মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭ মানুষী ছিল্লরকে নিয়ে এখন উদযাপনের মেজাজ ভারতে। ষষ্ঠ বারের জন্য মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব এসেছে ভারতে। জানেন কি বহু বার খেতাবের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও মুকুট হারাতে হয়েছে ভারতকে? প্রথম বা দ্বিতীয় রানার আপ হয়েই খুশি থাকতে হয়েছে? অথচ কাব্যে উপেক্ষিতাই রয়ে গিয়েছেন সেই সুন্দরীরা। চিনে নিন তাদের।
লোনা পিন্টো (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়): মিস ইউনিভার্স বা ওয়ার্ল্ডের খেতাব এলেও আজও ভারতের কাছে অধরা মিস ইন্টারন্যাশনালের খেতাব। অথচ সুযোগ এসেছিল প্রথম বছরেই। ১৯৬০ সালে মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হন লোনা পিন্টো।
ইন্দিরা মারিয়া ব্রেডেমেয়ার (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়): ১৯৭৫ সালে আরও এক বার মিস ইন্টারন্যাশনালের খেতাব জেতার সুযোগ এসেছিল ভারতের। সে বারও অধরাই থেকে যায়। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েই খুশি থাকতে হয় ইন্দিরা মারিয়া ব্রেডেমেয়ারকে।
নাফিসা আলি: মডেলিং থেকে সাঁতার, অভিনয়, রাজনীতি সব কিছুইতেই সাফল্যের ছাপ রেখেছেন নাফিসা আলি। ১৯৭৬ সালে মিস ইন্টারন্যাশনাল প্যাজেন্টে দ্বিতীয় রানার আপ হন নাফিসা।
মধু সাপ্রে: ভারতীয় মডেলিং জগতে অন্যতম বড় নাম মধু সাপ্রে। অনেকেই জানেন না আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন মধু। ১৯৯২ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন মধু।
মনপ্রীত ব্রার: সুস্মিতা সেন মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতার ঠিক পরের বছরই ১৯৯৫ সালেও মুকুটের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল ভারত। শেষ পর্যায়ে হেরে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেলসি স্মিথের কাছে। প্রথম রানার আপ হন মনপ্রীত ব্রার।
দিয়া আব্রাহাম (বাঁ দিক থেকে প্রথম): ১৯৯৭ সালে মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযাগিতায় ফের এক বার খেতাবের কাছাকাছি পৌঁছেছিল ভারত। প্রথম রানার অপ হন দিয়া আব্রাহাম।
শ্বেতা জয়শঙ্কর (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়): ১৯৯৮ সালেও মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় খেতাবের কাছাকাছি পৌঁছেও খালি হাতেই ফিরতে হয় ভারতকে। দ্বিতীয় রানার আপ হন শ্বেতা জয়শঙ্কর।
সোনালি নাগরানি: এ বারও অধরাই থেকে গেল মিস ইন্টারন্যাশনালের মুকুট। ২০০৩ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার হন সোনালি নাগরানি।
অমৃতা পটকি (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়): মিস ইউনিভার্স, ওয়ার্ল্ড বা ইন্টারন্যাশনালের মতো পুরনো প্যাজেন্ট না হলেও মর্যাদায় অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস আর্থ। ২০০৬ সালে এই প্রতিযোগিতায় মিস আর্থ এয়ার অর্থাত্ প্রথম রানার আপ হন ভারতীয় সুন্দরী আমৃতা পটকি।
পূজা চিতগোপেকর (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়): অমৃতার ঠিক পরের বছরই একই ভাবে মিস আর্থের খেতাব হাতছাড়া হয় ভারতের। মিস আর্থ এয়ার ২০০৭ হন পূজা চিতগোপেকর।
পার্বতী ওমানাকুট্টন: ২০০৮ সালে একটুর জন্য মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন পার্বতী ওমানাকুট্টন।
বর্তিকা সিংহ (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ): মিস ওয়ার্ল্ড, ইউনিভার্স বা গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের মতো প্রেস্টিজ নেই মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের। বিউটি প্যাজেন্ট হিসেবে একেবারেই নতুন। তবে এর মধ্যে সাফল্য এসেছে ভারতে। ২০১৫ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার অাপ হন বর্তিকা সিংহ।