গরিব চাষির সমস্যা নিয়ে প্রথম জনশুনানি হয়েছিল চম্পারনেই

কৃষককে তখন মিছিল করে দিল্লি, মুম্বইয়ে আসতে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা-ফেরত আইনজীবী ১৯১৭ সালে নিজেই ছুটে গিয়েছিলেন তাঁদের কাছে। তাঁর নেতৃত্বে লিপিবদ্ধ হয় দশ হাজার চাষির বয়ান। দেশ পেল নতুন অস্ত্র: সত্যাগ্রহ।কৃষককে তখন মিছিল করে দিল্লি, মুম্বইয়ে আসতে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা-ফেরত আইনজীবী ১৯১৭ সালে নিজেই ছুটে গিয়েছিলেন তাঁদের কাছে। তাঁর নেতৃত্বে লিপিবদ্ধ হয় দশ হাজার চাষির বয়ান। দেশ পেল নতুন অস্ত্র: সত্যাগ্রহ।

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৩
Share:

ঐতিহাসিক: সে যুগের প্রচারমাধ্যমে দুই সত্যাগ্রহ। ১৯১৭-তে চম্পারনে কৃষক, পরের বছর আমদাবাদে শ্রমিক জাগরণ।

গত কয়েক বছরে বৃষ্টি ঠিকঠাক হচ্ছে। চাষও ভালই হবে। তাতে খুশি চন্দ্রনাথ সাহনি। উত্তর বিহারের নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম হররিয়াটোলার বাসিন্দা বছর সত্তরের চন্দ্রনাথ। আপাতত বিঘে পাঁচেক জমিতে চাষ করেই সংসার চালান। গর্ব করে বলেন, স্বাধীনতার বছরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। বাবা ছকু সাহনির ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় হয়ে ব্যারিস্টার হবে। সেই কারণেই নাকি ভাল একটা নামও রেখেছিলেন ছেলের। কিন্তু ব্যারিস্টার হতে পারেননি চন্দ্রনাথ। ছকু সাহনি ‘গাঁধীবাবা’-কে দেখেছিলেন। আন্দোলনের সঙ্গীও ছিলেন। ছেলে গাঁধীবাবার পথে চলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করুক, তা-ই চেয়েছিলেন। নতুন দেশে চাষিদের কষ্ট লাঘবের আশা ছিল তাঁর। ছকু সাহনির সেই স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি চন্দ্রনাথ। দারিদ্রের কারণে স্কুলের গণ্ডি পেরোনো হয়নি তাঁর। কালো ডাঁটির মোটা ঘোলাটে চশমাটা খুলে মুছে নেন চম্পারনের এই বৃদ্ধ চাষি। তার পরে ধরা গলায় নিখাদ ভোজপুরিতে বলেন, ‘‘চাষিদের স্বপ্নপূরণ হয় না পত্রকারবাবু!’’

Advertisement

চম্পারন সত্যাগ্রহ গত বছরেই শতবর্ষ পেরিয়েছে। সেই চম্পারন, যেখান থেকে মোহনদাস কর্মচন্দ হয়ে উঠেছিলেন গাঁধীবাবা। কেমন আছে আজ চম্পারন? কেমন আছেন সেখানকার চাষিরা?

দেশ জুড়ে কৃষকদের অবস্থা নতুন করে বলার নয়। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু থেকে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ, সর্বত্রই হাল একই রকম। বিহারের চম্পারন স্বাভাবিক ভাবেই তার বাইরে নয়। কোথাও ফলন আছে, দাম নেই। কোথাও জলের অভাবে ফলন নেই। কোথাও ঋণের বোঝায় চাষিকে ঝুলতে হচ্ছে গাছের ডালে। মহাত্মা গাঁধীর সেই চম্পারন থেকেই গত লোকসভা ভোটে জিতেছেন রাধামোহন সিংহ। রাজপুত রাধামোহন হয়েছেন দেশের কৃষিমন্ত্রী। চাষিদের ভালমন্দ তাঁর মন্ত্রকের হাতেই। সত্যাগ্রহের শতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে চম্পারনেই তিনি বলেছেন, ‘‘কৃষকদের নিয়মিত যোগ করা প্রয়োজন।’’ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সেই ‘বাণী’ মনে করিয়ে দিতেই হেসে ফেলেন চন্দ্রনাথ, ‘‘এ সব কথা আর নাইবা তুললেন। কী হবে বলুন তো! চাষিদের অবস্থা নিয়ে কে আর ভাবে!’’

Advertisement

অমৃতবাজার পত্রিকার খবর, গাঁধীর নামে জারি নোটিস

ব্রিটিশ সরকার আর নীলকুঠির চাপানো নানা করে জর্জরিত চম্পারণের চাষিদের হয়ে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন রাজকুমার শুক্ল। ১৯১৬ সালে লখনউ কংগ্রেসে গিয়ে তিনি খোদ মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে ১৯১৫ সালে ছপড়াতে বিহার প্রভেন্সিয়াল কনফারেন্সে চম্পারণের চাষিদের দুঃখ-কষ্টের ছবি তুলে ধরেছিলেন। লখনউ কংগ্রেস অধিবেশনের ফাঁকে মোহনদাস কর্মচন্দ দেখা করেছিলেন রাজকুমার, শেখ গুলাম, শীতল রায় ও তাঁদের সঙ্গীদের সঙ্গে। দেশের ইতিহাসে কংগ্রেসের ১৯১৬ সালের লখনউ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৩০০ প্রতিনিধি এবং কয়েক হাজার অতিথি সেখানে হাজির হয়েছিলেন। বালগঙ্গাধর তিলক, অ্যানি বেসান্ত, মহম্মদ আলি জিন্নাদের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সেই বিশাল আয়োজনের মাঝে মোহনদাসকে খুঁজে বের করেছিলেন রাজকুমার। নিজেদের লড়াইকে দেশের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একজন নেতা দরকার ছিল তাঁদের। আর গাঁধীর থেকে ভাল নেতা কেউ হতে পারবেন না, বুঝেছিলেন শুক্ল। সীমিত যোগাযোগের সময়ে প্রান্তিক এক কৃষক আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবাই যেত না। হাল ছাড়েননি রাজকুমার।

চম্পারন সত্যাগ্রহ চলাকালীন গাঁধী ছিলেন হাজারিমল ধর্মশালায়। ভোজপুরি বলতে পারতেন না, হিন্দিও তখন খুব একটা ঠিকঠাক ছিল না তাঁর। স্থানীয় দুই আইনজীবীর সাহায্যে ৮৫০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার লোকের বয়ান লিপিবদ্ধ করেন গাঁধী।

সে দিনের পর থেকে রাজকুমার মোহনদাসের পিছু নেওয়া শুরু করেন। লখনউ অধিবেশনে বিহারের প্রতিনিধিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিহারের প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন ব্রজকিশোর প্রসাদ এবং রাজেন্দ্র প্রসাদ। মোহনদাস কর্মচন্দ তখনও ‘মহাত্মা’ হয়ে ওঠেননি। লখনউ অধিবেশনেই ব্যারিস্টার মোহনদাসের হাজির থাকার কথা শোনেন রাজকুমার। এর আগে গাঁধীর আমদাবাদের ঠিকানায় চিঠি লিখেছিলেন তিনি। চম্পারনে আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল গাঁধীকে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক দাসপ্রথা বিলোপের জন্য দেশজুড়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন গাঁধী। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর কাছে কোনও সময় ছিল না।

গোপালকৃষ্ণ গোখলের অনুগামী ছিলেন মোহনদাস। গোখলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশের জন্য কাথিয়াওয়াড়ি চাষির পোশাকে সেই অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পায়ে জুতো পর্যন্ত ছিল না মোহনদাসের। বিহার প্রতিনিধিদের আবাসস্থলের কাছেই ছিল তাঁর তাঁবু। বাবু ব্রজকিশোর প্রসাদকে নিয়ে রাজকুমার এক সন্ধ্যায় হাজির হলেন সেখানে। তাঁর পোশাক দেখে খুশি হলেন রাজকুমার। মোহনদাসকে প্রণাম করে চম্পারনের চাষিদের অসহনীয় পরিস্থিতির কথা বললেন তিনি। অধিবেশনে চাষিদের পক্ষে প্রস্তাব নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করলেন। ব্রজকিশোরবাবুকে দেখে সে সময়ে গাঁধীর মনে হয়েছিল, মক্কেল চাষিদের অধিবেশনে নিয়ে এসে প্রসার বাড়াতে চাইছেন এই উকিল। পরে যদিও সে ভুল তাঁর ভেঙেছিল। গাঁধী একেবারে হতাশ করলেন না রাজকুমারকে। মন দিয়ে তাঁর সমস্ত কথা শুনলেন। তার পরে সাফ জানালেন, ‘‘নিজের চোখে না দেখে আমি এখনই কোনও মত দেব না। আমাকে এখনকার মতো মুক্তি দিন।’’ কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ করানোর বিষয়টিও এড়িয়ে যান তিনি। রাজকুমার হতাশ হলেন না। তিনি বুঝতে পারলেন, কেউ শুনুক না শুনুক এই ব্যারিস্টার যাওয়ার কথা বলেছেন। তাই বা কম কী!

