সঙ্গে শাবক থাকায় দলমার হাতির পাল কলাইকুণ্ডার বনাঞ্চল ছাড়তে চাইছে না। এমনই মনে করছে বন দফতর। এ দিকে হাতির দলি খড়্গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত ঝাড়গ্রামের শঙ্করবনি জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ায় চাষিদের রাতের ঘুম উড়েছে। সন্ধে হলেই হাতিরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আশেপাশের লোকালয়ে হানা দিচ্ছে।
গত কয়েক দিনে হাতির হানায় সাঁকরাইল ব্লকের টুকরুভুলা, টিয়াকাটি, দুধিয়ানালা, আঙ্গারনালি, হাঁড়িভাঙা এবং ঝাড়গ্রাম ব্লকের শঙ্করবনি, সগড়ভাঙা, বারোডাঙা, ইন্দখাড়া, কুড়চিবনির মতো গ্রামে কয়েকশো হেক্টর আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ায় কংসাবতী নদী পেরিয়ে দু’টি দলে হাতি এলাকায় এসেছে। দলে রয়েছে প্রায় একশো হাতি। গোটা দশেক শাবকও রয়েছে। সাঁকরাইলের বাকড়াচকের বাসিন্দা চিকিত্সক প্রভাতরঞ্জন চোংদার, চাষি রমেশ দাস, স্বপন মাহাতোদের বক্তব্য, “বছর দশেক আগে ২০টি হাতি আসত। এখন সংখ্যাটা হয়েছে একশো। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।” খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “হাতির দলটি চিরাচরিত রুট ধরে নয়াগ্রামে যেতে চায়। সঙ্গে একাধিক শাবক থাকায় ওরা সময় নিচ্ছে। যতটা সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে হাতির দলটিকে এলাকা থেকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”