বিদেশ ভ্রমণ: একটা ফোনের পিছনে এত টাকা খরচ করা খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়। হারিয়ে গেলে বা চুরি গেলে বা অন্য কোনও ভাবে নষ্ট হলে পুরো টাকাটাই কিন্তু জলে যাবে। ফোন কিনে এত টাকা খরচ না করে সেই টাকায় দিব্যি বিদেশ ভ্রমণ সেরে ফেলতে পারেন। যা আপনার ‘লাইফটাইম মেমরিজ’ হয়ে থাকবে। ১ লক্ষ টাকায় ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড, ভুটান, মলদ্বীপ, দুবাই, বালি, কম্বোডিয়ার মতো তুলনায় সস্তা দেশে সহজেই বেড়াতে পারবেন।
বিনিয়োগ: ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ফোন না কিনে তা বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন। ফিক্সড ডিপোজিট বা মিউচুয়াল ফান্ডে রাখতে পারেন। শুধু আমানত নয়, কয়েক বছর পর এই টাকা ফিরতে পারে দ্বিগুণ হয়েও।
শপিং: শপিংয়ের ইচ্ছেই যদি থাকে একটা ফোনের পিছনে সব টাকা উড়িয়ে না দিয়ে বেশ কয়েকটা পছন্দের জিনিস কিনে ফেলতে পারেন। ব্র্যান্ডেড জুতো, ব্যাগ, ঘড়ি বা সোনা-রুপো-হিরের গয়না।
বাইক: বাইক পছন্দ হলে ওই টাকায় পছন্দের দুর্দান্ত বাইকও কিনে ফেলতে পারেন।
মিনি জিম: বাড়ির মধ্যে একটা মিনি জিম বানিয়ে ফেলুন আইফোন কেনার টাকায়। একটা ট্রেডমিল মোটামুটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যেই পাবেন। ইনক্লাইন প্রেস মেশিন পাবেন ১৯ হাজারে, মাল্টি এক্সারসাইজ ওয়েট লিফ্টিং বেঞ্চের দাম ৭ হাজারের কাছাকাছি। জিম-এ রোজ শরীরচর্চা করুন। সুস্থ থাকবেন।
ফাইভ স্টার হোটেল: শখ মেটাতে পাঁচতারা হোটেলে রাতও কাটাতে পারেন।
সেবামূলক কাজ: অনেক মানুষই অনেক কষ্টে দিন কাটান। ফোনের পিছনে এত টাকা খরচ না করে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় দান করতে পারেন। গরীব শিশুদের পড়াশোনার ভার নিতে পারেন। এতে শুধু সমাজের উপকার হয় তাই নয়, ভাল থাকবে মনও।