সে বার কংগ্রেস অধিবেশনে চম্পারনের চাষিদের অবস্থা নিয়েও একটি প্রস্তাব পাশ হল। ব্রজকিশোর প্রসাদ সেই প্রস্তাব পেশ করলেন। ব্রিটিশ রাজের কাছে পরিস্থিতি নিয়ে ‘এনকোয়ারি’র দাবি করা হল। রাজকুমার নিজেও প্রস্তাবের পক্ষে সভায় বললেন। কিন্তু গাঁধীকে চম্পারনে নিয়ে যেতে হবে, এ কথা ততক্ষণে তাঁর মাথায় ঢুকে গেছে। কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরে ফের বিহারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গাঁধীকে ধরলেন রাজকুমার। গাঁধী জানালেন, মার্চ-এপ্রিল নাগাদ যাবেন তিনি।

রাজকুমার অবশ্য সহজে পিছু ছাড়ার লোক নন। লখনউ থেকে কানপুরে গেলেন গাঁধী। সেখানেও হাজির রাজকুমার। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, চম্পারন খুব দূরে নয়। কোনও মতে রাজকুমারকে বুঝিয়ে নিরস্ত করলেন গাঁধী। তবে জানিয়ে দিলেন, কথা দিয়েছেন যখন নিশ্চয়ই যাবেন। কানপুর থেকে চম্পারনে ফিরে এলেন রাজকুমার। ১৯১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি ফের চিঠি লিখলেন। গাঁধী চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, ৭ মার্চ তিনি কলকাতায় থাকবেন। কিন্তু সেই চিঠি রাজকুমারের কাছে দেরিতে পৌঁছল। চিঠি পেয়ে কলকাতা পৌঁছে খবর নিয়ে জানতে পারলেন, গাঁধী দিল্লির দিকে রওনা দিয়েছেন। ফের ১৬ মার্চ চিঠি লিখে রাজকুমার গাঁধীকে যত দ্রুত সম্ভব চম্পারন আসতে অনুরোধ করলেন। ৩ এপ্রিল গাঁধী টেলিগ্রাম করে জানালেন, তিনি কলকাতায় ভূপেন্দ্রনাথ বসুর বাড়িতে উঠবেন। রাজকুমার যেন সেখানে গিয়ে দেখা করেন। সময়ের আগেই ভূপেন বসুর বাড়ির দরজায় হাজির হলেন বিহারের এই চাষি। কলকাতার ফুটপাতে কয়েকটি রাত কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। খবরের কাগজের দফতরে গিয়ে গাঁধীর কর্মসূচি জেনে নিয়েছেন।

কাউকে কিছু না জানিয়ে ৭ এপ্রিল রাতের ট্রেনে গেঁয়ো লোকের মতো পোশাক পরেই রাজকুমারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা থেকে পটনার পথে রওনা দিলেন গাঁধী। পটনা থেকে মুজফফরপুর হয়ে চম্পারন! সেখানে জে বি কৃপালনী ও তাঁর সঙ্গীরা রাতে সাহায্য করেন। ব্রিটিশ সরকারের তিরহুত ডিভিশনের কমিশনার এল এফ মোরসহেড-এর সঙ্গে ১৩ এপ্রিল দেখা করেন গাঁধী। তার দু’দিন আগে দেখা করেছিলেন নীল উৎপাদকদের
সংগঠন বিহার প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সেক্রেটারি জে এম উইলসনের সঙ্গে। সরকার বাহাদুর এবং নীল উৎপাদকেরা বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে। গাঁধীকে আটকানোর প্রায় সমস্ত চেষ্টাই তাঁরা করেছেন। লাভ হয়নি। ১৫ এপ্রিল দুপুরের ট্রেন ধরে মোতিহারি পৌঁছে যান গাঁধী। দেশের ইতিহাসের প্রথম জন আন্দোলনকে সংগঠিত করে তোলেন তিনি। ১৮ এপ্রিল তিনি মোতিহারি আদালতের পথে রওনা দেন। ম্যাজিস্ট্রেটকে বলতে যাচ্ছিলেন, তিনি মোতিহারি ছাড়বেন না। সে সময়ে তাঁর সঙ্গে প্রায় দু’হাজার লোক আদালতের পথে রওনা দেন। ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, টিভি চ্যানেলবিহীন সেই সীমিত যোগাযোগের সময়ের কথা বিশ্বাস করা এখন রীতিমতো কঠিন। গাঁধী ভোজপুরি বলতে পারতেন না। হিন্দিও তখন খুব একটা ঠিকঠাক ছিল না তাঁর। স্থানীয় দুই আইনজীবীর সাহায্যে প্রায় ৮৫০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার লোকের বয়ান লিপিবদ্ধ করেন গাঁধী। চম্পারন সত্যাগ্রহ চলাকালীন গাঁধী ছিলেন হাজারিমল ধর্মশালায়।

ভারতের ইতিহাসে সেটাই প্রথম জনশুনানি। সেই জনশুনানিতে চাষিদের ওপরে অত্যাচারের ঘটনা লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন গাঁধী। গত ২০১৫ সালে দেশে ১২ হাজার ৬১৫ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন। তার মধ্যে চম্পারনের চাষিও রয়েছেন। কোথাও কোনও শুনানি হয়নি। বাকি ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা! চম্পারনের চাষিদের ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল নীল উৎপাদকেরা। মাত্র ৪০০ নীলকর সাহেব প্রায় ১৯ লক্ষ চাষিকে ক্রীতদাস করে রেখেছিল। মুনাফার জন্য চাষিদের জমিতে নীল উৎপাদন ও তাঁদের ওপরে নানা ধরনের কর চাপানো হয়েছিল। নিজেদের ইচ্ছায় তাঁরা কোনও চাষ করতে পারতেন না। অন্যথা হলেই গুলি করে মারা হত। বঁড়শি দিয়ে শরীরে ফুটো করে দেওয়া হত। বাড়িতে আগুন ধরানো হত। ঘর ভেঙে ফেলা হত। সেই জমিতেই নীলচাষ করতে বাধ্য করা হত।

১৯১৭ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত চলা সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই একশো বছর পার করেছে। কিন্তু গাঁধীর চম্পারনে যাওয়া ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে মনে রাখবে কেন আজকের প্রজন্ম? এমন প্রশ্নই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে করে থাকেন অনেকে। সত্যাগ্রহের অর্থ হল, কোনও ধরনের হিংসা ছাড়া এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। সেই আওয়াজটাই তুলেছিলেন গাঁধী।

চম্পারনের শতবর্ষের শিক্ষা তাহলে কোথায় গেল? আজ শুধু চাষি নয়, সাধারণ মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত। নিজেদের ফসলের দামের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে চাষিদের। চাষের জন্য সেচ ব্যবস্থা নেই। ফসল বিক্রির জন্য কোনও বাজার নেই। ঋণে জর্জরিত। চম্পারণ-সহ দেশ জুড়ে একই অবস্থা। কৃষকের আত্মহত্যার খবরে আজকাল আর কেউ বিচলিত হন না।

ব্রিটিশ রাজের অত্যাচারের পরোয়া না করে পির মহম্মদ মুনিষ কানপুরের ‘প্রতাপ’ সংবাদপত্রে চম্পারনের ‘রিপোর্টিং’ করেছিলেন। প্রতাপ-এর সম্পাদক গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী সেই খবর নিয়মিত ছেপে তা বিতরণ করেছিলেন। দারভাঙা রাজের খবরের কাগজে মহেশ্বর সহায় চম্পারনের আন্দোলনের কথা লিখেছিলেন। খবর ছেপেছিল নাগপুরের ‘হিতবাদী’ও। সে দিন চম্পারনে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী যে সত্যাগ্রহের অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন, পরে সেটিই তো হয়ে ওঠে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম আয়ুধ। আজ, চাষিদের আত্মহত্যার এই সময়ে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে সেটাই শতবর্ষ-পেরোনো চম্পারনে আসল চ্যালেঞ্জ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন