—প্রতীকী চিত্র।
রোগী এবং সদ্যোজাতদের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য ব্যবহৃত নল (যা চিকিৎসকদের পরিভাষায় সেন্ট্রাল লাইন বলে পরিচিত) যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে রক্তের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দেহে। চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এর সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে ১০০০ দিনে সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে ৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে (শতাংশের হিসাবে ৮.৮৩ শতাংশ)। আমেরিকায় কোভিডের সময় এর হার ছিল মাত্র ০.৮৭ শতাংশ। দিল্লি এমসের সহায়তায় সাত বছর ধরে দেশের ৫৪টি হাসপাতাল এবং ২০০টি আইসিইউ-তে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে ৮৬০০ জন সেন্ট্রাল লাইন থেকে সংক্রমিত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, এর ফলে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সদ্যোজাতেরা। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং জল পৌঁছোনোর জন্য ওই নল ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, যথাযথ ভাবে হাত ধোয়া না-হলে, চিকিৎসার সামগ্রী জীবাণুমুক্ত না-হলে সংক্রমণ নলেও পৌঁছোয়। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে মারা যান বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘কার্বাপেনেমস’ জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকই এই ধরনের সংক্রমণ রোধে একমাত্র কার্যকরী হতে পারে। চিকিৎসকদের বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ তথা চিকিৎসক যোগীরাজ রায় বলেন, “হাসপাতালে ইনফেকশন কমিটি আছে। তবে এখনও তত দক্ষ নয়। সারা দেশের হাসপাতাল এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে। সচেতনতার অভাব রয়েছে। সব হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব নেই। বাইরে থেকে কাজ করানো হয়। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।”