ছবি : সংগৃহীত।
ঢেঁড়সের সঙ্গে কুড়মুড়ে বা মুচমুচে কোনও ব্যাপারটাই ঠিক মেলে না। মিলবেই বা কী ভাবে! ঢেঁড়সের ভিতরে থাকে এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ। ফলে তা যে রান্নাতেই পড়ে, তাতেই সেই পিচ্ছিল ভাব চলে আসে। মুচমুচে তো দূর অস্ত্, ঢেঁড়স ভাজা ছাড়া অধিকাংশ রান্নায় একটু বেশিই ভিজে বা ন্যাতানো ভাব থাকে।
ঢেঁড়স যতই উপকারী হোক না কেন, এই পিচ্ছিল ভাবের জন্য অনেকেই তা খেতে পছন্দ করেন না। তবে এই রান্নাটি ঢেঁড়স খেতে ভাল-না-বাসা মানুষটিও চেয়ে চেয়ে খাবেন।
অবশ্য ঢেঁড়স কে এমন মুচমুচে বানানোর জন্য কিছু টোটকাও মেনে চলা দরকার। কুড়মুড়ে ঢেঁড়স বানানোর পদ্ধতি জানানোর পাশাপাশি রইল তেমন চারটি টিপস। এ বার শুধুই বৃষ্টিভেজা এক খানি সন্ধ্যার অপেক্ষা।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
১০-১২ টি ঢেঁড়স লম্বালম্বিভাবে চার ভাগে কাটা
২ টেবিল চামচ বেসন
২ চা চামচ চাট মশলা
আধ চা চামচ আমচুর (দিলে রান্নাটি আরও সুস্বাদু হবে)
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চিমটে গুঁড়ো লঙ্কা
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ লেবুর রস
স্বাদমতো নুন
ভাজার জন্য তেল
প্রণালী
একটি পাত্রে ঢেঁড়স এবং তেল ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ ১ টেবিল চামচ জল দিয়ে একসঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করুন। এবার চিরে নেওয়া ঢেঁড়সের টুকরো গুলো মিশ্রণে মাখিয়েই তেলে দিন।
সব একবারে না দিয়ে অল্প অল্প করে দিয়ে ভাজুন। যতক্ষণ না সব দিক থেকে সোনালি বাদামী রঙ ধরেছে।
কয়েকটি ন্যাপকিনের উপর ভাজা ঢেঁড়স গুলো তুলে রাখুন
উপরে সামান্য চাট মশলা দিয়ে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন কুরকুরে ঢেঁড়স।
টিপস
১. ঢেঁড়স কাটার আগে ভাল ভাবে ধুয়ে জল পুরোপুরি শুকিয়ে নিতে হবে।
২. ব্যাটারে ডোবানোর আগেও চিরে নেওয়া ঢেঁড়সের টুকরোগুলো ন্যাপকিনে রেখে দিন।
৩. ঢেঁড়স ব্যাটারে মেশানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভাজতে হবে, না হলে ঢেঁড়স থেকে জল কেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মুচমুচে হওয়ার বদলে নেতিয়ে যাবে।
৪. ভাজার মিনিট ১৫-২০র মধ্যেই পরিবেশন করুন।