আমের পায়েস।
গরমের দিন, আর পাতে আম পড়বে না তা-ও কি হয়? কাঁচা মিঠে আম মাখা থেকে শুরু করে, আমডাল, আমের চাটনি সবই ইতিমধ্যে চেখে ফেলেছে বাঙালি। তবে বাঙালির রসনায় আমের নানা খাবার ঠাঁই করে নেবে আর মিষ্টির পদে তা ব্রাত্য হয়ে থাকবে, তেমনটা মোটেও হয় না। তাই এই গরমে নিত্যনতুন রান্নার তালিকায় রাখতেই পারেন আমের পায়েস।
নানা রকম আম দিয়েই এই পায়েস বানানো যেতে পারে, তবে হিমসাগর আমের পায়েসের স্বাদ অন্য সব আমের পায়েসকেই পাল্লা দিতে পারে। সহজেই বানানো যাবে, অথচ স্বাদেও হবে মনকাড়া এমন পায়েস বানাতে চাইলে মেনে তলতে হয় কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি।
এই গরমের দুপুর জমিয়ে দিতে তাই পাতশেষে ডেজার্টে রাখুন হিমসাগর আম দিয়ে বানানো এই পায়েস। দেখে নিন এর উপকরণ ও প্রণালী।
আরও পড়ুন: শেষ পাতে মন জিতে নিন এই রান্নায়
আমের পায়েস
উপকরণ:
দুধ: দেড় লিটার
কিশমিশ: তিন চামচ
ঘি: ২ চামচ
হিমসাগর পাকা আম: এক-দু’টি
খোয়া ক্ষীর: ৩ টেবিল চামচ
চিনি: ৮ টেবিল চামচ
গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো: ৪ চামচ
সুজি: ২ টেবিল চামচ
চেরি ফল: কয়েকটা (সাজানোর জন্য)
আরও পড়ুন: কষা মাংস দিয়েও পিৎজা! জিভে জল আসবে এমন রান্নায়
ঠান্ডা করা আমের পায়েস।
প্রণালী:
আমের খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে চটকে পিউরি বা পেস্ট বানিয়ে নিন। ঘিয়ে ভেজে রাখুন কিশমিশ। ঢিমে আঁচে দুধ বসিয়ে ফুটিয়ে নিন ঘন করে। এতটাই ঘন হবে যেন পরিমাণে অর্ধেকেরও কম হয়ে যায়। এ বার সুজি ভেজে নিন শুকনো করে। ওই দুধের মধ্যে ভাজা সুজি মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিহি হয়ে মিশে যেতে দিন। এ বার চালের গুঁড়ো দুধের মধ্যে যোগ করুন। একই ভাবে নাড়তে থাকুন। এই মিশ্রণ আরও ঘন হয়ে এলে এতে চিনি ও খোয়া ক্ষীর মেশান। মিশ্রণটি বেশ ঘন হয়ে এলে আমের পিউরি যোগ করুন এতে। ভাল করে নাড়ুন, যত ক্ষণ না আম ভাল ভাবে দুধের সঙ্গে মিশে যায়। এ বার ঘিয়ে ভাজা কিশমিশ এই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মূল রান্নাটি প্রস্তুত। এ বার এই ঘন মিশ্রণ ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন কিছু ক্ষণ। খানিক পরে বার করে উপর থেকে চেরি ফল ও পাকা আম কেটে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy