COVID-19

Covid-19: ফুসফুসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৯৫ শতাংশ রুখে দেওয়ার উপায় খুঁজে বার করলেন বিজ্ঞানীরা

কানাডার মন্ট্রিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা জার্নাল অব ভাইরোলজি-তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২৫
Share:

কী ভাবে ফুসফুসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখা সম্ভব, জানাল গবেষণা। -ফাইল ছবি।

ফুসফুসের কোষগুলিতে করোনাভাইরাসকে অন্তত ৯৫ শতাংশ রুখে দিতে পারে এমন অভিনব একটি উপায়ের খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম।

Advertisement

তাঁরা দেখালেন, ফুসফুসের কোষগুলিতে প্রবেশ ও সেই কোষগুলির ভিতরে করোনাভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে ফুসফুসের কোষগুলিতে থাকা দু’টি উৎসেচক (এনজাইম)। সেই দু’টি উৎসেচককে কী ভাবে বেঁধে ফেলে বা আটকে দিয়ে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায়, তারও উপায় বাতলে দিয়েছেন গবেষকরা। দেখিয়েছেন, সেই উপায় প্রয়োগ করে গবেষকরা দেখেছেন, দু’টি উৎসেচককে বেঁধে ফেলে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারলেই ফুসফুসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৯৫ শতাংশ কমে যায়।

কানাডার মন্ট্রিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জার্নাল অব ভাইরোলজি’-তে। শুক্রবার।

Advertisement

গবেষকরা দেখেছেন, করোনাভাইরাস ফুসফুসে ঢোকার পর ফুসফুসের দু’টি উৎসেচক ‘ফিউরিন’ এবং ‘টিএমপিআরএসএস২’ ভাইরাসকে নানা ভাবে সাহায্য করে।

মানুষের ফুসফুসের একেবারে বাইরের স্তরের কোষগুলি (এপিথেলিয়াল সেল্‌স)-র ভিতরে ঢোকার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বাইরে থাকা শুঁড়ের মতো স্পাইক প্রোটিনের দু’টি অংশে ভাঙন খুব জরুরি হয়ে পড়ে। একটি অংশ ‘এস-১’ এবং ‘এস-২’ র মধ্যবর্তী অংশ। অন্যটি, ‘এস-২’। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের এই দু’টি অংশের ভাঙন না হলে মানুষের ফুসফুসের একেবারে বাইরের স্তরের কোষগুলি ভাইরাসকে ভিতরে ঢোকার জন্য জায়গা করে দেয় না। মানুষের ফুসফুসের ফিউরিন উৎসেচক ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের এই দু’টি অংশের ভাঙনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। তার ফলেই ফুসফুসের কোষ ভিতরে ঢোকার পথ খুলে দেয় করোনাভাইরাসের সামনে।

মানুষের কোষের বাইরের স্তরে থাকে বিশেষ একটি প্রোটিন। এসিই২ রিসেপ্টর প্রোটিন। সেই প্রোটিন সহায়তা না করলে মানবকোষে নোঙর ফেলতে পারে না করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। সেই কাজটি আরও ভাল হয় এসিই২ রিসেপ্টর প্রোটিনে ভাঙন ধরলে। আর সেই ভাঙন ধরায় ফুসফুসের আর একটি উৎসেচক। টিএমপিআরএসএস২।

এই দু’টি উৎসেচককে এই প্রথম চিহ্নিত করা সম্ভব হল বলে তাদের কী ভাবে বেঁধে ফেলা যায়, তার উপায়ও খুঁজে বার করতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন