প্রন ককটেল।
সুরা বিনা ককটেল ঠিক যেন ‘সোনার পাথরবাটি’। কিন্তু যদি বলি সত্যিই তা-ও হয়! আর সে স্বাদের ভাগ নিতে পারেন বাড়ির সিনিয়র মোস্ট থেকে ছোট্ট সদস্যটিও। আরে চোখ কপালে তুলছেন কেন? হার্ড ড্রিঙ্কস ছাড়া ঠান্ডা স্বাদু ককটেল বানিয়ে মোহিত করে দিতে পারেন পরিবারের সকলকে।
চিংড়ি আর বাড়িতে পাতা টক দইয়ের যুগলবন্দিতে অসাধারণ এক ককটেল বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। এই গরমে টক দইয়ের উপকারিতার কথা আর কে না জানে! সুতরাং আর দেরি না করে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন প্রন ককটেল আর গরমের পাতে খানিক ঠান্ডার আমেজ আসুক।
এ রান্না সাধারণত স্টার্টার বিভাগের মেনুতেই রাখা থাকে। তবে বিশেষজ্ঞ শেফদের মতে, রুমালি রুটি বা পরোটা এই দুই পদের সঙ্গেই যাবে এই রান্না। তবে এটা খুবই ঠান্ডা থাকায় অন্য পদটি গরম রাখুন। এতে স্বাদের ব্যাটিং জমে যাবে, তা ক্রিজ যে রকমই হোক না কেন!
আরও পড়ুন: এমন আমের পায়েস দিয়েই জমিয়ে দিন গ্রীষ্মের পাত
হ্যাং কার্ড প্রন ককটেল
উপকরণ
চাপড়া চিংড়ি: ২৫০ গ্রাম (ছোট আকারের বাগদাও নিতে পারেন, মাথা ও খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা)
জল ঝরিয়ে রাখা টক দই: ২০০ গ্রাম
মাখন:১/২ চামচ
গ্রেট করা চিজ: ৫০ গ্রাম
অলিভ অয়েল: ১ চা চামচ
প্যাপরিকা সস ও টোবাস্কো সস: ১/২ চা চামচ করে
পাতিলেবুর রস:১ চা চামচ
ফ্রেশ ক্রিম: চার চামচ
গোল মরিচ ক্রাশ করা: সামান্য
গন্ধরাজ লেবুর স্লাইস
মধু: অল্প
আরও পড়ুন: গ্লুটেন ছাড়াই চিংড়ির এই রান্না জিভে জল আনবে
প্রণালী
চিংড়িতে সামান্য নুন, লেবুর রস ও গোলমরিচ মাখিয়ে মাখন গরম করে হালকা নেড়ে চাপা দিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক পরে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। বাড়িতে পাতা বা দোকান থেকে টক দই কিনে আগের দিন রাতে পরিষ্কার মসলিন কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখলে জল ঝরে যাবে। জল ঝরানো দইয়ের মধ্যে অলিভ অয়েল, ক্রাশ করা গোলমরিচ ও সামান্য মধু মিশিয়ে ফেটিয়ে রাখুন। এ বারে তাতে গ্রেট করা চিজ ও স্যস মিশিয়ে নিন। আলাদা পাত্রে ক্রিম ফেটিয়ে নিয়ে দই এর মিশ্রণে ভালো করে মিশিয়ে এর মধ্যে সেদ্ধ করা চিংড়ি দিয়ে নেড়ে চেড়ে সামান্য নুন মিশিয়ে ফ্রিজে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঘন্টা দুয়েক পরে ঠান্ডা হল্যে গেলে লেবুর স্লাইস সাজিয়ে পরিবেশন করুন।