ছবি : সংগৃহীত।
বর্ষা কালই তো মুচমুচে খাবার উপভোগ করার সেরা সময়। কিন্তু খাবার যদি চেষ্টা করেও মুচমুচে না হয়, খাস্তা না হয় তবে কী করবেন? কেউ কেউ বলবেন, প্রতিদিন চপ, তেলেভাজা, পাকোড়া একই রকম মুচমুচে হয় না। পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা পাকা রাঁধুনি তাঁরা জানেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও খাবার সুস্বাদু বানাতে হয় কী করে। তাঁদের হাতে প্রতি দিনই রান্নায় স্বাদ হয়। তাঁদের হাতে পাকোড়া-তেলেভাজাও রোজ হয় মুচমুচে। কোনও উপায়ে? চাইলে সেই উপায় আপন করে নিতে পারেন আপনিও। শুধু কয়েকটি সহজ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১। যে মিশ্রণে ডুবিয়ে পাকোড়া বা তেলেভাজা ভাজছেন, সেই মিশ্রণটি বানানোর জন্য সাধারণ জল ব্যবহার না করে বরফ ঠান্ডা জল দিন। কারণ, ঠান্ডা জল গ্লুটেন তৈরি হতে দেয় না সহজে। গ্লুটেন ব্যাটারকে ভারী করে দেয়। গ্লুটেন তৈরি না হলে ব্যাটার থাকে হালকা। তাই পকোড়ার মুচমুচে হওয়া আটকাতে পারবে না কেউ। ভাজার পরেও তা অনেক ক্ষণ একইরকম খাস্তা থাকবে।
২। এই প্রক্রিয়াটি অনেকেই জানেন। তা হল তেলেভাজার ব্যাটারে বেসনের সঙ্গে ১-২ টেবিলচামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এতে তেলেভাজা তেলও টানবে কম অথচ কাঙ্খিত মুচমুচে ভাব আসবে।
৩। ভাজার সময় অনেক গুলি এক সঙ্গে ভাজার বদলে কয়েক বারে অল্প অল্প করে ভাজুন। এই পদ্ধতির উপরেও নির্ভর করে তেলেভাজা কেমন খেতে হবে।
৪। তেলের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। গ্যাসের আঁচ থাকবে ‘মিডিয়াম-হাই’ অর্থাৎ মাঝারি অথবা মাঝারি থেকে খুব সামান্য বেশির দিকে। বেশি গরম হলে পাকোড়ার উপরের অংশ পুড়ে যেতে পারে। কিন্তু ভিতরে কাঁচা ভাব থেকে যাবে।
৫। পাকোড়়া বা তেলেভাজা ভেজে কোথায় রাখেন? কাগজের উপরে কী? তা হলে ভুল হচ্ছে। তার বদলে লোহা স্টিলের জালের উপর রাখুন। তেল পরবে মনে হলে তলায় ট্রে বা থালা রাখুন। টিস্যু বা কাগজ তেলেভাজার ভিতরে থাকা বাষ্পকে আটকে রাখে। লোহা বা স্টিলের জাল সেই বাষ্প বেরিয়ে যেতে দেয়। ফলে তেলেভাজা নরম হয়ে যাবে না।