অনেক সময় এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলেও সে রকম কোনও উপসর্গই থাকে না। বন্ধ্যাত্ব বা অন্য কারণে পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে। স্টেজ -১ বা স্টেজ -২ অসুখে বেশিরভাগ সময়ে খুব সমস্যা হয় না। কিন্তু স্টেজ -৩ বা স্টেজ -৪ এ পৌঁছলে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত বেশি রক্তপাত হয়। কিছুটা রক্ত পেটের মধ্যে থেকে যায়। আর সমস্যা হয় এর থেকেই। জমা রক্ত চকোলেট সিস্ট হয়ে পিরিয়ডের সময় তো বটেই বলতে গেলে সারাক্ষণই পেটে ব্যথা করে।
পিরিয়ডের কিছুদিন আগে থেকে তল পেটে প্রচন্ড ব্যথা করে। পিরিয়ড চলাকালীনও ব্যথার হাত থেকে রেহাই মেলে না।
এই রোগের আর এক উপসর্গ হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং।
প্রস্রাব বা মলত্যাগের সময়ও ব্যথায় কাতর হতে হয়।
স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক মেলামেশার সময় প্রচন্ড ব্যথা ও যন্ত্রণা হয়।
পিরিয়ড চলাকালীন স্বাভাবিক জীবন যাপন করা দুরূহ হয়ে ওঠে। স্কুল কলেজ বা অফিস যাওয়া বন্ধ করে বাড়িতে শুয়ে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না।
এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে বন্ধ্যাত্ব প্রায় অনিবার্য।
এ ছাড়া অতিরিক্ত ব্লিডিং এর জন্যে অ্যানিমিয়া হতে পারে। কাজে অনীহা, মেজাজ খিটখিটে, মাথা ঝিমঝিম সহ নানান শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ডিপ্রেশনের শিকার হন।
পিরিয়ড চলাকালীন গা গুলনো, বমি, খাবারে অনীহা, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে। স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক মেলামেশা ব্যহত হয়ে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।