুখ্যাত বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার খবরে ইংলিশ চ্যানেল তীরবর্তী দেশটির ঘরোয়া রাজনীতির জলঘোলা হতে শুরু করেছে।

০৯ ২০

এ ব্যাপারে কনজ়ারভেটিভ নেতা রবার্ট জেনরিক পার্লামেন্টে বলেন, ‘‘প্রথমে কেবাতুর মতো অপরাধীকে সরকার ছেড়ে দিল। এখন জানতে পারছি ভুল করে নাকি কয়েকশো কুখ্যাত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর দায় কে নেবে? এটা কিন্তু হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তাই ইচ্ছা করে সম্পূর্ণ চিত্রটা প্রকাশ করছেন না ল্যামি। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনও অধিকার নেই ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির।’’

১০ ২০

অন্য দিকে ব্রিটিশ কারামন্ত্রী লর্ড জেমস টিম্পসন বলেছেন, ‘‘ভুল করে ছাড়া পাওয়া বন্দিদের ফিরিয়ে আনা মোটেই সহজ নয়। এর কোনও চটজলদি সমাধান নেই।’’ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক মুখপাত্রের আবার যুক্তি, এই অব্যবস্থা নাকি কনজ়ারভেটিভদের সময় থেকে চলে আসছে। এখন কেবলমাত্র রাজনৈতিক চাপ তৈরির জন্য প্রশাসনের সমালোচনা করছেন তাঁরা।

১১ ২০

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘কনজ়ারভেটিভদের আমলে একটা ব্যর্থ ফৌজদারি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। আপনি রাতারাতি তার বদল করতে পারবেন না। নথি বলছে, ২০২৩ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৯ থেকে ১৭ জন কুখ্যাত অপরাধীকে ভুলবশত মুক্তি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। ফলে পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। অচিরেই পুরুষ জেলগুলির ৯৯ শতাংশ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।’’

১২ ২০

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ কারা বিভাগের এক পদস্থ কর্তা। ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের বিপত্তি এড়াতে হলে আমাদের জেলের অনেক নিয়ম বদলাতে হবে। কারাগারের গভর্নরদের অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়ার দরকার রয়েছে। এ ছাড়া প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। জেল আধুনিক হলে ভুলবশত অপরাধী ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা আটকানো অসম্ভব।’’

১৩ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগের দায়িত্ব পান ল্যামি। পাকিস্তান বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির নেত্রী শাবানা মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। সেপ্টেম্বরেই প্রথম মুসলিম মহিলা হিসাবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শাবানা। প্রবল ভারতবিরোধী হিসাবে ইংরেজদের ঘরোয়া রাজনীতিতে বিশেষ পরিচয় রয়েছে তাঁর। কুর্সিতে বসেই ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আনার বার্তা দেন তিনি।

১৪ ২০

গত সেপ্টেম্বরে লন্ডনে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানকারী ‘পঞ্চনেত্র’ (ফাইভ আইজ়) গোষ্ঠীর সভায় ভাষণ দেন শাবানা। সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম এবং অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে শাবানা বলেন, ‘‘যে সব দেশ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য চুক্তি করতে রাজি নয়, ব্রিটেনে তাদের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করতে পারে।’’ তাঁর এই মন্তব্যের অন্যতম নিশানা ভারত ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

১৫ ২০

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের সরকারের অভিবাসন, পুলিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি রয়েছে শাবানার নিয়ন্ত্রণে। ১৯৮০ সালে বার্মিংহামে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। ব্রিটেনের পাশাপাশি শাবানার শৈশবের একাংশ কেটেছে সৌদি আরবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্কন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্তির পরে ব্যারিস্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। ২০১০ সাল থেকে তিনি ধারাবাহিক ভাবে বার্মিংহাম লেডিউড আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

১৬ ২০

ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা-নেত্রীদের একাংশের অভিযোগ, শাবানার আমলেই ইংরেজদের জেল প্রশাসনে শুরু হয় জঙ্গলরাজ। ওই সময় কুখ্যাত বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার সূচক সর্বাধিক উচ্চতায় উঠেছিল। ল্যামি এসে সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি। কারণ ঘুণ ধরা প্রশাসনকে নিয়েই এগোতে হচ্ছে তাঁকে।

১৭ ২০

এ বছরের জুনে রদারহ্যাম কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ঘরোয়া রাজনীতি। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের পদত্যাগ চেয়ে সুর চড়াতে শুরু করেন বিরোধী রক্ষণশীলেরা। আর এই ইস্যুতেই প্রকাশ্যে আসে পাক ‘গ্রুমিং গ্যাং’য়ের প্রসঙ্গ, যাঁদের ধর্ষক ছাড়া আর কিছুই বলতে চাননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক।

১৮ ২০

কী এই ‘গ্রুমিং গ্যাং’? কী ভাবেই বা ইংরেজ নাবালক-নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের শিকার বানাচ্ছে তাঁরা? ব্রিটিশ পুলিশ একে অত্যন্ত সংগঠিত অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই গ্যাংয়ের সদস্যদের নিশানায় থাকে মূলত স্কুল বা শিশু আবাসিক কেন্দ্র। সেখানেই গাড়ি এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা।

১৯ ২০

‘গ্রুমিং গ্যাং’য়ের মধ্যে এমন কয়েক জন রয়েছেন, যাঁরা কথাবার্তায় বেশ পটু। নাবালক-নাবালিকাদের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেন তাঁরা। এর পর চকোলেট এবং বিভিন্ন উপহার দিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে এই ‘গ্রুমিং গ্যাং’। শেষে ওই কিশোর বা কিশোরীকে মদ-সিগারেট এবং অন্যান্য মাদকের নেশা ধরায় তারা। শেষ ধাপে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে চলে যৌন নির্যাতন। এর পাশাপাশি ‘গ্রুমিং গ্যাং’য়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্মান্তকরণের অভিযোগও।

২০ ২০

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের রদারহ্যাম শহরে এই ‘গ্রুমিং গ্যাং’য়ের হদিস পায় ব্রিটিশ পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১,৪০০টি শিশু। এই সংখ্যা ৪০ হাজারে পৌঁছোতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘গ্রুমিং গ্যাং’য়ের হাত থেকে নিস্তার পায়নি ১১ বছরের কিশোরীও। মানব পাচারের সঙ্গেও এই দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ধৃতদের কেউ ভুলবশত জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে কি না, বর্তমানে তা খতিয়ে দেখছে স্টার্মার প্রশাসন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement